মুফতি আরিফ খান সাদ
প্রকাশ : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:২৯ এএম
আপডেট : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:১৭ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

পাপে পরিবর্তন হয় প্রকৃতি

পাপে পরিবর্তন হয় প্রকৃতি

জীবনের পরতে পরতে আমরা অনেক পাপে জড়িয়ে পড়ি। এসব পাপ আমাদের জীবনকে করে কলুষিত, মনকে করে বিষণ্ন, অন্তরকে করে উদ্বিগ্ন। পাপিষ্ঠ ব্যক্তি পাপের কারণে মানবসমাজে যেমন লাঞ্ছিত ও অপদস্থ হয়, তেমনি পরকালেও তার জন্য কঠিন শাস্তি অপেক্ষায় থাকে। পাপ মানুষের জন্য অভিশাপ, যা তার যাপিত জীবনে ডেকে আনে ভয়াবহ বিপর্যয়। পাপের ফলে মানুষের আলোকিত আত্মা অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে যায়। ফলে সে ডিপ্রেশন ও দুশ্চিন্তায় ভোগে। হতাশা ও বিষণ্নতা তাকে আষ্টেপৃষ্ঠে জাপটে ধরে। আবু হুরাইরা (রা.) সূত্রে বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘মানুষ যখন একটি পাপ করে তখন তার অন্তরে একটি কালো দাগ পড়ে। অতঃপর যখন সে পাপ পরিত্যাগ করে, ক্ষমাপ্রার্থনা করে এবং তওবা করে, তখন তার অন্তর পরিষ্কার ও দাগমুক্ত হয়ে যায়। সে আবার পাপ করলে তার অন্তরে দাগ বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং ক্রমান্বয়ে তার পুরো অন্তর কালো দাগে ছেয়ে যায়। এটাই সেই মরিচা আল্লাহতায়ালা যার বর্ণনা করেছেন, ‘তাদের কৃতকর্মই তাদের অন্তরে জং (মরিচা) ধরিয়েছে।’ (সুরা মুতাফফিফিন: ১৪; তিরমিজি: ৩৩৩৪)

এজন্যই দেখা যায়, অনেক বড় সেলিব্রেটি সুইসাইড করে নিজের জীবন শেষ করে দিচ্ছেন। আত্মহত্যার মতো কুৎসিত-কদাকার ও জঘন্য পাপে পা বাড়াচ্ছেন। যাদের অভাব নেই কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা ও ব্যাংক ব্যালান্সের। খ্যাতি ও জনপ্রিয়তায়ও থাকে সবার শীর্ষে। কিন্তু তারা পাপে লিপ্ত থাকার কারণে মরীচিকার সোনার হরিণের পেছনে দৌড়ে শান্তি খুঁজে পায় না। প্রকৃত শান্তি পাওয়া যায় শুধু আল্লাহতায়ালার ইবাদতে, একনিষ্ঠ আনুগত্যে, দয়াময়ের জিকিরে, রবের স্মরণে। পবিত্র কোরআনের হৃদয় ছোঁয়া বাণী, ‘স্মরণ রেখো, কেবল আল্লাহর জিকিরের মাধ্যমেই অন্তরে প্রশান্তি লাভ হয়।’ (সুরা রাদ: ২৮)

কোনো মানুষ যখন একটি পাপ করে তখন তা আরও অনেক পাপকে হাতছানি দিয়ে ডাকে। যেমন যদি কেউ লোভাতুর দৃষ্টিতে পরনারীর দিকে তাকায়, তখন সে তাকে নিয়ে কল্পনার নগ্নরাজ্যে হারিয়ে যায়। ফলে সে ব্যভিচারের দিকে ধাবিত হয়। অনেক সময় ধর্ষণের পর নিজেকে বাঁচাতে ধর্ষিতাকে হত্যা করে বসে। পাপাচারের ভেলায় ভাসতে ভাসতে একসময় সে পাপকে পাপই মনে করে না। পাপ ও অপরাধ তার কাছে মনে হয় হালকা বিষয়। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, ‘মুমিন নিজের পাপকে এমন ভারী মনে করে, যেন সে কোনো পাহাড়ের নিচে বসে আছে, যা তার ওপর ধসে পড়ার সে আশঙ্কা করছে। পক্ষান্তরে পাপিষ্ঠ ব্যক্তি নিজের পাপকে মাছির মতো মনে করে, যা তার নাকে বসে চলে যায়। এ কথাটি আবু শিহাব (রহ.) নিজ নাকে হাত দিয়ে দেখিয়ে বলেন।’ (বোখারি: ৬৩০৮)

