মার্কিন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের দাবি পূরণ করছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। হোয়াইট হাউসে এক বিরল প্রকাশ্য ঘোষণায় মেলানিয়া বিষয়টি জানান। তার বক্তব্যের পর যুদ্ধ রাজনীতিতে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
মেলানিয়া বলেছেন, তিনি ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে যোগাযোগের একটি অসাধারণ ব্যাক চ্যানেল স্থাপন করেছেন। এর মাধ্যমে রাশিয়া কর্তৃক ‘অপহৃত’ ইউক্রেনীয় শিশুদের মুক্তি নিশ্চিত করেছেন।
তার স্বামী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলাস্কায় শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেন ক্রেমলিনের ক্ষমতাধর পুতিন। ওই সম্মেলনের পর থেকে পর্দার আড়ালে কয়েক সপ্তাহের কূটনৈতিক তৎপরতা চালান মেলানিয়া।
মেলানিয়া বলেন, ২০২২ সালে মস্কোর ইউক্রেন আক্রমণের ফলে বাস্তুচ্যুত আট শিশুকে গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
৫৫ বছর বয়সী এই নারী বলেন, শীর্ষ সম্মেলনে ট্রাম্পের মাধ্যমে পুতিনকে একটি চিঠি দেওয়ার পর তিনি সাহায্য করতে সম্মত হন। যদিও ওই সম্মেলন যুদ্ধ সমাধানে কোনো অগ্রগতি ছাড়াই শেষ হয়েছিল।
মেলানিয়া সাংবাদিকদের বলেন, গত আগস্টে পুতিন আমার চিঠি পাওয়ার পর থেকে অনেক কিছু প্রকাশ্যে আসছে। তিনি লিখিতভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন। তিনি সরাসরি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন এবং রাশিয়ায় বসবাসকারী ইউক্রেনীয় শিশুদের সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা করেছিলেন। তারপর থেকে পুতিন এবং আমার মধ্যে এই শিশুদের কল্যাণের বিষয়ে যোগাযোগের একটি উন্মুক্ত চ্যানেল রয়েছে।
স্লোভেনীয় বংশোদ্ভূত প্রাক্তন এ মডেল বলেন, উভয় পক্ষই বেশ কয়েকটি ব্যাক চ্যানেল মিটিং এবং ফোনকল করেছে। সবই সৎ বিশ্বাসে আলোচনা করেছেন। রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধে আটকে পড়া শিশুদের তাদের পরিবারের সঙ্গে নিরাপদ পুনর্মিলন নিশ্চিত করার জন্য আমার প্রতিনিধি পুতিনের দলের সঙ্গে সরাসরি কাজ করছে। প্রকৃতপক্ষে, গত ২৪ ঘণ্টায় আট শিশুকে তাদের পরিবারের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে সাতজনকে রাশিয়া থেকে ইউক্রেনে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তাদের তিনজনকে জোর করে বাবা-মায়ের কাছ থেকে আলাদা করা হয়েছিল। বাকিরা পরিস্থিতির শিকার। একই সময়ে রাশিয়ায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে এক কিশোরীকে। সে-সহ অনেকে সীমান্ত সংঘাতের কারণে পরিবারের সদস্যদের থেকে আলাদা হয়েছে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে কিয়েভ আক্রমণ করে মস্কোর সৈন্যরা। ওই সময় থেকে মস্কোর বিরুদ্ধে ইউক্রেনের পূর্ব ও দক্ষিণের কিছু অংশ থেকে প্রায় ২০,০০০ শিশুকে অপহরণের অভিযোগ করা হচ্ছে। ইউক্রেন অপহৃত শিশুদের বিষয়টিকে কূটনৈতিক অগ্রাধিকার দিয়ে বিশ্ব মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করছে। এ চ্যানেলের অন্যতম ব্যক্তিত্ব মেলানিয়া ট্রাম্প।
মন্তব্য করুন