রাশেদ রাব্বি
প্রকাশ : ১৬ আগস্ট ২০২৪, ০৩:০০ এএম
আপডেট : ১৬ আগস্ট ২০২৪, ০৮:০৪ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

দলবাজির পরিণামে ভুগছে স্বাস্থ্য খাত

নিয়মনীতির তোয়াক্কা করেনি বিগত সরকার
দলবাজির পরিণামে ভুগছে স্বাস্থ্য খাত

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনের প্রভাব পড়েছে স্বাস্থ্য খাতে। এতদিন যারা ক্ষমতার দাপটে আধিপত্য দেখিয়েছেন, তারা আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর গা ঢাকা দিয়েছেন। চিকিৎসক ও শিক্ষকদের অনুপস্থিতির কারণে বিভিন্ন হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজে সংকট তৈরি হয়েছে। এমনকি স্বাস্থ্য প্রশাসনেও এর প্রভাবে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাড়তি সুযোগ-সুবিধা পেতে রাজনৈতিক দলের লেজুড়বৃত্তি করে চিকিৎসকরা অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। অবস্থার উত্তরণে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত স্বাস্থ্য খাত গড়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

জনস্বাস্থ্যবিদ অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ বলেন, ‘চিকিৎসক পেশাজীবীরা বিশেষ সুবিধা পেতে রাজনৈতিক দলের অঙ্গসংগঠনে সম্পৃক্ত হন। এতে অনেক ক্ষেত্রে অযোগ্যরা পদোন্নতিসহ বিভিন্ন সুবিধা পেয়েছেন, যোগ্যরা বঞ্চিত হয়েছেন। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিগত সময়ে রাজনৈতিক সুবিধাপ্রাপ্তরা শঙ্কিত, আতঙ্কিত ও বিব্রত বোধ করছেন। ফলে তারা কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকছেন। এতে স্বাস্থ্য প্রশাসনের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।’

অধ্যাপক বে-নজির বলেন, ‘স্বাস্থ্যসেবা যেন ব্যাহত না হয়, সেজন্য বর্তমান সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দিতে হবে, যিনি যে দায়িত্বে আছেন, তিনি সেই দায়িত্ব পালন করবেন। কারও বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। এরপর একটা কমিশন করতে হবে, সেই কমিশন বিগত সময়ের সব বদলি, পদায়ন, পদোন্নতি বিশ্লেষণ করে যারা বঞ্চিত হয়েছেন তাদের প্রাপ্য মর্যাদার সুপারিশ করবে। যদি কেউ অনৈতিক সুবিধাপ্রাপ্ত হয়ে থাকেন, তাহলে বাতিল করতে হবে। একই সঙ্গে কারও বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম বা দুর্নীতির অভিযোগ থাকলে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। এতে বৈষম্য দূর হবে। এ ছাড়া সরকারি চাকরিতে নিযুক্ত কোনো চিকিৎসক রাজনৈতিক কাজে যুক্ত হতে পারবেন না এই মর্মে বিধিবিধান জারি করতে হবে। বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনই (বিএমএ) চিকিৎসকদের একমাত্র অরাজনৈতিক সংগঠন। যার মাধ্যমে চিকিৎসকরা তাদের দাবি-দাওয়া উপস্থাপন করবেন।’

সংশ্লিষ্টরা জানান, গত ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পরই রাজধানীসহ সারা দেশে আওয়ামী সমর্থিত চিকিৎসকরা সরকারি বেসরকারি কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকছেন। টানা পাঁচ দিন অনেকেই কর্মস্থলে আসেননি। এমনকি জাতীয় ইনস্টিটিউটগুলোর প্রধান এবং মেডিকেল কলেজের বিভাগীয় প্রধানরাও অনুপস্থিত। ওই সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনাও ঘটেছে। বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশসহ নানাভাবে মহড়া দিয়ে শক্তি প্রদর্শন করেছেন আওয়ামী লীগবিরোধী চিকিৎসক-কর্মকর্তারা। এমনকি রাজধানীর বেসরকারি মেডিকেল কলেজ শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজসহ সারা দেশে আওয়ামী সমর্থিত অনেক চিকিৎসকের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান দখলে নেওয়া হয়েছে, যা স্বাস্থ্য খাতের স্থবিরতা দীর্ঘায়িত করছে।

এমন পরিস্থিতির জন্য রাজনীতিবিদ এবং পেশাজীবী উভয় পক্ষকেই দায়ী করছেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. রশীদ ই মাহবুব। তিনি বলেন, ‘সরকার এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করে যে পেশাজীবীরা প্রয়োজনীয় বা অতিরিক্ত সুযোগ-সুবিধা পেতে দলবাজি করতে বাধ্য হন। কিন্তু চিকিৎসা একটি সর্বজনীন পেশা। তাই এই পেশায় জড়িতদের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত করা যাবে না। বদলি পদায়ন রাজনীতিমুখী না করে উপযুক্ততার ভিত্তিতে নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় এই পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি ঘটবে।’

সংশ্লিষ্টরা জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীনে বর্তমানে ৩৬ হাজার ক্যাডার পদ রয়েছে। যেখানে প্রথম শ্রেণির পদ মাত্র দুটি আর দ্বিতীয় শ্রেণির পদ রয়েছে ১৪টি। তবে এসব পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে বিগত সময়ে মানা হয়নি জনপ্রশাসন নীতিমালা। যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা এবং জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে পদায়ন নিয়মে পরিণত হয়। কর্তৃপক্ষের এসব স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্তে অনেকেই হতাশ ও ক্ষুব্ধ হয়েছেন।

গুরুত্বপূর্ণ পদে উপেক্ষিত নীতিমালা:

স্বাস্থ্য প্রশাসনের বর্তমান চিত্র বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, দুটি অধিদপ্তরে কর্মরত চারজন অতিরিক্ত মহাপরিচালকের মধ্যে তিনজনই পদের জন্য উপযুক্ত নন। এর মধ্যে স্বাস্থ্য সেবা অধিদপ্তরের একজন ১৯৯৯ সালে অ্যাপিডেমিওলজি বিভাগে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। তার এই বিষয়ের দায়িত্বে থাকার কথা। কিন্তু তাকে এডিজি করার ক্ষেত্রে নিয়মের ব্যত্যয় হয়েছে। আরেকজন ১৮ বিসিএসের মাধ্যমে সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করেন। এ ছাড়া অনেকে প্রকল্পে চাকরি নিয়ে ৪০তম বিসিএসে ক্যাডারভুক্ত হয়ে এডিজি হয়েছেন, যা কোনোভাবেই বিধিসম্মত নয়। বর্তমানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ১১, ১৩ ও ১৫তম বিসিএসের কর্মকর্তা রয়েছেন। যারা ১০ থেকে ১২ বছর একই পদে কর্মরত আছেন। অনেকে বেতনের সর্বশেষ ধাপ এরই মধ্যে অতিক্রম করেছেন। তাদের বঞ্চিত করে অপেক্ষাকৃত কনিষ্ঠ কর্মকর্তাকে এই পদে পদায়ন করা হয়েছে। ২০১৫ সালের আগে হলে তারা সিলেকশন গ্রেড পেতেন, কিন্তু সেই সুযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা উচ্চতর গ্রেডের সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। মন্ত্রণালয় চাইলে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে তাদের পদায়ন করা সম্ভব ছিল।

চুক্তিভিত্তিক নিয়োগেও নীতিমালার বালাই নেই:

মৌলিক বিষয়ের (বেসিক সাবজেক্ট) অধ্যাপক সংকটের কারণে সরকার চিকিৎসা, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে পেশাগতভাবে দক্ষ চিকিৎসকদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের বিধান করে। এক্ষেত্রে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্তদের নির্দিষ্ট দায়িত্ব পালনের কথা থাকলেও তাদের বিধিবহির্ভূতভাবে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। যেমন অবসরের পর প্রাণরসায়ন বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আলীকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে বিধিবহির্ভূতভাবে তাকে টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের পরিচালক হিসেবে পদায়িত করা হয়েছে। ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ডা. আমিরুল ইসলাম সিরাজগঞ্জ শহীদ মুনসুর আলী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ এবং অ্যানেসথেশিয়া বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আবদুল কাদেরকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে। তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অবসরপ্রাপ্ত পরিচালক অধ্যাপক আহসান হাবিবকে ফিজিওলজির অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হলেও এ ধরনের সুবিধাজনক পদে দেওয়া হয়নি। এ থেকে প্রতীয়মান হয় যে, বিগত সরকারের সময়ে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের ক্ষেত্রে নিয়মনীতি মানা হয়নি।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চলতি দায়িত্ব, অতিরিক্ত দায়িত্ব নীতিমালায় বলা হয়েছে, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত বা প্রকল্পে কর্মরত কোনো চলতি দায়িত্ব দেওয়া যাবে না।

প্রকল্প/অ্যাডহক থেকে অ্যানক্যাডারমেন্টে অনিয়ম সুস্পষ্ট:

সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পে যাদের নিয়োগ হয়েছে অথবা অ্যাডহক ভিত্তিতে যাদের নিয়োগ হয়েছে, নিয়োগ-পরবর্তী বিসিএসের পরে তারা সংযুক্ত হবেন। কিন্তু অধিদপ্তরের একজন অতিরিক্ত মহাপরিচালক, ঢাকা মেডিকেল কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষসহ অনেকে সহযোগী অধ্যাপক, অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি নিয়েছেন। কিন্তু এদের কারোই ষষ্ঠ গ্রেড কনফার্ম করা হয়নি। অর্থাৎ কারোই সরকারি চাকরি স্থায়ী হয়নি কিন্তু দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ গ্রেডের পদে দায়িত্ব পালন করছেন। স্বাস্থ্যের দুজন এমন কর্মকর্তার ব্যক্তিগত তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, তারা অ্যানক্যাডার হওয়ার মাত্র তিন বছরের মধ্যে অধ্যাপক হয়েছেন। অথচ ক্যাডারদের ক্ষেত্রে সহযোগী অধ্যাপক থেকে অধ্যাপক হতে কমপক্ষে পাঁচ বছর সময় লাগে। এমনকি বিশেষায়িত ইনস্টিটিউট যেমন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অফথালমোলজি, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের পরিচালকরা বছরের পর বছর চুক্তিভিত্তিক দায়িত্ব পালন করছেন।

পদোন্নতির ক্ষেত্রে নিয়মানুযায়ী প্রশাসনিকভাবে তালিকা করে যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে পদোন্নতি দেওয়ার কথা। কিন্তু এক্ষেত্রেও নিয়মের ব্যত্যয় সুস্পষ্ট লক্ষণীয়। একদিকে চিকিৎসকরা প্রশাসনের মাধ্যমে আবেদন না করে সোসাইটির প্যাডে আবেদন করেছেন। অন্যদিকে বিশেষায়িত বিভাগগুলোকে অণু-পরমাণুতে ভাগ করে (সাব-স্পেশালিটি) পদোন্নতি চাওয়া হয়েছে। এতে সরকারি হাসপাতালগুলোতে রোগীরা প্রাপ্ত সেবা থেকে বঞ্চিত হবেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বাস্থ্য প্রশাসনের দুজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, বিগত সরকারের সময়ে স্বাস্থ্য প্রশাসনে নিয়মনীতি কদাচিৎ পালন করা হতো।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক সাবেক কর্মকর্তা বলেন, ‘বর্তমানে দেশে ভিন্ন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিরাজমান। বিগত ১৬ বছর স্বাস্থ্য খাতে যে ধারা সৃষ্টি হয়েছিল এই প্রেক্ষাপটে সেই ধারা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এতে কর্মরত অনেকেই আতঙ্কিত ও শঙ্কিত হয়ে কর্মস্থলে অনুপস্থিত আছেন। ফলে স্বাস্থ্যসেবা এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা উভয় কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তবে একটি বিষয় মনে রাখতে হবে, গত ১৬ বছর স্বাস্থ্য খাতের স্বাভাবিক গতি-প্রকৃতির যে পরিবর্তন হয়েছে সেখানে হঠাৎ করে এসে কাজ করা কঠিন হবে। এক্ষেত্রে কর্মকর্তাদের গণপরিবর্তন না করে পর্যায়ক্রমে পরিবর্তন করতে হবে। নয়তো স্বাস্থ্য খাতের স্থবিরতা কাটানো কঠিন হয়ে পড়বে।’

তিনি মনে করেন, ‘রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তির কারণেই এ ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এই সংস্কৃতি পরিবর্তনে সময় এবং সদিচ্ছা প্রয়োজন।’

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সত্যিই ৩৮ বছরের দাম্পত্য জীবনে ইতি টানছেন গোবিন্দ ও সুনীতা

ফেনী থেকে নির্বাচন করবেন এবি পার্টির চেয়ারম্যান 

চাঁদাবাজি ও ছিনতাইর অভিযোগে সাবেক সমন্বয়ক গ্রেপ্তার

অনুপ্রবেশকারীদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলল ছাত্রদল

ঐকমত্য কমিশনে মতামত দেয়নি যেসব দল

গ্রোক চ্যাটবটের সঙ্গে কথোপকথনের লাখো তথ্য ফাঁস

গাজায় কোনো দুর্ভিক্ষ নেই, বলল ইসরায়েল

হোটেলে নিয়ে তরুণীকে ধর্ষণ, সাবেক সমন্বয়কের বিরুদ্ধে মামলা

অজিদের বিপক্ষে প্রোটিয়াদের রেকর্ড সিরিজ জয়

তিস্তা সেচ ক্যানেলে নেমে ২ শিশুর মৃত্যু 

১০

ধীরে ধীরে সঙ্কুচিত হচ্ছে সৌরজগতের সবচেয়ে দ্রুতগতির গ্রহ

১১

পূর্ণাঙ্গ সংস্কার না হলে নির্বাচন নিয়ে সংশয় তৈরি হবে : ডা. তাহের

১২

ডাকসুর নারী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার, মুখ খুললেন সাদিক কায়েম

১৩

নিখোঁজের পর নদীতে মিলল সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকারের মরদেহ

১৪

আরও উন্নত ব্যাকআপ সুবিধা নিয়ে গুগল

১৫

গেণ্ডারিয়ায় ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণে দগ্ধ একজনের মৃত্যু

১৬

যুক্তরাষ্ট্রে ৫ কোটি ৫০ লাখ ভিসাধারীকে যাচাই শুরু, প্রমাণ মিললে ব্যবস্থা

১৭

পিআর পদ্ধতির নামে নির্বাচন পেছাতে ষড়যন্ত্র চলছে : মীর সরফত 

১৮

খানকাহ রহমানি মসজিদ : রাজীব থেকে রাহুল গান্ধী

১৯

সৌদির নারীদের সম্পর্কে চমকপ্রদ তথ্য

২০
X