মানুষের পাপের কারণেই পৃথিবীতে আজাব-গজব, মন্দা-দুর্ভিক্ষ ও সমস্যা-সংকট সৃষ্টি হয়। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে—‘তোমাদের ওপর যেসব বিপদাপদ পতিত হয়, তা তোমাদের কর্মেরই ফল। তিনি তোমাদের অনেক পাপ ক্ষমা করে দেন।’ (সুরা শুরা: ৩০)। আল্লাহতায়ালা আরও বলেন, ‘মানুষের কৃতকর্মের কারণে স্থলে ও সমুদ্রে বিপর্যয় ছড়িয়ে পড়ে। যাতে তিনি তাদের কৃতকর্মের কিছু শাস্তি আস্বাদন করান। যার ফলে তারা ফিরে আসবে।’ (সুরা রোম: ৪১)। ইবনে ওমর (রা.) বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, হে মুহাজিররা! পাঁচটি কারণে পাঁচ ধরনের অবস্থার সৃষ্টি হয়—১. কোনো সমাজে প্রকাশ্যে পাপাচার হলে সেখানে এমন রোগব্যাধি প্রকাশ পায়, যা তাদের পূর্বসূরিদের মধ্যে ছিল না। ২. যখন কোনো সম্প্রদায়ের শাসকরা আল্লাহর কিতাবের শাসন থেকে বিরত থাকে, তখন তাদের নিজেদের মধ্যেই যুদ্ধ ও সংকট সৃষ্টি হয়। ৩. যখন কোনো সম্প্রদায় জাকাত আদায় করা থেকে বিরত থাকে, তখন আসমান থেকে বৃষ্টি বর্ষণ বন্ধ হয়ে যায়। চতুষ্পদ জন্তু না থাকলে আসমান থেকে মোটেই বৃষ্টি হতো না। ৪. যখন কোনো সম্প্রদায় ওজনে কম দেয়, তখন তাদের মধ্যে দুর্ভিক্ষ ও সংকট সৃষ্টি হয়। ৫. যখন কোনো সম্প্রদায় আল্লাহ ও রাসুলের অঙ্গীকার ভঙ্গ করে, তখন তাদের ওপর তাদের শত্রুদের চাপিয়ে দেওয়া হয়। ফলে তাদের অনেক সম্পদ তারা ছিনিয়ে নেয়। (ইবনে মাজা: ৪০১৯)

পাপের প্রভাব পড়ে মানুষের সমগ্র জীবনে। পাপী তার অধীনদের থেকে অবাধ্যতা পায়। সন্তান পিতাকে মান্য করে না। স্ত্রী-স্বামীকে মানতে চায় না। শিষ্য-গুরুর কথা শোনে না। কর্মচারী বসের কথা মানে না। লোকেরা তাকে ঘৃণা করতে শুরু করে। মন থেকে তার প্রতি উঠে যায় শ্রদ্ধাবোধ। হজরত ফুজাইল ইবনে ইয়াজ (রহ.) বলেছেন, ‘আমি আল্লাহর অবাধ্য হলে তার প্রতিক্রিয়া আমার গাধা ও খাদেমের আচরণের মধ্যে দেখতে পাই।’ তথা অধীনরা অবাধ্য হয়ে যায়। (হিলইয়াতু আবু নাঈম: ৮/১০৯)। পাপাচারে লিপ্ত ব্যক্তি ধারণাতীতভাবে নানা সংকট, বিপর্যয়ে ও বিপদের সম্মুখীন হয়। সংকীর্ণ হয়ে পড়ে রিজিক, জীবিকা এবং জীবনোপকরণ। রকমারি সংকট, দুঃখ-বেদনা ও কষ্ট-যাতনা তার লেগেই থাকে। তালা লাগিয়ে দেয় তার সুখের ঘরে। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘যে আমার উপদেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে, তার জীবন হবে বড় সংকটময়।’ (সুরা তাহা: ১২৪)। সাওবান (রা.) সূত্রে বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘সৎকর্ম ব্যতীত অন্য কিছু আয়ুষ্কাল বাড়াতে পারে না এবং দোয়া ব্যতীত অন্য কিছুতে তাকদির পরিবর্তন হয় না। মানুষ তার পাপ কাজের ধরুন রিজিক থেকে বঞ্চিত হয়।’ (ইবনে মাজা: ৪০২২)। তাই তো দেখা যায়, যারা অন্যায়ভাবে অর্থ উপার্জন করে সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলে, সুদ-ঘুষের নোংরা টাকায় ব্যাংক ব্যালান্স সমৃদ্ধ করে, তাদের কাঁড়ি কাঁড়ি টাকায় কোনো বরকত থাকে না। ঠুনকো কারণে লাখ লাখ টাকা ব্যয় হয়ে যায়। ঘরে বাহারি খাবারের আয়োজন থাকলেও ডাক্তারি বাধ্যবাধকতায় দুই-এক পদের খাবারই তারা গিলতে পারে।

মানুষ তো স্বভাবতই পাপপ্রবণ। পাপ হওয়াটাই স্বাভাবিক। পাপ হয়েছে, খাঁটি অন্তরে তওবা করতে হবে। তওবা-ইস্তেগফারের মাধ্যমে বিপদ-মুসিবত দূর হয়ে যায়। কোরআনে কারিমে ইরশাদ হয়েছে—‘আর আল্লাহ এমন নন যে, তারা ইস্তেগফার করবে অথচ তিনি তাদের আজাব-গজব দেবেন।’ (সুরা আনফাল: ৩৩)। অন্যত্র ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি বলেছি, তোমরা তোমাদের পালনকর্তার কাছে ইস্তেগফার করো, তিনি মহা ক্ষমাশীল। তিনি তোমাদের জন্য প্রচুর বৃষ্টিপাত করবেন। তোমাদের সমৃদ্ধ করবেন ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততিতে এবং তোমাদের জন্য স্থাপন করবেন উদ্যান ও প্রবাহিত করবেন নদী-নালা।’ (সুরা নুহ: ১০-১২)। হাদিস শরিফে নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি নিয়মিত ইস্তেগফার করবে, তাকে আল্লাহতায়ালা দুটি জিনিস দান করবেন—১. যাবতীয় দুশ্চিন্তা ও পেরেশানি থেকে মুক্তি দেবেন। ২. অকল্পনীয় জায়গা থেকে তাকে রিজিক দেবেন।’ (আবু দাউদ: ১৫১৮)।

পাপের কারণে কখন কীভাবে আজাব আসবে কেউ জানে না। কখনো আকাশ থেকে বৃষ্টির আকারে আজাব নাজিল হয়। বৃষ্টিতে কল্যাণ-অকল্যাণ দুটোরই সম্ভাবনা থাকে। কখনো মুসিবতের কারণ হয়ে দাঁড়ায় আবার কখনো রহমত হিসেবে আবির্ভূত হয়। মেঘলা আকাশ যখন অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে যায় এবং সঙ্গে প্রচণ্ড বাতাস বইতে থাকে, তখন আল্লাহর আজাব-গজবের আশঙ্কা থাকে। কিন্তু কিছু বৃষ্টি আল্লাহর রহমত। এতে এরকম কোনো আশঙ্কা থাকে না। হাদিসে এসেছে, ‘মেঘাচ্ছন্ন আকাশ এবং প্রচণ্ড বাতাস দেখলে নবীজির (সা.) চেহারায় চিন্তার ছাপ ফুটে উঠত। তিনি এদিক-সেদিক ছোটাছুটি শুরু করে দিতেন। অতঃপর যদি ঝরঝরে বৃষ্টি হতো তিনি আনন্দিত হতেন এবং চেহারা থেকে দুশ্চিন্তার ছাপ চলে যেত।’ (মুসলিম ২৯৪)। বৃষ্টিবর্ষণ শুরু হলে রাসুল (সা.) বলতেন, ‘আল্লাহুম্মা সাইয়িবান নাফিয়া’ অর্থাৎ ‘হে আল্লাহ! মুষলধারায় উপকারী বৃষ্টি বর্ষণ করুন।’ (বোখারি: ১০২২)। আবার যখন বৃষ্টি খুব প্রবল আকারে বর্ষণ হতো, যা ক্ষতি সাধন করে তখন তিনি বলতেন, ‘আল্লাহুম্মা হাওয়ালাইনা ওয়ামা আলাইনা’ অর্থাৎ, ‘হে আল্লাহ! বৃষ্টির আজাব আমাদের ওপর থেকে তাড়িয়ে নিন, আমাদের জন্য কল্যাণ দিন।’ (বোখারি: ১০০৩)।

