কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১২ জুলাই ২০২৩, ০১:৪৯ পিএম
আপডেট : ১২ জুলাই ২০২৩, ০৩:০৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

কোরআন অবমাননা নিয়ে বিশেষ বৈঠকে জাতিসংঘ

মুসলিম বিশ্বের একাধিক দেশ ওই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানায় ।ছবি: সংগৃহীত
মুসলিম বিশ্বের একাধিক দেশ ওই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানায় ।ছবি: সংগৃহীত

বিশ্ববেলা ডেস্ক: কোরআন অবমাননা নিয়ে বিশেষ এক বৈঠকে বসেছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের মঞ্চে এই বিষয়ে বিশেষ ওই বৈঠক শুরু হয়। সুইডেনে আলোচিত কোরআন অবমাননা ঘটনা উল্লেখ করে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনে বিশেষ আলোচনার দাবি জানিয়েছিল পাকিস্তান।

মঙ্গলবার (১১ জুলাই) থেকে সেই আলোচনা শুরু হয়েছে। জার্মানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে-এর একটি প্রতিবেদনে বিস্তারিত উঠে এসেছে।

সম্প্রতি সুইডেনে একটি মসজিদের সামনে কোরআন অবমাননা করে বিক্ষোভ করেছে একদল আন্দোলনকারী। অভিযোগ আছে, সুইডেনের প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। ওই ঘটনায় মুসলিম বিশ্বে রীতিমতো ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। পাকিস্তানসহ মুসলিম বিশ্বের একাধিক দেশ ওই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। নিন্দনীয় এই ঘটনায় উত্তাল মুসলিম বিশ্ব।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাবল ভুট্টো জারদারি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জাতিসংঘের এই বৈঠকে যোগ দেন।

তিনি বলেন, ''এই ধরনের ঘটনা ইসলামোফোবিয়া, হেট স্পিচ আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। বিশ্বজুড়ে মানুষে মানুষে ব্যবধান আরও বাড়ছে। সহিংসতা উসকে দেওয়া হচ্ছে।''

বৈঠকে মুসলিম নেতারা বলেন, কোরআন মুসলমানদের কাছে একটি আবেগের বিষয়। কোরআন অবমাননা মুসলিমদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করে। ফলে এই ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।

বৈঠকে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংগঠন ইউএনএইচসিআরের প্রধান ভলকার টার্ক বলেন, ''মুসলিমদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ, ইসলামোফোবিয়া, ইহুদিবিদ্বেষ, খ্রিস্টানদের নিয়ে বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্য কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। একইভাবে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় যেমন-আহামেদি, ইয়াজেদি, বাহাইদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষপূর্ণ আচরণ অন্যায়। এই সবকিছুই অন্যায় এবং বন্ধ করা প্রয়োজন।''

আলোচনা, শিক্ষা এবং ধর্মীয় আদানপ্রদানের মাধ্যমে হেটস্পিচ বন্ধ করা সম্ভব বলে মনে করেন টার্ক। এর জন্য সমস্ত দেশকে এগিয়ে আসতে হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, কোরআন জ্বালানোর ঘটনা সার্বিকভাবে বিদ্বেষ তৈরি করেছে, সহিংসতার জন্ম দিয়েছে এবং মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত হেনেছে। এ ধরনের ঘটনা অনভিপ্রেত। এসব বন্ধ হওয়া দরকার।

সুইডেনের দক্ষিণপন্থি সরকারও মনে করে কোরআন অবমাননার ঘটনা অনভিপ্রেত। কিন্তু তাদের বক্তব্য, সংবিধান সবাইকে বিক্ষোভ দেখানোর অধিকার দিয়েছে। কোরআন অবমাননা করে যারা বিক্ষোভ করেছেন, তাদেরও সাংবিধানিক অধিকার আছে। সে কারণেই তাদের বাধা দেওয়া হয়নি। তবে মুসলিম বিশ্বের দাবি, এই ঘটনা মুসলিম সমাজের বিশ্বাসের ওপর আঘাত। একেও এক ধরনের ইসলামোফোবিয়া বলা যেতে পারে। এ নিয়ে মুসলিম দেশগুলোর মঞ্চেও আলোচনা হয়েছে।

টার্কও মনে করেন, কোরআন অবমাননার ঘটনা কেবলমাত্র ব্যক্তি অধিকার নয়। ব্যক্তির অধিকার কতদূর পর্যন্ত মেনে নেওয়া হবে এ বিষয়ে আলোচনা হওয়া প্রয়োজন।

মুসলিম বিশ্বের চাওয়া, কোরআন অবমাননা নিয়ে নির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হোক।

আগামী শুক্রবার পর্যন্ত এই বৈঠক চলবে। অন্য দেশগুলোও সেখানে তাদের বক্তব্য জানাবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

১০৯ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ৫২ জনের গণশুনানি

বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে দিল্লি, দ্বিতীয় ঢাকা

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মুখোমুখি হওয়া ছাড়া উপায় নেই : ইরান

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুপক্ষের সংঘর্ষ, টেঁটাবিদ্ধে বৃদ্ধ নিহত

রাজধানীতে আজ কোথায় কী

হুমকির মুখে তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র ও জাতীয় গ্রিড লাইন

স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার পদত্যাগ

আজ ঢাকার আবহাওয়া যেমন থাকতে পারে

আড়ং ডেইরিতে নিয়োগ, দ্রুত আবেদন করুন

২৪ নভেম্বর : ইতিহাসের এই দিনে যা ঘটেছিল

১০

নাশতায় যেসব খাবার নীরবে বাড়াচ্ছে আপনার রক্তচাপ

১১

২৪ নভেম্বর : আজকের নামাজের সময়সূচি

১২

সোমবার রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ

১৩

বিয়ের সাজ নিতে গিয়ে দুর্ঘটনা, সিনেমা স্টাইলে হাসপাতালেই বিয়ে

১৪

নতুন যুদ্ধ কৌশল ‘হাইব্রিড যুদ্ধ’, এটা আসলে কী

১৫

বাড়ি থেকে পালিয়ে প্রেমিককে বিয়ে, সেই তরুণীর রহস্যজনক মৃত্যু

১৬

টটেনহ্যামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগে শীর্ষস্থান মজবুত করল আর্সেনাল

১৭

যে কারণে ক্ষমা চাইলেন বাফুফে সভাপতি

১৮

গাজায় সেনা পাঠানো নিয়ে নতুন সংকটে পাকিস্তান

১৯

তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে ৬১ ক্রিকেট ব্যাট-বল বিতরণ

২০
X