যুক্তরাষ্ট্রে মদপানকারীদের টপকে গেছেন গাঁজাসেবীরা। সম্প্রতি এক সমীক্ষায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে প্রথমবারের মতো প্রায়ই মদপান করা মানুষের সংখ্যা টপকে গেছেন প্রতিদিন বা প্রায় গাঁজাসেবীনকারীরা। অ্যাডিকশন জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। চার দশক ধরে আমেরিকায় মাদক ব্যবহারও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত জাতীয় জরিপ সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে এটি প্রস্তুত করা হয়েছে।
জরিপে দেখা গেছে, ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রে দৈনিক গাঁজাসেবন করেন এমন মানুষের সংখ্যা ছিল প্রায় এক কোটি ৭৭ লাখ। এ সময় দৈনিক মদপানকারীর সংখ্যা ছিল এক কোটি ৪৭ লাখ। এ তথ্যানুসারে আমেরিকার ইতিহাসে প্রথমবারের মতো গাঁজাসেবীরা মদপানকারীদের টপকে গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাঁজাসেবীরা মদপানকারীদের টপকে গেলেও যুক্তরাষ্ট্রে এখনও মদই বেশি পান করা হয়। জরিপে আরও দেখা গেছে, ১৯৯২ থেকে ২০২২ সালে মধ্যে গাঁজাসেবনকারীদের মধ্যে গাঁজা সেবনের প্রবণতা ১৫ গুণ বেড়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ২৪টি রাজ্য ও এক জেলায় বিনোদনমূলক ব্যবহারের জন্য গাঁজাসেবনের অনুমতি আছে। এছাড়া ৩৮টি রাজ্যে ওষুধ হিসেবে গাজা ব্যবহারের বৈধতা রয়েছে।
এর আগে সংবাদমাধ্যম জানায়, অর্থনৈতিক উত্তরণে পথ খুঁজছে পাকিস্তান। এজন্য গাঁজা চাষে ঝুঁকছে তারা। এমনকি গাঁজা বাণিজ্যের জন্য ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করছে দেশটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তান প্রায় চার বছর আগে শিল্পখাতে গাজা ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে। বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়াতে বিকাশমান বাজারের সুযোগ নিতে চাচ্ছে দেশটি। এজন্য গেল ফেব্রুয়ারিতে প্রেসিডেন্সিয়াল আদেশের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো গাঁজা নিয়ন্ত্রণ ও নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে পাকিস্তান। ২০২০ সালে দেশটিতে গাজা ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হলেও অভ্যন্তরীণ জটিলতায় নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ গঠনের পদক্ষেপ থেমে ছিল।
বিশেষ বিনিয়োগ সুবিধা কর্তৃপক্ষের এক সিনিয়র কর্মকর্তা জানান, আমরা এ উদ্যোগ নিয়ে খুব তৎপর। সবকিছু খুব দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে।
তিনি বলেন, নতুন জোট সরকার নীতি, উৎপাদনকারী ও বিক্রেতাদের লাইসেন্স প্রদান ও চাষের অঞ্চল নির্দিষ্ট করতে নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ গঠন করেছে। দেশটিতে বিনিয়োগ আকর্ষণ ও অর্থনীতি উত্তরণে সরকারের উদ্যোগ বাস্তবায়ন করে এ বিভাগ।
ভারতের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, পাকিস্তান বৈশ্বিক গাঁজার বাজারে প্রবেশ ও উৎপাদনের অনুকূল পরিবেশ সদ্বব্যবহারে আগ্রহী। ২০২২ সালে গাঁজার বৈশ্বিক গাজার বাজার ছিল ২৭ দশমিক দুই বিলিয়ন ডলার। ২০২৭ সালে এ বাজার বেড়ে ৮২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।
মন্তব্য করুন