ঢাকায় ফ্ল্যাটের দাম আগে থেকেই সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে ছিল। বিভিন্ন কারণে নির্মাণসামগ্রীর দাম বৃদ্ধির কারণে মধ্যবিত্তের ফ্ল্যাট কেনা এখন দুঃস্বপ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনিতেই আবাসন খাত এখন চ্যালেঞ্জের মুখে। এর মধ্যে নির্মাণসামগ্রীর দাম প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এ জন্য নির্মাণসামগ্রীর দাম ও পণ্যের মান নির্ধারণে একটি মনিটরিং সেল গঠনের দাবি জানিয়েছে রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন (রিহ্যাব)।
গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুর সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ দাবি জানান রিহ্যাব নেতারা। সভায় ছিলেন রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট মো. ওয়াহিদুজ্জামান, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট লিয়াকত আলী ভূঁইয়া, ভাইস প্রেসিডেন্ট (প্রথম) সাবেক এমপি লায়ন এম এ আউয়াল, ভাইস প্রেসিডেন্ট (২) মোহাম্মদ আক্তার বিশ্বাস, ভাইস প্রেসিডেন্ট (ফিন্যান্স) আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ।
নেতারা জানান, আগে শুরু হওয়া প্রকল্প নিয়ে সংকটে পড়েছেন অনেকে। কারণ, চুক্তির বাধ্যবাধকতার কারণে বর্তমানে নির্মাণসামগ্রীর দাম বাড়লেও ক্রেতার কাছ থেকে বাড়তি অর্থ আদায় করতে পারছেন না। এখন নির্মাণসামগ্রীর দাম যে হারে বাড়ছে, তাতে ফ্ল্যাট ক্রেতাদের কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়ছে। মূলত ডেভেলপাররা এলাকায় জমি-মালিকদের সঙ্গে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে প্রকল্প হাতে নেয়। নির্ধারিত দামে প্রকল্প বাস্তবায়নের শুরুতেই তা বিক্রি হয়। ক্রয়-বিক্রয় চুক্তি থাকায় নির্মাণসামগ্রীর দাম বাড়লেও ফ্ল্যাটের দাম বাড়ানো যায় না। আবার অবিক্রীত ফ্ল্যাটগুলোর দাম বেশি হওয়ায় ক্রেতা পাওয়া যায় না। আবাসন খাত আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে। অনেক সময় দেখা যায়, আমদানিকৃত কাঁচামালের দাম বিদেশে কমলেও আমাদের দেশে কমে না। কিন্তু ওখানে একটু বাড়লে দেশে দাম বাড়ানো হয় উল্লেখযোগ্য হারে। আবার দেশে নির্মাণসামগ্রীর মান যাচাইয়ে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেই। কিন্তু নিরাপত্তার স্বার্থে মান যাচাই করা খুবই জরুরি বলেও মনে করেন তারা। এ ছাড়া রিহ্যাব নেতারা নির্মাণসামগ্রীর দাম ও পণ্যের মান বজায় রাখতে মন্ত্রণালয়, রিহ্যাব, এফবিসিসিআই এবং সংশ্লিষ্ট স্টেক হোল্ডারের সমন্বয়ে একটি মনিটরিং সেল গঠনের দাবি জানান। এ সেল থেকে পণ্যের দাম ও মান নির্ধারণ করা হবে। বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী দাবি পর্যালোচনা করে বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন।