রাশিয়ার ভাড়াটে সেনাবাহিনী ওয়াগনার গ্রুপ দেশটির সামরিক নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছে। ওয়াগনারের প্রধান ইয়েভগিনি প্রিগোজিন গতকাল শনিবার প্রায় ২৫ হাজার সেনা নিয়ে ইউক্রেন থেকে রাশিয়ার রোস্তোভ প্রদেশে প্রবেশ করেন। ওয়াগনার বাহিনীর আকস্মিক বিদ্রোহ ঘোষণা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে ইউক্রেন ও কয়েকটি পশ্চিমা দেশ। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।
ওয়াগনারের বিদ্রোহকে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান হিসেবে অভিহিত করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা মিখাইলো পোদোলিয়াক। তিনি বলেন, প্রিগোজিনের ওয়াগনার বাহিনী এরই মধ্যে রোস্তোভ দখল করেছে। এ ছাড়া এ বিদ্রোহকে রাশিয়ার অভিজাত সমাজের মধ্যে একটি ভাঙন হিসেবে অভিহিত করেন তিনি। বলেন, অভিজাতদের মধ্যে ভাঙন অবশ্যম্ভাবী। সবকিছুরই সমাধান হবে এমন মনে করা বা ভান ধরা কোনোটিই কাজে দেবে না। এখানে অবশ্যই কারও না কারও হার হবে। সন্ত্রাসবিরোধী এ অভিযানে হয় প্রিগোজিন অথবা তার বিরোধীদের হার হবে। তবে এটা বলা যায়, রাশিয়ায় সবকিছুর শুরুটা হলো মাত্র।
ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতি জানায়, ২৪ জুন সকালে ইউক্রেন থেকে দুদিক দিয়ে ওয়াগনার সেনারা রাশিয়া প্রবেশ করেছে। এটিকে ওয়াগনার প্রধান প্রিগোজিন ‘মার্চ ফর ফ্রিডম’ হিসেবে অভিহিত করেন। ওয়াগনার সেনারা রোস্তোভের সেনা সদর দপ্তরসহ সামরিক অবকাঠামোর নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। বাকি সেনারা ভোরেৎজের দিক দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল রাজধানী মস্কো—এটা বেশ স্পষ্ট। তবে ওয়াগনার এবং রাশিয়ার সেনাদের মধ্যে কোনো ধরনের সংঘর্ষের খবর এখনো পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া ওয়াগনার সেনারা যখন এগিয়ে আসছিলেন তখন রাশিয়ার সেনারা অনেকটা নিষ্ক্রিয় ছিলেন। আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এ ঘটনার ফল জানা যাবে বলেও এতে জানানো হয়।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ রাশিয়ার এমন পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন বলে তার দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছে, ওয়াগনার বাহিনীর বিদ্রোহের ঘোষণা রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ বিষয়। তার পরও তারা এতে নজর রাখছে।
মন্তব্য করুন