

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সব কার্যক্রম স্থগিত করার জন্য একটি রিট দায়ের করা হয়েছে। বুধবার (৩ ডিসেম্বর) নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ কংগ্রেসের মহাসচিব অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম এ রিটটি দায়ের করেন।
রিট আবেদনে জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার পরিবর্তে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া কেন অবৈধ হবে না তা ব্যাখ্যা করার জন্য রুল জারি করার আবেদন করা হয়েছে। পাশাপাশি, রিটে বলা হয়েছে, রুলের শুনানি না হওয়া পর্যন্ত আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সব কার্যক্রম স্থগিত রাখা হোক।
রিটে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে। রিটকারী আইনজীবী জানান, আগামী সপ্তাহে হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চে রিটের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে, ২৯ নভেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন জানান, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তপশিল ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে ঘোষণা করা হবে। তিনি বলেন, আমরা মোটামুটি সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি এবং ইনশাআল্লাহ, জনগণকে সুন্দর, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করব।
এদিকে বুধবার নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেছেন, স্বচ্ছ নির্বাচন নিশ্চিত করতে গণমাধ্যম অপরিহার্য। দেশের স্বার্থে একটি ভালো নির্বাচনের বিকল্প নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে এবারের নির্বাচন নতুন মাত্রা যোগ করবে।
তিনি উল্লেখ করেন, গত দেড় দশকে দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সবার দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রয়োজন।
মোহাম্মদ সানাউল্লাহ আরও বলেন, দুটি ভোট একসঙ্গে দিতে একজন ভোটারের গড়ে তিন থেকে সাড়ে তিন মিনিট সময় লাগে। তিনি ভোটের দিন গণমাধ্যমের অবাধ চলাচল নিশ্চিত করার আশ্বাসও দেন।
একই অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চাপে এখন ব্যস্ত সময় পার করছে নির্বাচন কমিশন। শতাব্দীর সর্বোত্তম নির্বাচন আয়োজন করাই ইসির লক্ষ্য বলেও তিনি জানান।
ইটিআই মহাপরিচালক মেহাম্মদ হাসানুজ্জামানের সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন