ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের ওপর নতুন করে আরেক দফা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। এ নিয়ে ইসরায়েল ও হামাসের যুদ্ধ শুরুর পর গাজা উপত্যকার ক্ষমতাসীন হামাসের ওপর তৃতীয়বারের মতো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল ইসরায়েলের মিত্র এই দুই দেশ। মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার হামাসের সিনিয়র সদস্য ও সহপ্রতিষ্ঠাতা মাহমুদ খালেদ জাহহার, ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদের প্রতিনিধি, দামেস্কভিত্তিক ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল ও সামরিক শাখার নেতাকে টার্গেট করে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়া লেবাননভিত্তিক মানি এক্সচেঞ্জ কোম্পানি নাবিল চৌমান অ্যান্ড কোম্পানির মালিক ও প্রতিষ্ঠাতাকেও নিশানা করেছে ওয়াশিংটন।
যুক্তরাষ্ট্রের এমন পদক্ষেপের পর যুক্তরাজ্যের সন্ত্রাসবিরোধী নিষেধাজ্ঞার তালিকায় হামাস সংশ্লিষ্ট ছয়জনের নাম যুক্ত করে ব্রিটিশ সরকার। এদের মধ্যে হামাসের চার নেতা রয়েছেন।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিকে মার্কিন অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র হামাসের উত্থান এবং নৃশংসতা চালানোর অর্থ জোগাড়ের সক্ষমতা দমনে যুক্তরাজ্যসহ অন্যান্য অংশীদারদের সঙ্গে কাজ অব্যাহত রাখবে।
তিনি বলেন, হামাসের কর্মকাণ্ড মানুষের জন্য ব্যাপক দুঃখ-কষ্ট নিয়ে এসেছে। একই সঙ্গে তাদের কর্মকাণ্ড দেখিয়েছে যে সন্ত্রাসবাদ বিচ্ছিন্নভাবে ঘটে না। আমাদের অংশীদারদের সঙ্গে নিয়ে আমরা হামাসের আর্থিক অবকাঠামো বিনাশ করব, তাদের বিদেশি অর্থয়ন থেকে দূরে রাখব এবং নতুন অর্থায়নের চ্যানেল বন্ধ করে দিব।
হামাসকে সন্ত্রসী সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করে থাকে ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ব্রিটেন। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরুর থেকে তৃতীয়বারের মতো সংগঠনটির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে বাইডেন প্রশাসন।
মন্তব্য করুন