ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রশাসনিক ভবনে জোরপূর্বক তালা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল ও বাম ছাত্রসংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দুপুর একটায় শাখা ছাত্রদল ও বাম ছাত্রসংগঠনগুলোর একদল নেতাকর্মী প্রশাসনিক ভবনে ঢুকে পড়েন। এরপর ভবনের সব রুমে গিয়ে গিয়ে সবাইকে বের হয়ে যেতে বলেন। এরপর ছাত্রদল ও বাম নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে বাধ্য হয়ে ভবনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বেরিয়ে যান। এসময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান ভবনে ছিলেন না।
দুপুর দেড়টার দিকে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ভবনের সব রুমে ঝুলছে তালা। এসময় কয়েকজন কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সাথে কথা হয় কালবেলার। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা বলেন, তারা (ছাত্রদল ও বাম) এসেই বলতেছে কোনো কার্যক্রম চলবে না, সব বন্ধ থাকবে। সবাই বেরিয়ে যান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের ধর্ম সম্পাদক শরীফ উদ্দিন সরকার, আন্তর্জাতিক সম্পাদক মেহেদী হাসান, ক্রীড়া সম্পাদক সাইফ উল্লাহ সাইফ, কবি জসীমউদদীন হল ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক তানভীর বারী হামিম, সূর্য সেন হলের প্রচার সম্পাদক প্রান্ত মাহমুদ, বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক জাবির আহমেদ জুবেল, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের ঢাবি শাখার সংগঠক সীমা আক্তার প্রমুখ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রদলের ক্রীড়া সম্পাদক সাইফ উল্লাহ সাইফ কালবেলাকে বলেন, কারো সাথে কোনো ধরনের খারাপ ব্যবহার করা হয়নি। সবাইকে সুন্দরভাবে বের হয়ে যেতে বলা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ থাকার পরেও তারা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিল। এমনকি কেউ কোনো ধরনের কালো ব্যাজ ধারণ করেনি।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ করার ঘোষণা দেয়নি- এই বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে সাইফ বলেন, ‘অফিসিয়াল কার্যক্রমও বন্ধ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
তবে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুন্সী শামস উদ্দিন আহম্মদ কালবেলাকে জানান, আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম বন্ধ করা হয়নি। শুধু ক্লাস ও পরীক্ষা অর্ধ দিবস বন্ধ থাকবে এরকম ঘোষণা গতকাল বুধবার (১৪ মে) দেওয়া হয়েছিল। আজকে আবার নতুন করে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে ক্লাস ও পরীক্ষা পূর্ণ দিবস বন্ধ থাকবে।
রেজিস্ট্রার বলেন, ‘আজকে দুপুরে একদল শিক্ষার্থী (ছাত্রদল ও বাম) রুমে রুমে গিয়ে বলেন, দুই মিনিটের মধ্যে রুম থেকে বের হন। পরে ভবনের সবাই বাধ্য হয়ে বের হয়ে যান।’
মন্তব্য করুন