লাতিন আমেরিকার দেশ ইকুয়েডরে নির্বাচনী প্রচরের সময় এক প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার পর দেশজুড়ে ৬০ দিনের জরুরি অবস্থা জারি করেছে সরকার।
দুর্বল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, অস্থির রাজনীতি, করোনা মহামারি ও মাদক চোরাচালান চক্রের দৌরাত্ম্যে লাতিন আমেরিকার নিরাপত্তা পরিস্থিতি এমনিতেই ভঙ্গুর। সবশেষ ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকে গুলি করে হত্যা এ বিষয়টি আবারও সামনে নিয়ে এলো।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, গত বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানী কুইটো শহরে নির্বাচনী প্রচারের সময় ইকুয়েডরে আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রার্থী ফার্নান্দো ভিলাভিসেনসিও গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। দেশটির প্রেসিডেন্ট গুইলারমো লাসো ফার্নান্দোর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গুইলারমো লাসো বলেন, এ ঘটনায় জড়িতদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। ফার্নান্দো হত্যার ঘটনায় আমি হতবাক। তার স্ত্রী ও কন্যাদের প্রতি সমবেদনা।
আরও পড়ুন : ইকুয়েডরে জরুরি অবস্থা ঘোষণা
তিনি আরও বলেন, দেশে সংঘবদ্ধ অপরাধ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। তবে আইনের ভার তাদের ওপর বর্তাবেই। কেউ তাদের রেহাই দিতে পারবে না। এ ঘটনার পর তিনি শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে তলব করেছেন।
৫৯ বছর বয়সি ফার্নান্দো একজন মধ্যপন্থি রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত। তিনি দুর্নীতি ও মাদক অপরাধের বিরুদ্ধে বেশ সোচ্চার ছিলেন। তিনি দেশটির মুভিমিয়েন্তো কনস্ট্রুয়ে দলের নেতা। ২০ আগস্ট ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা রয়েছে। প্রথম দফার এই নির্বাচনে অংশ নেওয়া আটজন প্রার্থীর একজন ছিলেন ফার্নান্দো।
ফার্নান্দোর নির্বাচনী উপদেষ্টা প্যাট্রিকো জুকুইল্যান্ডা এপিকে বলেন, ফার্নান্দোকে এর আগে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। মাদক পাচারে জড়িত একটি গোষ্ঠী তাকে হুমকি দিয়ে আসছিল। এরই মধ্যে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
ইকুয়েডর প্রধান সংবাদপত্র এল ইউনিভার্সো জানিয়েছে, ফিল্মি স্টাইলে তিনবার গুলি করে ফার্নান্দোকে হত্যা করা হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, দেহরক্ষী বেষ্টিত হয়ে ফার্নান্দো ভিলাভিসেনসিও সমাবেশস্থল থেকে বের হয়ে যাচ্ছেন। এ সময় একটি ট্রাকে উঠতে গেলে তাকে গুলি করা হয়।
ইকুয়েডরের অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় জানিয়েছে, এ ঘটনায় একজন সন্দেহভাজন ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
মন্তব্য করুন