রাসুল (সা.) বৃষ্টির সময় আল্লাহর রহমতের জন্য দোয়া করতেন। তিনি দোয়া করতেন, ‘আল্লাহুম্মা সাইয়িবান নাফিয়াহ’ অর্থাৎ, ‘হে আল্লাহ! আপনি এ বৃষ্টিকে প্রবহমান ও উপকারী করে দিন।’ (নাসায়ি: ১৫২৩)। দমকা হওয়া বইতে দেখলে রাসুল (সা.) আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে যেতেন এবং উদ্বিগ্ন হয়ে চলাফেরা করতেন। যখন বৃষ্টি হতো তখন তিনি খুশি হতেন। হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, আমি এ বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, আমার আশঙ্কা হয়, আমার উম্মতের ওপর কোনো গজব আসে কি না। বৃষ্টি দেখলেই তিনি বলতেন, রাহমাতান অর্থাৎ এটি আল্লাহর রহমত। (নাসায়ি: ১৯৬৯)। অন্য হাদিসে রয়েছে, আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) আকাশে মেঘ দেখলে নফল ইবাদত ছেড়ে দিতেন। এমনকি সালাতে উপবিষ্ট অবস্থায়ও। অতঃপর তিনি দোয়া করতেন, ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা খাইরাহা ওয়া খাইরি ওয়া খাইরি মা উরসিলাত বিহি, ওয়া আউজুবিকা মিন শাররিহা ওয়া শাররি ওয়া শাররি মা উরসিলাত বিহি’, অর্থাৎ, ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে বৃষ্টির উপকারী দিক কামনা করছি। আর অনিষ্ট থেকে আশ্রয় চাইছি।’ (আবু দাউদ: ৫১৯৯)।

বাতাস ও ঝড় মানুষের জন্য উপকারী ও অপকারী দুটোই। তবে বাতাসকে গালমন্দ করা যাবে না। হাদিস শরিফে বাতাসকে গালমন্দ করতে নিষেধ করা হয়েছে। সাহাবি আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, ‘বাতাস আল্লাহর কাছ থেকে কল্যাণ নিয়ে আসে, আবার শাস্তিও নিয়ে আসে। অতএব তোমরা বাতাসকে গালমন্দ কোরো না, বরং আল্লাহর কাছে এর কল্যাণকর দিকটির প্রার্থনা করো এবং এর অকল্যাণকর দিকটি থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করো।’ (আবু দাউদ)। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আমি পুবালি হাওয়ার মাধ্যমে সাহায্যপ্রাপ্ত হয়েছি এবং আদ জাতি পশ্চিমা হাওয়ার মাধ্যমে ধ্বংস হয়েছে।’ (বোখারি ও মুসলিম)। বাতাসের আগমন বৃষ্টিকে স্বাগত জানায়। নামে প্রবল বৃষ্টি। মেঘ-বৃষ্টি-ঝড় প্রকৃতির জন্য সুবাতাস বয়ে নিয়ে আসে, নিয়ে আসে অকল্যাণও, যা ক্ষতির কারণ হয়। বয়ে আনে দুর্ভিক্ষ। দুর্ভিক্ষ শুধু অনাবৃষ্টি বয়ে আনে না, অতিবৃষ্টিও দুর্ভিক্ষের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ এই নয় যে, তোমাদের প্রতি বৃষ্টি বর্ষিত হবে না; বরং ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ হচ্ছে, তোমাদের প্রতি প্রচুর বৃষ্টি বর্ষিত হবে অথচ জমিন কোনো কিছু উৎপাদন করবে না।’ (মুসলিম)।

