এম আবদুল্লাহ
প্রকাশ : ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:১৯ এএম
আপডেট : ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:০৫ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

স্বমহিমায় ফিরুক জাতীয় প্রেস ক্লাব

স্বমহিমায় ফিরুক জাতীয় প্রেস ক্লাব

১৯৫৪ থেকে ২০২৪। সাত দশক, সত্তর বছর। গণতন্ত্র স্কয়ার হিসেবে পরিচিতি, সেই প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই। স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে, নিপীড়ন ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে লড়াই-সংগ্রাম, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন, যাবতীয় অধিকার আদায়ে সভা-সমাবেশের কেন্দ্রস্থল রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটি। শুরুতে ছিল ঢাকা প্রেস ক্লাব। এখন জাতীয় প্রেস ক্লাব। সদস্য সাংবাদিকরা নিজেদের সেকেন্ড হোম বা দ্বিতীয় গৃহ হিসেবে জানান দিতে গর্ববোধ করেন। ১৮, তোপখানা রোডের ঠিকানাটি সাংবাদিকদের পেশা ও অস্তিত্বের সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন এক সত্তা। এ দেশে সাংবাদিকতা পেশার উৎকর্ষ সাধন, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সুনিশ্চিত করার সুদীর্ঘ লড়াইয়ের উৎসভূমি এ প্রেস ক্লাব।

শুধু সাংবাদিকতা নয়, মহান মুক্তিযুদ্ধ, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠাসহ জাতীয় ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে রয়েছে এর গৌরবোজ্জ্বল অবদান। স্বৈরাচারবিরোধী সব আন্দোলন, নিপীড়িত-বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামের পাদপীঠ জাতীয় প্রেস ক্লাব। ঐতিহাসিক লালবাড়ি থেকে যাত্রা শুরু করা ক্লাব ভবনটিতে আধুনিকতা ও জৌলুস কাঙ্ক্ষিত মানে না থাকলেও এর অন্তর্নিহিত মর্যাদা সাংবাদিক সমাজের জন্য অহংকারের। চলতি অক্টোবরের ২০ তারিখে ক্লাব সদস্যদের সঙ্গে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনে আসছেন বিশ্বনন্দিত নোবেল বিজয়ী ও বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ঐতিহ্যের ধারা, আনন্দের উদ্ভাস ও গৌরবের বর্ণচ্ছটায় ক্লাবের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজনটি সদস্যদের প্রাণে-মনে আনন্দের হিল্লোল বয়ে আনুক।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সদস্য সাংবাদিকরা মনে-মগজে গভীর যত্নে গণতন্ত্র লালন করবেন, এটাই প্রত্যাশিত। শুধু লালনই করবেন না, গণতান্ত্রিক চেতনাকে পরিচর্যায় পুষ্ট ও বিকশিত করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবেন—এটাই কাম্য। এ প্রেস ক্লাবের জন্ম ও বেড়ে ওঠার গল্প নতুন প্রজন্মের সাংবাদিকরা কমই জানেন। একটা সময়, প্রেস ক্লাব শুধু সাংবাদিকদেরই নয়, শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি ও ক্রীড়াঙ্গনের তারকাখ্যাতির মানুষদের মিলনকেন্দ্র ছিল। মহিরুহ সম্পাদক ও পথিকৃৎ সাংবাদিকরা দিবারাত্রির বেশিরভাগ সময় আড্ডা-আলোচনায় মুখর রাখতেন তাদের দ্বিতীয় ঘরটি। ক্লাব চত্বর ও ভবনের ধূলিকণা ও ইট-সুরকির দেয়ালের পরতে পরতে ইতিহাসের মূল্যবান উপাদানের ছোঁয়া রয়েছে।

জাতীয় প্রেস ক্লাব সাধারণভাবে সাংবাদিকদের বিনোদনকেন্দ্র হওয়ার কথা থাকলেও, দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের সঙ্গে ক্লাবটির নাম ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। রাষ্ট্রক্ষমতায় পালাবদলের ইতিহাসের অনেক অধ্যায় এ ক্লাবেই লিখিত হয়েছে। রাজনৈতিক নেতারা এ ক্লাবে সভা করে মিছিল নিয়ে ১৯৬৪ সালে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার আগুন নেভাতে বিভিন্ন এলাকায় গিয়েছিলেন। তার আগে ১৯৬২ সালে জেনারেল আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে নয়জন রাজনৈতিক নেতা যে ঐতিহাসিক বিবৃতি দিয়েছিলেন, তা লেখা হয়েছিল এই ক্লাবের দোতলায় গোপন সভায় বসে। বিবৃতিদাতারা ছিলেন মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, শেখ মুজিব, হামিদুল হক চৌধুরী, নুরুল আমিনের মতো হেভিওয়েট জাতীয় নেতা।

