মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার প্রথম পর্যায়ে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী ঐতিহাসিক সমঝোতায় সম্মতি জানিয়ে চুক্তি সই করেছে। নিজের ট্রুথ সোশ্যালে এই যুগান্তকারী ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প নিজেই।
ঘোষণার পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এই সমঝোতার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে চুক্তি স্বাক্ষরের দিনকে দারুণ দিন বলে আখ্যা দিয়েছেন। এরপর তিনি ইসরায়েলের সরকারের অনুমোদন নিশ্চিত করেন। বিবৃতিতে নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানিয়েছে, শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের পর ট্রাম্পের সঙ্গে তার ‘খুবই আবেগঘন ও উষ্ণ’ ফোনালাপ হয়েছে। যেখানে তারা সব জিম্মির মুক্তি নিশ্চিত করার জন্য পরস্পরকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। নেতানিয়াহু এই ‘ঐতিহাসিক চুক্তি’ অর্জনের জন্য ট্রাম্পের বৈশ্বিক নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।
ট্রাম্প নিশ্চিত করেছেন, এই চুক্তির ফলে খুব শিগগির সব জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে এবং ইসরায়েল তার বাহিনীকে গাজার একটি নির্ধারিত সীমায় সরিয়ে আনবে। দুই নেতা ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা বজায় রাখার অঙ্গীকার করেছেন এবং ট্রাম্পকে সরাসরি ইসরায়েলি পার্লামেন্টে ভাষণ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে গাজা যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার এই খবর নিশ্চিত করেছে। দোহা জানিয়েছে, চুক্তির সব শর্ত ও বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে উভয় পক্ষ একমত হয়েছে।
হামাস এক বিবৃতিতে জানায়, তারা এমন একটি সমঝোতায় পৌঁছেছে যা গাজায় যুদ্ধের অবসান ঘটাবে, ইসরায়েলি সেনাদের প্রত্যাহার নিশ্চিত করবে, মানবিক সহায়তা প্রবেশের সুযোগ দেবে এবং বন্দি বিনিময়ের প্রক্রিয়া চালু করবে।
মন্তব্য করুন