ছবিটা যেমনই হোক, সিভির গঠন ও ভাষা দেখে যদি মনে হয় আপনি এখনো সেকেলে রয়ে গেছেন, তবে শর্টলিস্টেড হওয়ার সম্ভাবনা যাবে কমে। তাই বয়স যতই হোক, সিভিতে যেন আপনাকে তরুণ দেখায়, এর জন্য মেনে চলুন চেকলিস্ট। জানাচ্ছেন ফয়সল আবদুল্লাহ।
ফোকাস ও সিভির আকার
এক্সপেরিয়েন্সড হওয়া আর বুড়ো হওয়া এক বস্তু নয়। যে পদে আবেদন করছেন ওই পদে আপনি কতটা যোগ্য ও অভিজ্ঞ, সিভিতে উঠে আসতে হবে সেটাই। তাই সবার আগে ফোকাস করুন জব ডেসক্রিপশনে। আপনার ২০-২৫ বছরের নানা ধরনের চাকরির অভিজ্ঞতার সবকিছুই যে নতুন চাকরিতে কাজে লাগবে তা নয়। তাই মনটাকে কশে বেঁধে সিভিতে কাঁচি চালান।
বয়স ও চাকরির অভিজ্ঞতা যত বাড়বে, ততই বলার মতো সফলতার গল্প বাড়বে। তাই বলে সিভিটাকে উপন্যাস বানাবেন না। কাজের কথা দিয়ে দুই পাতার মধ্যে আটকে দিন নিজের কর্মময় জীবনটা। একদম শুরুতে কোন প্রতিষ্ঠানে ইন্টার্ন হিসেবে কাজ করেছেন, সেসব ইতিহাস টানার প্রয়োজন নেই। অভিজ্ঞতা লেখার ক্ষেত্রে রেফারেন্স, অভিজ্ঞতার সনদ আছে কি না, প্রত্যাশিত পদের বিপরীতে ওই অভিজ্ঞতা কতটা কাজে আসবে সেসব ভাবুন আগে।
প্রযুক্তি
নিজের নামে একটা ডোমেইন থাকলে সেই ডোমেইনের অধীনে সম্ভব হলে নিজের ইমেইল অ্যাড্রেস তৈরি করুন। যেমন [email protected]। এই এক ইমেইল অ্যাড্রেসই বলে দেবে আপনি প্রযুক্তি নিয়ে কতটা জ্ঞান রাখেন। সেইসঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে হোয়াটসঅ্যাপের নম্বর, স্কাইপি, এসবও উল্লেখ করে দেবেন। যাদের ডট কম ডোমেইন নেই তারা প্রয়োজনে বিনামূল্যে নিজের একটা ব্লগ ঠিকানা উল্লেখ করতে পারেন। যেখানে আপনার নানা ধরনের কাজের উদাহরণ, সাফল্যের গল্প ও যাবতীয় দক্ষতার পোর্টফোলিও পাওয়া যাবে।
অন্যদিকে এখনো অনেকে টাইপ করার ক্ষেত্রে ফুলস্টপের পর দুটো স্পেস ব্যবহার করেন। এই একটি ভুলের মাশুল কিন্তু বেশ কড়া। টাইপরাইটারের যুগ ভুলে গিয়ে কম্পিউটারে টাইপ করার নিয়মকানুন ও ফরম্যাটিং শিখে রাখুন।
বাদ দিন অবজেকটিভ
আপনি রকেট সায়েন্টিস্ট হতে চাইলে নিশ্চয়ই মার্কেটিং ম্যানেজার পদে আবেদন করবেন না। সুতরাং সিভির ‘অবজেকটিভ’ অংশটা নিয়ে নিয়োগকর্তার সত্যিকার অর্থেই মাথাব্যথা থাকার কথা নয়। শুরুতেই নিয়ে আসুন নির্ধারিত পদের বিপরীতে আপনার মূল দক্ষতা ও অর্জনগুলোর কথা।
লিঙ্কডইন
সমৃদ্ধ লিঙ্কডইন প্রোফাইল থাকলে নিজেকে আপডেটেড দাবি করতেই পারেন। আপনার প্রোফাইলের কানেকশনগুলোও সে ক্ষেত্রে আপনার নীরব রেফারেন্স হিসেবে কাজ করবে।
মন্তব্য করুন