কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:০০ পিএম
আপডেট : ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

দুই মাস সূর্যের দেখা মিলবে না শহরে

প্রতীকি ছবি।
প্রতীকি ছবি।

রাত যাদের পছন্দ তারা চাইলে এই শহরটিতে ঘুরে আসতে পারেন। কারণ ওই শহরটিতে এক নাগাড়ে ৬৭ দিন ধরে দেখা মিলবে না সূর্যের। মানে ২৪ ঘণ্টাই রাতের আবহ থাকবে ওই শহরে। সূর্যোদয় হলো দিনের শুরু হওয়ার একটি সুস্পষ্ট নির্দেশক। মানুষের জীবনযাত্রাও সূর্যের আলোর ওপরই নির্ভরশীল। কিন্তু যদি সূর্যের দেখাই যদি না মেলে?

টানা দুই মাসের বেশি সময় ধরে সূর্য ওঠে না শহরে। প্রতিবছর শীতকালের একটি নির্দিষ্ট সময়ে এমন ঘটনার সাক্ষী হন আলাস্কার উৎকিয়াভিকের বাসিন্দারা।

সৌরজগতের ক্যালেন্ডার অনুযায়ী নভেম্বরে শেষদিকে সেখানে শেষ সূর্যাস্ত হয়। এর ঠিক ৬৬ দিন পর ফের সূর্যোদয় হয় উৎকিয়াভিকে। যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে উত্তরে আলাস্কা রাজ্যের অন্যতম শহর এটি। একসময় ‘ব্যারো’ নামে পরিচিত ছিল এই শীতলতম স্থানটি। মাত্র ৫ হাজার লোকের বসবাস এখানে। নভেম্বরের শেষ দিক, ডিসেম্বর এবং জানুয়ারির শুরুর দিক মিলে দুই মাস সূর্যের দেখা মেলে না।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম ইউএসএ টুডে জানিয়েছে, গত সোমবার শহরটিতে ৩০ মিনিটের জন্য সূর্যের দেখা মিলেছিল। এরপর সেখানে সূর্য অস্ত যায়। ওই সূর্যাস্তের পর সেখানে ‘পোলার নাইট’ শুরু হয়েছে। সেখানে ২০২৫ সালের জানুয়ারির আগ পর্যন্ত আর সূর্য ফিরবে না।

তাহলে কি এই দুমাসেরও বেশি সময় অন্ধকারে ডুবে থাকবে শহরটা? না, তেমনটা হবে না। এই সময়কালে প্রতিদিনই ভোর হবে নিয়ম করে। তবে দীর্ঘ সময় ধরে নয়, আলো থাকবে কয়েক ঘণ্টা। তারপর তা কমে গিয়ে অন্ধকার নেমে আসবে।

প্রতি বছরই এমন হয়ে থাকে। এই সময়ে সেখানকার তাপমাত্রা থাকে মোটামুটিভাবে মাইনাস ৫ থেকে মাইনাস ১০ ডিগ্রি ফারেনহাইট। শীতের মাত্রা বৃদ্ধির দিকে যা মাইনাস ২০ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত পৌঁছে যায়।

এই শহরের মানুষরা এই পরিস্থিতিতে বাস করতে অভ্যস্ত। তারা বিভিন্ন কৃত্রিম আলো ব্যবহার করে এবং অন্যান্য কাজ করে দিন কাটায়। সূর্যের আলো না থাকায় ভিটামিনের ডি-র ঘাটতি দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে সেখানকার বাসিন্দাদের। ফলে এই সময়ের কথা ভেবে প্রচুর ভিটামিন ডি জমিয়ে রাখেন বাসিন্দারা। শীতের হাত থেকে বাঁচতেও নানা সতর্কতা নেন তারা।

শুধু উৎকিয়াগভিক শহরই নয়, আলাস্কার কাকটোভিক, পয়েন্ট হোপ ও আনাকটুভুক পাসের বাসিন্দারাও এক থেকে দুই মাস সূর্যের দেখা পান না।

পৃথিবী সূর্যকে প্রদক্ষিণ করার সময় একটু ঝুঁকে থাকে। এই ঝুঁকির কারণেই বছরের বিভিন্ন সময়ে পৃথিবীর বিভিন্ন অংশে সূর্যের আলো পড়ার পরিমাণ ভিন্ন হয়। আর মেরু অঞ্চলগুলো পৃথিবীর অন্যান্য অংশের তুলনায় সূর্য থেকে অনেক দূরে থাকে। ফলে সূর্যের আলো সরাসরি এই অঞ্চলে পৌঁছাতে পারে না।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ব্যাটে-বলে ঝলমলে সাকিব, আটলান্টার দাপুটে জয়

ব্রিটিশ আমেরিকান রিসোর্স সেন্টারে চাকরির সুযোগ

বালু লুটে বিপর্যয়ের মুখে হাওরাঞ্চলের কৃষি ও পরিবেশ

চমক রেখে প্রীতি ম্যাচের জন্য আর্জেন্টিনার দল ঘোষণা

নিয়োগ দিচ্ছে আগোরা

বাগদান সারলেন বিজয়-রাশমিকা!

কেন মৌকে দেখে পালিয়ে যান পরীমণি?

ঘুমের মধ্যে পায়ের রগে টান কেন পড়ে, কোনো রোগের লক্ষণ নয়তো

শিগগির শুরু হবে ঢাকা-পাবনা রেল চলাচল

জামাতে নামাজ আদায় করে পুরস্কার পেলেন ৮ জন

১০

পবিত্র ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম আজ

১১

দেশে কত দামে স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে আজ

১২

সেনাবাহিনীকে গাজায় অভিযান থামাতে বলল ইসরায়েল

১৩

ইলিশ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু

১৪

যশোরে চিকিৎসাধীন বিএনপি নেতার মৃত্যু

১৫

আমিরাতে লটারিতে ৬৬ কোটি টাকা জিতলেন প্রবাসী হারুন

১৬

আকাশপ্রেমীদের জন্য এ মাসে দারুণ খবর

১৭

আজ ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়

১৮

এসএসসি পাসেই চাকরি দিচ্ছে বসুন্ধরা গ্রুপ

১৯

৪ অক্টোবর : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

২০
X