সহকর্মী ও সাবেক বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে নিজের বিবস্ত্র ছবি শেয়ার করেছিলেন এক নারী। এরপর এসব ছবি সহকর্মীদের মাঝে শেয়ার করেছিলেন ওই বয়ফ্রেন্ড। অতঃপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়েছে এসব ছবি। এ ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এক নারী কর্মকর্তা। রোববার (০৩ মার্চ) এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আপত্তিকর ছবি ছড়িয়ে পড়া ওই নারীর নাম আলিসা বাজরাকতারেভিচ। তার বয়ফ্রেন্ডের নাম লেফটেন্যান্ট মার্ক রিভেরা। তারা দুজনেই পুলিশে কর্মরত।
নিউইয়র্ক পোস্টের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই নারীর অভিযোগ, ভিডিও ছড়িয়ে পড়ায় তার ক্যারিয়ার হুমকির মুখে পড়েছে। ম্যানহাটন সুপ্রিম কোর্টে করা মামলায় তিনি বলেন, ছড়িয়ে পড়া এসব ছবি ১২ বছর আগে তিনি তার সাবেক বয়ফ্রেন্ডকে শেয়ার করেছিলেন। ২০১২ সালে পুলিশে যোগ দেন তিনি। ওই সময়ে কয়েক মাসের সম্পর্কে ছিলেন তারা।
ওই নারীর অভিযোগ, রিভেরা তার সহকর্মীদের একটি চ্যাটিং গ্রুপে আলিসার টপলেস ছবি শেয়ার করেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই এ ছবি অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ ইউনিয়নের নেতারা তাকে অভিযোগ না করার অনুরোধ করেছিলেন বলেও দাবি করেন আলিসা।
তিনি বলেন, ইউনিয়নের এক প্রতিনিধি তাকে বলেন যে আপনিই প্রথম বা শেষ নারী নন যার সঙ্গে এটি ঘটেছে বা ঘটবে!
আলিসার এ ছবিগুলো গত বছরের এপ্রিলে প্রথম প্রকাশ্যে আসে। ওই সময়ে তখনকার প্রেমিক কেলভিনকে নিয়ে ঘোরাঘুরি সময় কর্মকর্তাদের সঙ্গে তর্কে জড়িয়েছিলেন। এ সময় পুলিশ কর্মকর্তারা তার গাড়ি আটকেছিল।
ওই নারী বলেন, তার এসব ছবি নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগের গ্রুপ চ্যাট এবং টেক্সট মেসেজ চেইনে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানে বাবা-মার ঠিকানার মতো ব্যক্তিগত তথ্যও প্রকাশ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সংবাদমাধ্যমকে আলিসা জানান, ১২ বছর ধরে তারা তাদের ফোনে এগুলো রেখেছে। এটি ঘৃণ্য কাজ। এগুলো দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছে। এটা গুণ্ডামি। কেউ নিশ্চিতভাবে এটির জন্য নিজের ক্ষতি করতে চলেছে। তিনি বলেন, এই কাজ আইনবিরুদ্ধ।
নিউইয়র্ক পুলিশ জানিয়েছে, তারা কোনো প্রকারের বৈষম্য বা করবে না। কর্মক্ষেত্রে সম্মানজনক কাজের পরিবেশের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তারা।
মন্তব্য করুন