

পূর্ব চীন সাগরে ভূরাজনৈতিকভাবে সংবেদনশীল একগুচ্ছ দ্বীপের কাছে চীন ও জাপানের নৌযান মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে ভিন্ন বক্তব্য পাওয়া গেছে। গতকাল বেইজিংয়ের কোস্টগার্ড বলেছে, জাপানের একটি মাছ ধরার নৌযান সেনকাকু দ্বীপপুঞ্জের কাছে অবৈধভাবে প্রবেশ করেছিল। বেইজিং এই দ্বীপপুঞ্জকে দিয়াওয়ু দ্বীপপুঞ্জ নামে ডাকে, তারা এটিকে চীনা ভূখণ্ড হিসেবে দেখলেও দ্বীপপুঞ্জটি এখন জাপানের শাসনে আছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। এদিকে জাপানের কোস্টগার্ড বলছে, তারা জাপানি মাছ ধরার নৌকার দিকে এগিয়ে যাওয়া দুটি চীনা কোস্টগার্ডের জাহাজের পথরোধ করে তাদের এলাকা ছাড়তে বাধ্য করেছে। এমন এক সময়ে এ ঘটনা ঘটল, যখন দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছে, যার সূচনা হয়েছিল গত মাসে তাইওয়ান নিয়ে জাপানি প্রধানমন্ত্রীর এক বিতর্কিত মন্তব্যে। সে সময় পার্লামেন্টে এক প্রশ্নের জবাবে জাপানের প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচি তাইওয়ানে বেইজিং হামলা করলে টোকিও সামরিক পদক্ষেপ নিতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। চীন স্বশাসিত তাইওয়ানকে তার দেশের অংশ মনে করে, একে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে জুড়তে বল প্রয়োগের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেয়নি তারা।
পার্লামেন্টে তাকাইচির ওই ইঙ্গিতের পর থেকে বেইজিং ও টোকিও একে অন্যের বিরুদ্ধে নানান পদক্ষেপ নিয়েছে, যার অনেকগুলো দুই দেশের নাগরিকদের দৈনন্দিন জীবনেও প্রভাব ফেলছে।
তাইওয়ান সেনকাকু দ্বীপপুঞ্জ থেকে ১৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত। চীনা কোস্টগার্ডের (সিসিজি) মুখপাত্র লিউ দেজুন বলেছেন, চীনের নৌযানগুলো দিয়াওয়ু দাওর জলসীমায় অবৈধভাবে প্রবেশ করা একটি জাপানি মাছ ধরার নৌকার দিকে এগিয়ে যায় এবং তাদের সতর্ক করে। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, দ্বীপপুঞ্জটিকে চীনা এলাকা দাবি করে লিউ জাপানকে ‘এই জলসীমায় সব ধরনের হস্তক্ষেপ ও উসকানিমূলক কার্যক্রম তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধের’ আহ্বান জানিয়েছেন। জাপান কোস্টগার্ডের (জেসিজি) বক্তব্য আলাদা। তারা বলছে, মঙ্গলবার ভোরের আগে চীনা নৌযানগুলোকে জাপানি জলসীমায় ঢুকতে দেখে তারা ছুটে যায় এবং চীনের ওই নৌযানগুলোকে এলাকা ছাড়তে বলে।
মন্তব্য করুন