নির্বাচনে জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপারদের (এসপি) দলীয় দৃষ্টিভঙ্গির ঊর্ধ্বে থেকে দায়িত্ব পালন করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, কোনো সন্দেহ নেই নির্বাচন ঘনিয়ে এসেছে। নির্বাচন আয়োজন করা কঠিন কর্মযজ্ঞ। চাইলাম আর হয়ে গেল—এ রকম নয়। আপনারা যারা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার এবং আপনাদের সহকর্মীদের অনেক পরিশ্রম করতে হবে। তপশিল ঘোষণার পর অনেকটা ঘুমই হারাম হয়ে যাবে। যেহেতু এই দায়িত্ব আপনাদের ও আমাদের ওপর অর্পিত হয়েছে, কাজেই দায়িত্বটা নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করতে হবে। গতকাল শনিবার বিভাগীয় কমিশনার, উপমহাপুলিশ পরিদর্শক, পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের নির্বাচন-সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনা প্রশিক্ষণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
সিইসি বলেন, নির্বাচন জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে হবে। গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের হওয়ার অর্থ নির্বাচন অবাধ এবং সুষ্ঠু হয়েছে। জনগণকে দেখাতে হবে ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পেরেছে। কে নির্বাচনে এলো, কে এলো না—তা নয়। জনগণ যদি আসেন, ভোটাররা যদি আসেন, তারা যতি ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন তাহলে নির্বাচনে বড় সফলতা আসবে। তিনি আরও বলেন, আমরা প্রায় ১ হাজার ২০০ নির্বাচন করেছি। সেখানে প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যে সহযোগিতা পেয়েছি, তাতে সত্যিই কৃতজ্ঞ। দৃঢ় প্রত্যাশা থাকবে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আপনারা রাষ্ট্রের, সরকারের কর্মচারী হিসেবে দলীয় চিন্তা-ভাবনার ঊর্ধ্বে থেকে পক্ষপাতহীন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করে জনগণের আস্থা অর্জনে সক্ষম হবেন।
নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান বলেন, অতীতের আলোচনা-সমালোচনা নিয়ে আমি ভাবি না। কারণ অতীত পরিবর্তন করতে পারব না। তবে অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা এমন উদাহরণ সৃষ্টি করব যে, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এটি অনুকরণীয় হয়ে থাকবে। নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান বলেন, আপনারা প্রত্যেককেই নিজ নিজ ক্ষেত্রে দক্ষ। একটা সুষ্ঠু নির্বাচন যাতে হয়, এজন্য আপনারা সহযোগিতা করবেন। কেননা আমরা শুধু আমাদের দেখছি না, বহির্বিশ্বও দেখছে।
কর্মশালায় অন্য নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব, ইটিআই মহাপরিচালকসহ ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং ৩২ জেলার ডিসি-এসপি, চার বিভাগীয় কমিশনার ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। দুদিনের আবাসিক এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে ১১৭ জন মাঠ প্রশাসক, পুলিশ প্রশাসন ও ইসি কর্মকর্তা অংশ নেন।