কয়েক দিন আাগেই রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনাকালে ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ফার্নান্দো ভিলাভিসেনসিওকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় তাকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে এক গ্যাংয়ের মূলহোতা ও মাদক সম্রাটকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাকে দেশটির একটি হাই সিকিউরিটি জেলে পাঠানো হয়েছে। খবর আলজাজিরার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার (১২ আগস্ট) ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ফার্নান্দো ভিলাভিসেনসিওর হুমকিদাতা অ্যাডেলফো মাকিয়াস নামের এক গ্যাং প্রধান ও মাদক সম্রাটকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হয়। তাকে শনাক্ত করতে চার হাজার পুলিশের কর্মকর্তারা ও সৈন্যরা অংশ নেয়। তিনি গ্যাংয়ের কাছে ফিতো নামে পরিচিতি ছিলেন। এ ছাড়া তিনি মাদকপাচারের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গ্রেপ্তারের পর প্রথমে তাকে মাঝারি নিরাপত্তার একটি কারাগারে পাঠানো হয়। পরে ইকুয়েডরের গুয়াইয়াকুলির একটি হাই সিকিউরিটি জেলে পাঠানো হয়েছে।
মাকিয়াসের বিরুদ্ধে মাদকপাচারের অভিযোগে ৩৪ বছরের কারাদণ্ড রয়েছে। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে লস চোনেরসের গ্যাংয়ের নেতৃত্বে হত্যা ও সংঘবদ্ধ অপরাধের অভিযোগ রয়েছে।
দেশটির প্রেসিডেন্ট গুইলারমো ল্যাসো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ (টুইটারে) জানান, তাকে নাগরিক নিরাপত্তা ও বন্দিদের স্বার্থে হাই সিকিউরিটি জেলে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ইকুয়েডর শান্তি ও নিরাপত্তা ফিরিয়ে আনতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। কোথাও কোনো অস্থিতিশীলতা দেখা দিলে তা কঠোর হাতে দমন করা হবে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) নির্বাচনী প্রচারণাকালে দেশটির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ফার্নান্দো ভিলাভিসেনসিও নিহত হন। এ ঘটনায় দেশজুড়ে ৬০ দিনের জরুরি অবস্থা জারি করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট গুইলারমো ল্যাসো।
এ ঘটনার পর দেশটির প্রেসিডেন্ট ল্যাসো জানান, অভিযুক্তদের কারও ছাড় দেওয়া হবে না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ (টুইটার) তিনি বলেন, ‘ফার্নান্দোকে হত্যার ঘটনায় আমি বিস্মিত। আমি তার স্ত্রী ও কন্যাদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। তার ত্যাগ ও অবদানের জন্য আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি, অপরাধীদের কেউ পার পাবে না।’
ফার্নান্দোর নির্বাচনী উপদেষ্টা প্যাট্রিকো জুকুইল্যান্ডা এপিকে বলেন, ফার্নান্দোকে হত্যার আগে মাদক পাচারে জড়িত একটি গোষ্ঠী হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল। এর পরপরই একটি রাজনৈতিক সমাবেশে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
মন্তব্য করুন