চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ : ১৫ মে ২০২৫, ০৫:২১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার জট নিরসনে বিশেষ আদেশ জারি

চট্টগ্রাম বন্দর। ছবি : সংগৃহীত
চট্টগ্রাম বন্দর। ছবি : সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বন্দরে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা কন্টেইনারগুলোর দ্রুত নিষ্পত্তি এবং বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে বিশেষ আদেশ জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

বুধবার (১৪ মে) ‘চট্টগ্রাম বন্দরে দ্রুত নিলাম, বিলিবন্দেজ ও ধ্বংস কার্যক্রমসংক্রান্ত বিশেষ আদেশ, ২০২৫’ জারি করা হয়।

আদেশে বলা হয়েছে, ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত যেসব পণ্য বন্দরে খালাস হয়নি, সেগুলোর কারণে বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। পুরোনো কেমিক্যাল ও বিপজ্জনক পণ্যগুলো বিস্ফোরণসহ বড় ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করেছে। এসব ঝুঁকি দ্রুত নিরসনে প্রচলিত প্রমিত নিলাম পদ্ধতির বাইরে গিয়ে ত্বরিত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।

বিশেষ আদেশ অনুযায়ী, নিষ্পত্তিযোগ্য পণ্যগুলোর ক্ষেত্রে সংরক্ষিত মূল্য নির্ধারণের প্রয়োজন হবে না। প্রথম নিলামে সর্বোচ্চ দরদাতার কাছে বিক্রির সুযোগ থাকবে, তবে কিছু ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হতে পারে। এছাড়া, শর্তযুক্ত বা নিষিদ্ধ পণ্য, যেগুলোর গুণগত মান নষ্ট হয়ে গেছে বা যেগুলোর নিলাম সম্ভব নয়, সেগুলো ধ্বংস বা নিষ্ক্রিয় করতে প্রযুক্তিগতভাবে সক্ষম বা বিশেষায়িত সংস্থার কাছে বিনামূল্যে হস্তান্তরের ব্যবস্থা করা যাবে।

দুই দফা নিলামেও যদি কোনো পণ্য বিক্রি না হয়, তাহলে তৃতীয় নিলাম ছাড়াই ব্যাপক প্রচারণার মাধ্যমে আগ্রহী ক্রেতার কাছে সর্বোচ্চ প্রাপ্ত দামে তা বিক্রি করা যাবে। একইসঙ্গে মেয়াদোত্তীর্ণ বিপজ্জনক কেমিক্যাল জাতীয় পণ্য, যেগুলো পরীক্ষণ কর্তৃপক্ষের মতে এখনো ব্যবহারের উপযোগী, সেগুলো নির্ভরযোগ্য ক্রেতা বা বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানের কাছে সর্বোচ্চ অফারে বিক্রির সুযোগ রাখা হয়েছে।

এনবিআর আশা করছে, এ আদেশ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বন্দরের কন্টেইনার জট কমবে, দ্রুত পণ্য খালাস নিশ্চিত হবে, নিরাপত্তা ঝুঁকি হ্রাস পাবে এবং আমদানি-রপ্তানিকারকদের খরচ ও সময় কমবে। এতে দেশের অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করছে সংস্থাটি।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সাবেক সহসভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী কালবেলাকে বলেন, এ সিদ্ধান্তটি খুবই ভালো হয়েছে। কারণ এসব পণ্য পড়ে থাকায় বন্দরে দীর্ঘদিন ধরে জটের সংখ্যা বাড়ছে। আমরা নতুন করে নিয়মিত যেসব মালামাল আনছি, তা বন্দরে রাখতে কষ্ট হচ্ছে। বিশেষ করে বর্ষাকালে মালগুলো বাইরে পড়ে থাকে।

তিনি বলেন, আমরা যারা পোশাক নিয়ে কাজ করি আমাদের খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে পণ্য ডেলিভারি করতে হয়। কেউ যদি মালামাল বন্দরে ফেলে রাখে তখন দিনশেষে ব্যবহারকারীরাই ক্ষতিগ্রস্ত হন। আমরা এনবিআরের সিদ্ধান্তকে সাদুবাদ জানাই। এভাবে কাজের প্রক্রিয়া থাকা ভালো।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রিভিউ শুনানি দ্রুত করতে সব রাজনৈতিক দলের আবেদন

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞা

নেতানিয়াহুর ‘দুর্বল’ মন্তব্যের শক্তিশালী জবাব দিল অস্ট্রেলিয়া

এ যেন বক-পানকৌড়ির অভয়ারণ্য

সিপিএলে ব্যাট হাতে সাকিব ব্যর্থ হলেও জয় পেয়েছে দল

ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের দাবির প্রতিবাদে মধ্যরাতে বুয়েট শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

লুটের ২ শতাংশ পাথরও উদ্ধার হয়নি

ইউপি চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে মাথায় কাফনের কাপড় বেঁধে অবস্থান

রাজধানীতে আজ কোথায় কোন কর্মসূচি

যে কারণে লিগস কাপের কোয়ার্টারে ছিলেন না মেসি

১০

এইচএসসি পাসেই প্রাণ গ্রুপে চাকরি, পদ ৫০

১১

সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের বিশাল সেনাবহর

১২

কৃষককে কুপিয়ে জখম, আটক ২

১৩

ঢাকায় বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস 

১৪

ওমরাহ পালনে ইচ্ছুকদের জন্য বিশেষ সেবা চালু

১৫

সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন, মরদেহ মিলল প্রতিবেশীর পরিত্যক্ত টয়লেটে

১৬

সুয়ারেজের দুই পেনাল্টিতে মেসিবিহীন মায়ামির রোমাঞ্চকর জয়

১৭

গাজায় নতুন ধাপে ‘গণহত্যা’ শুরু করল ইসরায়েলের সেনাবাহিনী

১৮

ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স  / ওষুধ-চিকিৎসকের সংকটে ভোগান্তিতে রোগীরা

১৯

পাকিস্তানের হুমকির পর ‘অগ্নি ৫’ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল ভারত

২০
X