কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২০ জুলাই ২০২৩, ০২:১৫ পিএম
আপডেট : ২০ জুলাই ২০২৩, ০২:২১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
ফিন্যান্সিয়াল টাইমস থেকে

চীনের সঙ্গে যুদ্ধে প্রস্তুত নয় পশ্চিমারা

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ইউক্রেন যুদ্ধকে প্ররোচিত করতে গিয়ে পশ্চিমারা গোলাবারুদ ঘাটতিতে পড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের থিংকট্যাংক তাদের রসদভান্ডার অনুসন্ধানে সেগুলোকে খালি পেয়েছে। এমনকি ন্যাটো জোটের সামরিক শিল্পও তাদের সাহায্য করতে সক্ষম নয়।

স্থানীয় সময় বুধবার (১৯ জুলাই) ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ (সিএসআইএস) জানিয়েছে, তাইওয়ান নিয়ে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধে যেতে ৪৫০টি দূরপাল্লার জাহাজবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে; যা দিয়ে কেবল এক সপ্তাহ চলা সম্ভব হবে।

আরেক থিংকট্যাংক সেন্টার ফর নিউ আমেরিকান সিকিউরিটি (সিএনএএস) বলছে, যেসব ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে সেগুলো দিয়ে প্রাথমিক হামলা প্রতিরোধ করা সম্ভব। তবে চীনের বিরুদ্ধে দীর্ঘস্থায়ী সংঘর্ষে জয়ী হতে হলে আমাদের বিষয়টি নতুন ভাবতে হবে। বেইজিংকে রুখতে এবং তাদের পরাজিত করতে হলে পেন্টাগনের জন্য ক্ষেপণাস্ত্র, সমুদ্রপথ বন্ধ করার অস্ত্র, আকাশপথ নিয়ন্ত্রণ এবং ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধের বিশাল মজুদ প্রয়োজন।

ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের তথ্যমতে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ২০১২ অর্থবছরে ১১৮টি দূরপাল্লার জাহাজবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের (এলআরএসএস) জন্য এক দশমিক এক বিলিয়ন ডলার অর্থ সহায়তা চেয়েছে, যা আগের বছরের ৮৩টি ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যয়ের অর্ধেক। অন্যদিকে পেন্টাগন সামরিক খরচের জন্য ৩০ বিলিয়ন ডলার চেয়েছে, যা ২০২৩ সালের চেয়ে ২৩ শতাংশ বেশি। এ ছাড়া তারা নতুন অস্ত্র কিনতে ৩১৫ বিলিয়ন ডলার চেয়েছে।

সিএনএএস বলছে, ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে ও যুদ্ধাস্ত্র পরিচালনার জন্য পেন্টাগনের হাতে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ না থাকলেও ভারী অস্ত্র যেমন জাহাজ, বিমান ও ট্যাংক কিনতে ঝুঁকে গেছে।

ফিন্যান্সিয়াল টাইমস বলছে, পশ্চিমারা সম্মিলিতভাবে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ইউক্রেনকে ১৭০ বিলিয়ন ডলারের সামরিক ও অর্থনৈতিক সহায়তা দিয়েছে। এরপরও কিয়েভ এখনও যুদ্ধাস্ত্র সংকটের অভিযোগ করছে।

সিএনএসের কর্মকর্তা স্টেসি পেটিজন বলেন, ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রি এতটাই সংকুচিত হয়ে গেছে যে এটা খুব দ্রুত বিশাল চাহিদা পূরণ করতে পারবে না। সুতরাং আমাদের এখন অনেক পিছিয়ে গেছি এবং আমাদের সবকিছু পর্যাপ্ত নেই। মাত্র পাঁচটি কোম্পানির সঙ্গে পেন্টাগনের বড় চুক্তি রয়েছে। এ ছাড়া কিছু পার্টস একটা থেকে দুটি কোম্পানি সরবরাহ করে। ফলে দ্রুত সংকট কাটিয়ে ওঠার কোনো পথ নেই।

একাধিক থিংকট্যাংক বিশেষজ্ঞ ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেন, ন্যাটো জোটও পদক্ষেপের ব্যাপারে শিথিল অবস্থানে রয়েছে। কেননা যুক্তরাষ্ট্র আমেরিকার তৈরি অস্ত্রকে প্রমোট করে ইউরোপিয়ান প্রতিরক্ষা শিল্পকে স্তব্ধ এবং ভঙ্গুর করে ফেলেছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

১২ হাজার কোটি টাকার তিস্তা প্রকল্প, সমাধান নাকি নির্বাচনী কৌশল?

যুবদল নেতার উদ্যোগে বেহাল সেতু মেরামত

খালি পেটে পানি খেলে শরীরে আসলে কী ঘটে, বিজ্ঞান যা বলছে

ভারত মাতিয়ে গেলেন জেনিফার লোপেজ

প্রসূতির চিকিৎসায় নার্স, নবজাতকের মৃত্যু

পদ্মা নদীতে অভিযান

প্রেম গুঞ্জনে রাম-ভাগ্যশ্রী

মেসির জাদুতে ইতিহাস গড়ে ফাইনালে মায়ামি

পেশোয়ারে আধাসামরিক বাহিনীর সদর দপ্তরে হামলা, নিহত ৬

সৌদিতে মৃদু ভূমিকম্প, কেঁপে উঠল ইরাকও

১০

জবির বাসে জায়গা হয়নি অধিকাংশ শিক্ষার্থীর

১১

কনকনে শীতে কাঁপছে তেঁতুলিয়া

১২

রামপুরায় ২৮ জনকে হত্যা : ট্রাইব্যুনালে হাজির ২ সেনা কর্মকর্তা

১৩

রেড ক্রিসেন্টে চাকরির সুযোগ, আজই আবেদন করুন

১৪

৩৯ কোটি টাকার নিষিদ্ধ জাল জব্দ

১৫

ফুলকোর্ট সভা ডেকেছেন প্রধান বিচারপতি

১৬

কখন বুঝবেন সম্পর্ক থেকে সরে আসা জরুরি

১৭

জনপ্রিয়তার শীর্ষে প্রভাস

১৮

যুক্তরাষ্ট্র ও ট্রাম্পের প্রতি কৃতজ্ঞতার কথা জানাল ইউক্রেন

১৯

দেশে কত দামে স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে আজ

২০
X