ফয়সল আবদুল্লাহ
প্রকাশ : ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:৩২ এএম
আপডেট : ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৭:৪৪ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

প্লাস্টিক বর্জ্যের নতুন সমাধান

প্লাস্টিক বর্জ্যের নতুন সমাধান

অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব অ্যাডিলেইডের ন্যানোটেকনোলজি বিভাগের প্রধান শিঝাং কিয়াও ও তার গবেষণা দল ঘোষণা দিয়েই ফেললেন যে, প্লাস্টিক দূষণ নামে বিষফোড়াটা অতীতের খাতায় নাম লেখাতে যাচ্ছে। তারা পলিইথিলিনকে রিসাইকেল করার এমন এক উপায় বের করেছেন, যা থেকে একই সঙ্গে তৈরি হবে ইথিলিন ও মূল্যবান রাসায়নিক। আর এ কাজে তারা ব্যবহার করেছেন আলোকশক্তিচালিত এক ধরনের আণুবীক্ষণিক ধাতব প্রভাবক।

গবেষণাটির বিস্তারিত প্রকাশ করেছে সায়েন্স অ্যাডভান্সেস জার্নাল।

গবেষকরা বিষয়টিকে ‘রিসাইকেল’ বলছেন না। কারণ এতে ফের ব্যবহারযোগ্য এবং আরও উন্নত বস্তু তৈরি হবে। যে কারণে একে বলা হচ্ছে পলিইথিলিন আপসাইকেল। এতে তৈরি হবে ইথিলিন ও প্রোপিওনিক অ্যাসিড। এ কাজটি করবে আণবিক পর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়া একটি ধাতব প্রভাবক।

অধ্যাপক কিয়াও জানালেন, ‘সাধারণ তাপমাত্রায় অক্সিডেশন প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে দুটি ভিন্ন অণুর পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়ার মাধ্যমেই কাজটা করা হয়েছে। আপসাইকেলে নতুন করে পাওয়া বস্তুর মধ্যে ৯৯ ভাগই ছিল প্রোপিওনিক অ্যাসিড। এতে করে আগের প্রক্রিয়াগুলোর মতো এমন কোনো জটিল যৌগ তৈরি হয় যেগুলোকে আবার পৃথকীকরণ করার দরকার হয়। আর পুরো কাজে ব্যবহার করা হয়েছে সৌরশক্তি।’

কিয়াও আরও জানালেন, ‘পুরো প্রক্রিয়া চারটি জিনিস লেগেছে—প্লাস্টিক বর্জ্য, পানি, সূর্যের আলো ও নিরাপদ ফটোক্যাটালিস্ট উপকরণ। ওই ফটোক্যাটালিস্ট উপকরণটিই মূলত সূর্যের শক্তি বাগে এনে রাসায়নিক বিক্রিয়ার গতি বাড়িয়েছে।’

প্রতিদিনকার ফুড প্যাকেজিং থেকে শুরু করে বোতলের ঢাকনা মিলিয়ে প্রতিদিন কোটি কোটি টন প্লাস্টিক বর্জ্য তৈরি হচ্ছে। বেশিরভাগ জমা হচ্ছে ময়লার স্তূপে।

এখন এ ধরনের বর্জ্য রিসাইকেল করা হয় ৪০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো উচ্চ তাপমাত্রায় এবং এতে অনেক জটিল যৌগও তৈরি হয়। কিন্তু কিয়াওদের গবেষণায় পাওয়া ইথিলিন একদিকে শিল্পকারখানার জ্বালানি হিসেবে কাজে লাগবে, অন্যদিকে প্রোপিওনিক অ্যাসিড থেকে তৈরি হবে অ্যান্টিসেপটিক ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল পণ্য তৈরিতে।

এই গবেষণা প্লাস্টিক বর্জ্য অপসারণে একটি টেকসই পদ্ধতি বাতলে দিলেও সমস্যা একটি রয়ে গেছে এখনো। এর মধ্যে একটি হলো পলিমারের সহজে ভাঙতে না চাওয়ার প্রবণতা। আবার এ কাজে যে কাঠামো তৈরির দরকার সেটিও জটিল ঘরানার এবং এতে যে প্রভাবক কণাগুলো ব্যবহার করা হবে সেগুলোরও রয়েছে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।

তবে এ গবেষণাটি নিঃসন্দেহে একটি সুস্থ ও পরিচ্ছন্ন বিশ্ব গড়তে আরও উচ্চ-সক্ষমতাসম্পন্ন ফটোক্যাটালিস্ট তৈরির গবেষণায় গতি বাড়াবে, এমনটিই আশা করছেন কিয়াও ও তার দল।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শুল্ক কার্যকর হলো আজ, কীভাবে সামলাবেন মোদি?

শিক্ষার্থী-পুলিশ ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ

আবারও নিষিদ্ধ হতে পারে ভারতের ফুটবল

ডানা মেলেছে স্বপ্নের পাঁচপুকুরিয়া সেতু

সীমান্তে ১১ বাংলাদেশিকে বিএসএফের পুশইন

জেনেভা ক্যাম্পে সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযান, মাদক-অস্ত্রসহ আটক ১১

অপর্ণা সেনের প্রেমে পড়ে বাংলা শিখেছিলেন কমল হাসান

সম্পর্ক গভীর করতে ভালোবাসা বোঝার পাঁচটি ভাষা জানুন

‘কেউ ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট করার চেষ্টা করলে বরদাশত করা হবে না’

ডাকসুর এক ভিপি প্রার্থী গ্রেপ্তার

১০

ঢাকায় পা রাখল নেদারল্যান্ডস ক্রিকেট দল

১১

যুক্তরাষ্ট্রকে মোকাবিলায় যুদ্ধজাহাজ ও ড্রোন মোতায়েন ভেনেজুয়েলার

১২

মেক্সিকো ও বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও মজবুত হবে : রাষ্ট্রদূত আনসারী

১৩

রাকসুর নির্বাচনের নতুন তারিখ ঘোষণা

১৪

কখনো কোমরপানি, কখনো কোলে চড়ে স্কুলে যায় শত শিক্ষার্থী

১৫

সহকর্মীকে নিয়ে পরী মণির গুঞ্জন

১৬

বিপিএল মাতানো ক্রিকেটারকে ‘মুক্তি’ দিলেন আইপিএল খেলা ক্রিকেটার

১৭

ইরান ও পাক সেনাপ্রধানের ফোনালাপ, আলোচনায় ছিল যেসব বিষয়

১৮

বাচ্চা পটি করতে চাইছে না? জেনে নিন কী করবেন

১৯

সিলেটে পাথরকাণ্ডে এবার মাঠে নেমেছে সিআইডি

২০
X