পাপের ফলে আগত আজাব থেকে সর্বদা আল্লাহর কাছে দোয়া করা জরুরি। মহান আল্লাহর দরবারে ভূমিকম্প, দুর্যোগ, মন্দা, অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, অতিগরম ইত্যাদি আজাব-গজব আল্লাহর কাছে নাজাত কামনা করা কর্তব্য। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘আপনি বলুন, কে তোমাদের স্থল ও জলের অন্ধকার থেকে উদ্ধার করেন, যখন তোমরা তাকে বিনীতভাবে ও গোপনে আহ্বান করো যে, যদি আপনি আমাদের এ থেকে উদ্ধার করেন, তবে আমরা অবশ্যই কৃতজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাব। আপনি বলে দিন, আল্লাহ তোমাদের তা থেকে মুক্তি দেন এবং সব দুঃখ ও বিপদ থেকে। তথাপি তোমরা শিরক করো।’ (সুরা আনআম: ৬৩-৬৪)। অন্য আয়াতে বর্ণিত হয়েছে, ‘অতঃপর আমি তার আহ্বানে সাড়া দিলাম এবং তাকে দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দিলাম। আমি এমনিভাবে ইমানদারদের মুক্তি দিয়ে থাকি।’ (সুরা আম্বিয়া: ৮৮)। দোয়া করার আগে আমরা দুই রাকাত সালাতুল হাজত পড়ে নিতে পারি। সুনানে আবু দাউদের এক হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.)-এর সামনে যখন গুরুতর কোনো বিষয় আসত, তিনি নামাজে দাঁড়িয়ে যেতেন। (আবু দাউদ: ১৩১৯)।

লেখক: মুহাদ্দিস ও ইসলামী চিন্তাবিদ

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

০৬ অক্টোবর : আজকের নামাজের সময়সূচি

তিস্তার পানির তোড়ে ভেঙে যেতে পারে ফ্লাইড বাইপাস সড়কটি

বজ্রপাতে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর মৃত্যু

দুই বাংলাদেশি যুবককে ফেরত দিল বিএসএফ

বিএনপির প্রতিটি নেতাকর্মী জনগণের পাশে রয়েছে : নীরব

শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা আজ

ছক্কার ঝড় তুলে ম্যাচসেরা সাইফের মুখে আত্মবিশ্বাসের কথা

আফগানদের হোয়াইটওয়াশ করে তৃপ্ত জাকের

আবারও ভারতের কাছে কুপোকাত পাকিস্তান

সাবেক যুবদল নেতার উদ্যোগে স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তা সংস্কার 

১০

আজ কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা

১১

কাশিয়ানীতে বিএনপির ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ

১২

দাবি আদায়ে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ চান মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও বস্তিবাসীরা

১৩

নির্বাচনের জন্য দীর্ঘ ১৭ বছর আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি : লায়ন ফারুক 

১৪

সাইফ ঝড়ে আফগানিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করল বাংলাদেশ

১৫

আফগানদের বিরুদ্ধে জয়ের স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ

১৬

বৃষ্টিসহ আগামী ৫ দিনের পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া অফিস

১৭

প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি ও কার্টিন ইউনিভার্সিটির চুক্তি স্বাক্ষর

১৮

স্মার্ট কার্ডের সংকট কাটাতে আসছে ‘ব্ল্যাংক কার্ড’

১৯

সেই বিয়ের কথা স্বীকার করলেন পরীমনি

২০
X