ইকুয়েডরে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করতে গিয়ে ফার্নান্দো ভিলাভিসেনসিও নামের এক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী নিহতের ঘটনায় দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট গুইলারমো ল্যাসো।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) তিনি ৬০ দিনের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন। এর আগে বুধবার (৯ আগস্ট) দেশটির রাজধানী কিটোতে এক র্যালিতে প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। খবর আলজাজিরার।
এ ঘটনার পর দেশটির প্রেসিডেন্ট ল্যাসো জানান, অভিযুক্তদের কারও ছাড় দেওয়া হবে না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ (টুইটার) তিনি বলেন, ‘আমি ফার্নান্দোকে হত্যার ঘটনায় আমি বিস্মিত। আমি তার স্ত্রী ও কন্যাদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। তার ত্যাগ ও অবদানের জন্য আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি, অপরাধীদের কেউ পার পাবে না।’
তিনি বলেন, সংঘটিত অপরাধ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। তবে আইনের ভার তাদের ওপর বর্তাবেই। কেউ তাদের রেহাই দিতে পারবে না। এ ঘটনার পর তিনি শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে তলব করেছেন।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ফার্নান্দো প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আগে সাবেক আইনপ্রণেতা ছিলেন। নির্বাচনে সাত দশমিক ৫ শতাংশ পোল তার অনুকূলে ছিল। এরই মধ্যে কিটোতে নির্বাচনী প্রচারের সময় তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, ইভেন্টের আশপাশে হাঁটাহাঁটি করছেন ফার্নান্দো। এ সময় তাকে গার্ডরা ঘিরে রেখেছেন। এরপর তিনি একটি সাদা ট্রাকে উঠতে গেলে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ সময় বাকিরা ফ্লোরে শুয়ে পড়েন।
ফার্নান্দোর নির্বাচনী উপদেষ্টা প্যাট্রিকো জুকুইল্যান্ডা এপিকে বলেন, ফার্নান্দোকে এর আগে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। মাদক পাচারে জড়িত একটি গোষ্ঠী তাকে হুমকি দিয়ে আসছিল। এরই মধ্যে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন