কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:৩৪ পিএম
আপডেট : ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:৪৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

মামদানিকে হারাতে কোটি কোটি ডলার ব্যয় করেন ২৬ ধনকুবের

ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

নিউইয়র্ক সিটির নেতৃত্ব এখন যাচ্ছে এক তরুণ মুসলিম ও ভারতীয় বংশোদ্ভূত রাজনীতিকের হাতে। তার নাম জোহরান মামদানি। তাকে ঘিরে এখন শুধু মার্কিন রাজনীতিই নয়, আলোচনায় সরব গোটা বিশ্ব। এবার নতুন এক তথ্য জোহরান মামদানির মর্যাদা আরও বাড়িয়েছে।

ফোর্বসের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত ২৬ ধনকুবের এবং ধনী পরিবার সম্মিলিতভাবে জোহরান মামদানির প্রতিদ্বন্দ্বীদের নির্বাচনী প্রচারে ব্যয়ের জন্য ২ কোটি ২০ লাখ ডলার (প্রায় ২৬৮ কোটি টাকা) দিয়েছে। কিন্তু অর্থ দিয়ে তাকে হারানো যায়নি। বরং, কম অর্থ খরচে জীবনযাত্রার ব্যয় কমানোর জন্য নগর কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে মুদিদোকান চালানো, বিনামূল্যে গণপরিবহন এবং শিশু পরিচর্যার মতো নীতির প্রচার চালিয়ে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে যান মামদানি।

জোহরানের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে অর্থদাতাদের মধ্যে ছিলেন ব্লুমবার্গ এলপির সহপ্রতিষ্ঠাতা মাইকেল ব্লুমবার্গ, হেজ ফান্ড ম্যানেজার বিল অ্যাকম্যান, এয়ারবিএনবির সহপ্রতিষ্ঠাতা জো গেবিয়া এবং এসটি লডারের উত্তরাধিকারী লডার পরিবারের সদস্যরা।

অন্যান্য বড় দাতার মধ্যে ছিলেন নেটফ্লিক্সের সহপ্রতিষ্ঠাতা রিড হেস্টিংস এবং গণমাধ্যম উদ্যোক্তা ব্যারি ডিলার। তারা প্রত্যেকে মামদানির প্রতিদ্বন্দ্বীকে ২ লাখ ৫০ হাজার ডলার করে দিয়েছিলেন। ক্যাসিনো ব্যবসায়ী স্টিভ উইন অক্টোবরে ৫ লাখ ডলার এবং তেল ব্যবসায়ী জন হেস কয়েক মাসে ১০ লাখ ডলার দেওয়ার মাধ্যমে রক্ষণশীল দাতারাও এই লড়াইয়ে অংশ নেন। এ ছাড়া অনেকে ব্যক্তিগতভাবে অর্থ খরচ করে মামদানিকে হারানোর চেষ্টা করেন।

অপরদিকে মামদানি অর্থের বিপরীতে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে লড়াই করেন। অবশ্য তার রাজনৈতিক উত্থান অনেকটা নাটকীয়। ২০২০ সালে ডেমোক্রেটিক পার্টির হয়ে তিনি নির্বাচিত হন নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলির সদস্য হিসেবে। এখান থেকেই শুরু হয় তার রাজনৈতিক উত্থান। সাধারণ মানুষের সমস্যা, বিশেষত ভাড়া, গণপরিবহন ও শিক্ষা নিয়ে সরাসরি কাজ করে তিনি দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।

২০২৪ সালে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা দেন— তখনো তিনি তুলনামূলক অপরিচিত মুখ। কিন্তু মাত্র এক বছরের মধ্যেই তিনি নিউইয়র্কের রাজনীতিতে সবচেয়ে আলোচিত প্রার্থী হয়ে ওঠেন।

এই নির্বাচনে তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুয়োমো এবং রিপাবলিকান প্রার্থী কার্টিস স্লিওয়া। প্রথমে বর্তমান মেয়র এরিক অ্যাডামস প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা দিলেও জনসমর্থনের অভাবে সরে দাঁড়ান। যদিও মামদানি তরুণ ও তুলনামূলক অনভিজ্ঞ, তার প্রচারাভিযান ছিল জনমানুষের ইস্যুতে সরাসরি সংযুক্ত। তিনি বারবার বলেছেন, বিশ্ব বদলাতে বয়স বা অভিজ্ঞতা নয়, প্রয়োজন হয় ইচ্ছা আর সততা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

তারেক রহমানের সঙ্গে জুলাই শহীদ পরিবারের সাক্ষাৎ, বিএনপির সঙ্গে কাজ করার প্রত্যয়

কাজাখস্তান তো ইসরায়েলের ‘ব্যবহৃত মাল’ : ফিলিস্তিনি নেতা

শিবগঞ্জে যাচ্ছেন মীর স্নিগ্ধ

সামিরা-ডনের ফাঁসি চেয়ে কাশিমপুরে স্লোগানে উত্তাল

আদিবাসীদের নবান্ন উৎসব / রাজশাহীতে ওয়ানগালা ও লবান উৎসব উদযাপন

বিএনপিই পারবে সব সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে সুরক্ষা দিতে : দুলু

সরাইল-আশুগঞ্জের মানুষ ধানের শীষ ছাড়া কিছুই বোঝে না : রুমিন ফারহানা

দুএকটি দল নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে : নীরব

আন্দোলনরত শিক্ষকদের পাশে থাকার ঘোষণা হাসনাতের

‘বাকসু’ নাম নিয়ে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের টানাটানি

১০

সংস্কৃতি মানুষকে সভ্য করে : কাদের গনি চৌধুরী

১১

শেষ মুহূর্তের গোলে হার থেকে বাঁচল ম্যানইউ

১২

সন্তানের জন্মে ব্যতিক্রমী উদ্‌যাপন

১৩

আফগানিস্তান-পাকিস্তান শান্তি আলোচনা সমঝোতা ছাড়াই শেষ

১৪

কুতুবদিয়া চ্যানেল পাড়ি / সবার আগে তীরে পৌঁছে গেলেন ১৮ বছরের তরুণ রাব্বি

১৫

শেষ ওয়ানডেতে প্রোটিয়াদের উড়িয়ে পাকিস্তানের সিরিজ জয়

১৬

‘বাকশালের পর জিয়াউর রহমান জামায়াতকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন’

১৭

‘১৩ তারিখে আমরা সবাই ঢাকা যাব’ ফেসবুকে পোস্ট করা আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার

১৮

গামিনিকে আনুষ্ঠানিক বিদায় জানাল বিসিবি

১৯

প্রধান উপদেষ্টা ডাকলে আমরা যাব, অন্য দল দিয়ে কেন : সালাহউদ্দিন

২০
X