ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য নীতির সমালোচনা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্ট সামনে আসার পর মার্কিন পররাষ্ট্র সদর দপ্তর পেন্টাগন একজন ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তাকে তার পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে। একইসঙ্গে পুরো ঘটনায় অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু করেছে পেন্টাগন।
অপসারিত ওই কর্মকর্তা হলেন কর্নেল নাথান ম্যাক্করম্যাক। তিনি মার্কিন জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের জে-৫ স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানিং ডিরেক্টরেটের লেভান্ত ও মিসর শাখার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
কর্নেল ম্যাক্করম্যাকের নামে আংশিক মিল থাকা একটি এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে একের পর এক পোস্টে ইসরায়েলকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘সবচেয়ে খারাপ মিত্র’ বলা হয়। জিউইশ নিউজ সিন্ডিকেট (জেএনএস) প্রথম এ খবর প্রকাশ করে। এরপর বিষয়টি সামনে আসতেই পেন্টাগন তাকে পদ থেকে সরিয়ে দেয়। খবর আনাদোলু এজেন্সির।
পেন্টাগনের একজন কর্মকর্তা জেএনএস-কে জানান, বিষয়টি পুরোপুরি তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত ম্যাক্করম্যাক আর জয়েন্ট স্টাফের দায়িত্বে থাকছেন না। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে একজন তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
পরে মিডল ইস্ট আই ওই পোস্টগুলোর বিস্তারিত তুলে ধরে জানায়, ওই এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে একাধিক বার্তায় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং তার মিত্রদের তীব্র সমালোচনা করা হয়। নেতানিয়াহু ও তার ঘনিষ্ঠদের ‘ইহুদি শ্রেষ্ঠত্ববাদী দল’ আখ্যা দিয়ে অভিযোগ তোলা হয়, তারা ফিলিস্তিনিদের বিতাড়ন ও জাতিগতভাবে নির্মূল করতে চান।
পোস্টগুলোতে আরও অভিযোগ করা হয়, ওয়াশিংটন বহু বছর ধরে ইসরায়েলের ‘খারাপ আচরণে’ মদদ দিয়ে আসছে এবং পশ্চিমা দেশগুলো হলোকাস্ট নিয়ে অপরাধবোধ থেকে ইসরায়েলকে সমালোচনার বাইরে রাখে।
সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কর্নেল ম্যাক্করম্যাক তার পোস্টগুলোতে ইসরায়েলকে ‘হত্যাযজ্ঞপ্রিয় গোষ্ঠী’ বলেও বর্ণনা করেছিলেন এবং দাবি করেন, ইসরায়েলের নীতির কারণে বহু বছর ধরে জাতিগত নির্মূল ও গণহত্যার অভিযোগ উঠে আসছে।
মন্তব্য করুন