সাইদুল ইসলাম ও নূর হোসেন মামুন, চট্টগ্রাম
প্রকাশ : ১৫ মে ২০২৫, ১২:০০ এএম
আপডেট : ১৫ মে ২০২৫, ০৭:৪১ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

ছাত্ররাই ঠিক করবে তারা কেমন ভবিষ্যৎ চায়

চবির সমাবর্তনে ড. ইউনূস
ছাত্ররাই ঠিক করবে তারা কেমন ভবিষ্যৎ চায়

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘ছাত্রসমাজই ঠিক করবে তারা কেমন ভবিষ্যৎ চায়। পৃথিবীর ভবিষ্যৎ আমাদের নিজেদের প্রত্যেকের হাতে। আমরা যেভাবে বিশ্বকে গড়তে চাই, সেভাব গড়তে পারি। আমি যেভাবে বলেছি সেভাবেই গড়তে হবে—এমন কোনো কথা নেই। নিজের মনের একটি স্বপ্ন থাকতে হবে। এটাই আমার আবেদন।’ গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পঞ্চম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমরা কী ধরনের বিশ্ব চাই, কী ধরনের সমাজ চাই, কী ধরনের সংস্কার চাই, কী ধরনের শিক্ষা ব্যবস্থা চাই—এগুলো আমার মনের মাধুরী মিশিয়ে আমাকেই বের করে নিতে হবে। গর্তের মধ্যে ঢুকে গেলাম, যা আছে তাই মেনে নিলাম, তাহলে কিছুই পাল্টাবে না, কিছুই পরিবর্তন হবে না।’

এর আগে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে বুধবার সকালে চট্টগ্রামে যান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। চবির সমাবর্তনে যোগদানের আগে তিনি চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শন করেন। পরে সেখান থেকে চট্টগ্রামের সার্কিট হাউসে গিয়ে চট্টগ্রামের কালুরঘাটে কর্ণফুলী নদীর ওপর বহুল প্রত্যাশিত রেলসহ সড়ক সেতু নির্মাণকাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন তিনি। পরে তিনি নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজন করা পঞ্চম সমাবর্তনে যোগ দিতে সড়কপথে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যান। ক্যাম্পাসে প্রবেশ করার পর থেকেই গাউন পরিহিত ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উচ্ছ্বসিত দেখা গেছে। মুখভরা হাসিই বলে দিচ্ছিল তিনি কতটা খুশি। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠায় অনন্য অবদানের জন্য চবি কর্তৃপক্ষ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সম্মানসূচক ডি লিট ডিগ্রি প্রদান করে।

সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ভাষণদানকালে তিনি শিক্ষার্থীদের নতুন এক বিশ্ব গড়তে স্বপ্ন দেখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘বর্তমানে যে সভ্যতা চলছে, তা একটি ধ্বংসাত্মক অর্থনীতির সভ্যতা। আমরা যে অর্থনীতি তৈরি করেছি, তা মানুষের জন্য নয়, বরং ব্যবসার জন্য। ব্যবসাকেন্দ্রিক এই সভ্যতা আত্মঘাতী এবং তা টিকবে না।’

ড. ইউনূস বলেন, দীর্ঘদিন পর তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে আনন্দিত। তিনি স্মরণ করেন, ১৯৭২ সালে চবিতে শিক্ষক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। তিনি ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ এবং কীভাবে গ্রামীণ ব্যাংক চট্টগ্রামে দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষদের সহায়তা করতে গঠিত হয়েছিল, তা তুলে ধরেন। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকের জন্ম হয়েছিল চবির অর্থনীতি বিভাগে।

সমাবর্তন অনুষ্ঠান শেষে বিকেলে তিনি চট্টগ্রামে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রথম শাখা পরিদর্শন করেন। প্রধান উপদেষ্টার পুরো সফরজুড়ে তার সঙ্গী ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম, প্রধান উপদেষ্টার স্পেশাল এনভয় লুৎফে সিদ্দিকী, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম প্রমুখ।

চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শন: প্রধান উপদেষ্টা ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট বুধবার সকাল ৯টা ২২ মিনিটে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পর সেখান থেকে তিনি চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শনে যান। বন্দরের অভ্যন্তরে এনসিটি-৫ প্রাঙ্গণে একটি সভায় অংশ নেন প্রধান উপদেষ্টা।

চট্টগ্রাম বন্দরের গুরুত্ব তুলে ধরে সভায় ড. ইউনূস বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দর বাংলাদেশের অর্থনীতির হৃৎপিণ্ড। যদি হৃৎপিণ্ড দুর্বল হয়, কোনো ডাক্তারই তা আর ভালো করতে পারে না। তাই একে বিশ্বমানের করতে হবে। বন্দর ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত বৈশ্বিক পর্যায়ের শীর্ষ সংস্থাগুলোকে আগেও ডাকা হয়েছিল, কিন্তু কার্যকর কোনো অগ্রগতি হয়নি। এই হৃৎপিণ্ডকে আমাদের প্রতিবেশীদের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে। এজন্য আমি নেপাল ও ভারতের সাতটি উত্তর-পূর্ব রাজ্যের (সেভেন সিস্টার্স) কথা বলেছি। যদি তারা এতে যুক্ত হয়, তারা উপকৃত হবে, আমরাও হবো। যারা যুক্ত হবে না, তারা পিছিয়ে পড়বে।’

তিনি বলেন, ‘বিশ্ব অনেক এগিয়ে গেছে, আর আমরা অনেক পিছিয়ে পড়েছি। কেউ গুরুত্ব দেয় না। এজন্য আমি পরিবর্তনের জন্য চাপ দিচ্ছি। আমি বলেছি বন্দরের পরিচালনার দায়িত্ব বিশ্বের শীর্ষ অপারেটরদের হাতে তুলে দিতে। আশা করি, সবাই একদিন বুঝবে। চট্টগ্রাম বন্দরকে আন্তর্জাতিক মানের বন্দরে উন্নীত করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিশ্বের খ্যাতিসম্পন্ন বন্দর ব্যবস্থাপনা সংস্থাগুলোকে আমন্ত্রণ জানিয়ে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এক সময় আমাদের বন্দরে কর্মরতরাই বিশ্ব বন্দর লিড করবে। এর জন্য আমাদের জানতে হবে। জানার জন্য তাদের আসা দরকার।’

প্রধান উপদেষ্টার বন্দর উন্নয়নের আগ্রহের প্রশংসা করে সভায় নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরের আশপাশে একাধিক টার্মিনাল নির্মাণ কনটেইনার জট কমাতে সাহায্য করবে। আমি আশা করি, আগামী ছয় মাসের মধ্যেই আপনি পরিবর্তন দেখতে পাবেন।’

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান বলেন, ‘বন্দর আধুনিকায়নের বিকল্প নেই। বাংলাদেশের ৯২ শতাংশ বৈদেশিক বাণিজ্য এবং তার ৯৮ শতাংশ নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল দিয়ে সম্পন্ন হয়। প্রাকৃতিক কারণে ২০০ মিটারের বেশি দৈর্ঘ্যের জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়তে পারে না। এ কারণে বিশ্বব্যাংকের এক সমীক্ষা অনুযায়ী বাংলাদেশ প্রতিদিন প্রায় ১০ লাখ ডলারের ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।’

কালুরঘাট সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন: বন্দরে আলোচনা সভা শেষে প্রধান উপদেষ্টা যান চট্টগ্রামের সার্কিট হাউসে। সেখানে বেলা ১১টায় তিনি চট্টগ্রামের কালুরঘাটে কর্ণফুলী নদীর ওপর বহুল প্রত্যাশিত রেলসহ সড়ক সেতু নির্মাণকাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন এবং সেতুর ভিত্তিপ্রস্তরের স্মারক ফলক উন্মোচন করেন। তবে সেই স্মারক ফলকে ছিল না তার নাম।

অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘কালুরঘাট ব্রিজে আমার অনেক স্মৃতি। এই সেতুর ঐতিহাসিক গুরুত্ব অনেক। আজ এখানে বোয়ালখালীর বাসিন্দারাও উপস্থিত আছেন। কালুরঘাট সেতু তাদের বহুল আকাঙ্ক্ষিত। এটি তৈরি হয়ে গেলে চট্টগ্রামবাসীর বহু কষ্টের অবসান হবে।’

এই সেতু প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান জানান, দক্ষিণ চট্টগ্রামের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি কর্ণফুলী নদীর ওপর নতুন একটি কালুরঘাট সেতু নির্মাণ। এর নিমার্ণকাজ শুরু হওয়ায় বোয়ালখালীসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামবাসী উৎফুল্ল। এখন যে সেতুটি আছে, ১৯৩১ সালে সেটি নির্মাণ করা হয়েছিল। যদি এর মেয়াদকাল ৮০ বছরও ধরা হয়, তবে ২০১১ সালে এর মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। নতুন সেতুর কাজ ২০২৯ সালের মধ্যে শেষ করে ২০৩০ সালে চালু হওয়ার কথা রয়েছে।

চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা নিরসনে পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ: কালুরঘাট সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পর তিনি সার্কিট হাউস সম্মেলন কক্ষে চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনবিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় যোগ দেন। এ সময় তিনি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, জেলা প্রশাসনসহ স্থানীয় সেবা কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত অন্যান্য প্রতিষ্ঠান এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের নানা উদ্যোগ ও অভিজ্ঞতার কথা শোনেন এবং সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন। তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা চলতি বছরের বর্ষা মৌসুমে আগের তুলনায় অর্ধেকে এবং ক্রমান্বয়ে শূন্যে নামিয়ে আনতে হবে। আমরা অনেক রকম থিয়োরিটিক্যাল (তাত্ত্বিক) আলোচনা করেছি, সেসব আর করতে চাই না, আমরা চাই জলাবদ্ধতার সমস্যা থেকে চিরতরে বের হয়ে আসতে। কিন্তু সেটা একবারেই হবে না, তাই আমাদের ক্রমান্বয়ে অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘এ বছর যেহেতু বর্ষা মৌসুম এরই মধ্যে এসে গেছে, তাই এবার সমস্যা পুরোপুরি সমাধান সম্ভব হবে না। কিন্তু গত কয়েক মাসে সিটি করপোরেশনসহ স্থানীয় সরকারের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলো সম্মিলিতভাবে যে প্রচেষ্টা চালিয়েছে, তাতে যদি এ বছর আশানুরূপ ফল না আসে, তাহলে তো সবকিছু মনে হবে জলে গেল।’

চট্টগ্রাম হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালের জমির দলিল হস্তান্তর: দীর্ঘদিন পর চট্টগ্রাম সফরে গিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস চট্টগ্রামবাসীকে দিয়েছেন একটি উপহারও। চট্টগ্রামে একটি হার্ট ফাউন্ডেশন ছিল দীর্ঘদিনের দাবি। অনেক চেষ্টার পরও চট্টগ্রামে হয়নি হার্ট ফাউন্ডেশনটি। এবার সেদিকে নজর ছিল প্রধান উপদেষ্টার। গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে মতবিনিময় সভায় হার্ট ফাউন্ডেশনের জমির নিবন্ধিত দলিল হস্তান্তর করেন তিনি। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস চট্টগ্রাম হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালের জন্য নির্ধারিত জমির দলিল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুস সালামের হাতে তুলে দেন।

চট্টগ্রামের উন্নত অবকাঠামোর জন্য বন্দর উন্নয়নে গুরুত্বারোপ: পরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়গামী অক্সিজেন-হাটহাজারী সড়কের যানজট পরিস্থিতি সম্পর্কে ব্রিফিংকালে প্রধান উপদেষ্টা চট্টগ্রামের উন্নত অবকাঠামোর জন্য বন্দর উন্নয়নে গুরুত্বারোপ করেন।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামের উন্নত অবকাঠামোর জন্য বন্দর উন্নয়ন অপরিহার্য। চট্টগ্রাম বন্দরের উন্নয়ন করা গেলে শহর ও জেলার সড়ক যোগাযোগও অনিবার্যভাবে উন্নত হবে। চট্টগ্রামের উন্নয়ন মানেই দেশের উন্নয়ন। এর উন্নয়ন ছাড়া বাংলাদেশ এগোতে পারবে না। চট্টগ্রাম বন্দর উন্নয়নের মাধ্যমে শহর ও জেলার সড়ক অবকাঠামোও উন্নত হবে।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মঈনুল হাসান প্রধান উপদেষ্টাকে ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ গুরুত্বপূর্ণ সড়কটির বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করেন। তিনি বলেন, প্রতিদিন গড়ে ৩১ হাজার ৯৫৫টি যানবাহন এই সড়ক ব্যবহার করে, যার মধ্যে ৭৬ শতাংশ দুই চাকার যান, যা যান চলাচলে ধীরগতি সৃষ্টি করে। সড়কের পাশে অবস্থিত ৯টি বাজার যানজটের অন্যতম কারণ। এসব বাজার সরিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। প্রধান প্রকৌশলী অক্সিজেন-হাটহাজারী সড়কে যানজট কমাতে এলিভেটেড হাইওয়ে নির্মাণের প্রস্তাবও দেন।

গ্রামীণ ব্যাংকের প্রথম শাখা পরিদর্শন: চবির সমাবর্তন অনুষ্ঠান শেষে বুধবার বিকেলে তিনি চট্টগ্রামে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রথম শাখা পরিদর্শন করেন। এই শাখা প্রথমে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের কাছাকাছি স্থাপিত হয়। পরে এটি হাটহাজারীর একটি ভবনে স্থানান্তর করা হয়। গ্রামীণ ব্যাংকের শাখা পরিদর্শনের পরে প্রধান উপদেষ্টা হাটহাজারীর বাথুয়া গ্রামে নিজ পৈতৃক বাড়ি পরিদর্শন করেন এবং সেখানকার স্থানীয়দের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। নিজ পৈতৃক বাড়ি পরিদর্শনকালে তিনি তার পূর্বপুরুষদের কবর জিয়ারত করেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার জট নিরসনে বিশেষ আদেশ জারি

শ্রম বাজার খুলতে মালয়েশিয়ার তিন শর্ত

ভারতে অ্যাপলের কারখানা নিয়ে ট্রাম্পের তীব্র প্রতিক্রিয়া

এপিএস মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত শুরু

গরু নিয়ে গেছেন বিএনপি নেতা, বাছুর নিয়ে আদালতে নারী

নারায়ণগঞ্জে ব্যবসায়ী হত্যার দায়ে দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড, ৬ জনের যাবজ্জীবন

উপদেষ্টাকে বোতল ছুড়ে মারার ঘটনাটি ছিল অনাকাঙ্ক্ষিত : জবি শিক্ষার্থী

‘ছাত্রলীগ হইতে যাইয়েন না’

রোহিঙ্গা শিবিরে স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন

আরেক মুসলিম দেশের প্রতি পাকিস্তানের কৃতজ্ঞতা

১০

অন্তর্বর্তী সরকারকে ডানে-বামে তাকিয়ে দেশ শাসন করতে বললেন রিজভী

১১

ইউএনওর সভায় আ.লীগ নেতা

১২

কাশ্মীরে আবারও সেনাবাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধ, নিহত ৩

১৩

এবার ‘বোতল-বোতল’ স্লোগানে জবি শিক্ষার্থীরা

১৪

শ্রম বাজার নিয়ে বাংলাদেশকে বড় সুখবর মালয়েশিয়ার

১৫

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে রেকর্ড প্রাইজমানি, বাংলাদেশ পাবে কত?

১৬

সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে যেসব জায়গায় হতে পারে ঝড়

১৭

চলমান আন্দোলনে যোগ দিচ্ছেন সাবেক জবি শিক্ষার্থীরা

১৮

ঢাবির প্রশাসনিক ভবনে‌ জোরপূর্বক তালা দিল ছাত্রদল-বাম 

১৯

আইপিএলে খেলার অনুমতি পাচ্ছেন মোস্তাফিজ

২০
X