স্বাধীন বাংলাদেশে জাতীয় প্রেস ক্লাবের জায়গাটি রেজিস্টার্ড দলিল করে স্থায়ী বরাদ্দ দেওয়া এবং এর বর্তমান ভবনটি নির্মাণের সঙ্গে আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও তার সহধর্মিণী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নাম জড়িয়ে আছে। শহীদ জিয়া জাতীয় প্রেস ক্লাবের মর্যাদা অনুধাবন করে বিদেশির অনুদানে নির্মাণের পরিবর্তে রাষ্ট্রের অর্থে ক্লাব ভবন নির্মাণ করে দিয়েছিলেন। অথচ বিগত কয়েক বছরে তার নাম এ ক্লাব থেকে মুছে ফেলার হীনচেষ্টা দেখেছেন সদস্যরা।

একসময় পুলিশের মার খেয়ে রাজনৈতিক নেতারা প্রেস ক্লাবে আশ্রয় নিলে নিরাপদ হয়ে যেতেন। ক্লাবের ভেতরে পুলিশ ঢুকে কাউকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাবে, তা ছিল কল্পনাতীত। কিন্তু সাম্প্রতিক অতীতে ন্যক্কারজনকভাবে জাতীয় নেতাদের প্রেস ক্লাব থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ২০১৫ সালে রাষ্ট্রক্ষমতার জোরে অবৈধভাবে জাতীয় প্রেস ক্লাবটি দখলের পর এর মানমর্যাদা ও ঐতিহ্য ভূলুণ্ঠিত হয়। ক্লাবকে ফ্যাসিবাদী শাসনের সহায়ক শক্তির আখড়ায় পরিণত করা হয়। ক্লাবের চেয়ার ব্যবহার করে অঢেল বিত্তবৈভব গড়া ও রাষ্ট্রীয় দুর্বৃত্তপনায় শামিল হওয়ার দুঃখজনক চিত্র দেখা গেছে। নতুন বাংলাদেশে সাংবাদিক সমাজের এ অহংকারের প্রতিষ্ঠানটি তার হৃতগৌরব কতটুকু পুনরুদ্ধার করে স্বমহিমায় কতটা ফিরতে পারে, তা দেখার বিষয়। যদিও অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে আমরা লক্ষ করলাম, সম্প্রতি নতুন সদস্যপদ দেওয়া নিয়েও নানা কেলেঙ্কারিতে ক্লাবের ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত হয়েছে।

ইতিহাস ঘেঁটে জানা যাচ্ছে, ১৯৫৪ সালে মেজর জেনারেল ইস্কান্দার মির্জা গভর্নর হয়ে ঢাকায় আসার পর মুখ্য সচিব করা হয় নিয়াজ মোহাম্মদ খান বা এন এম খানকে। আর দৈনিক সংবাদের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক খায়রুল কবীরকে তথ্য বিভাগের বিশেষ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। পূর্বপরিচয় সূত্রে সাংবাদিক খায়রুল কবীর মুখ্য সচিবের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হয়ে ওঠেন। একপর্যায়ে খায়রুল কবীর ঢাকার সাংবাদিকদের সংগঠিত করার জন্য একটি প্রেস ক্লাব প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন। ঢাকায় তখন কর্মরত নবীন-প্রবীণ সাংবাদিকদের সঙ্গে পরামর্শ করে অগ্রসর হন। তার সঙ্গে ছিলেন দৈনিক ইত্তেফাকের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া, দৈনিক সংবাদের জহুর হোসেন চৌধুরী, অবজারের আবদুস সালাম, আজাদের আবুল কালাম শামসুদ্দীন, মর্নিং নিউজের এসজিএম বদরুদ্দিন, আবদুল ওহাব প্রমুখ। খায়রুল কবীরের নেতৃত্বে মুখ্য সচিব এন এম খানের কাছে প্রস্তাব করে বলা হয়, ঢাকায় সাংবাদিকদের একটা ক্লাব থাকা বাঞ্ছনীয়। আর সেই প্রেস ক্লাব স্থাপনের জন্য একটি সরকারি ভবন কম ভাড়ায় অথবা অন্য কোনোভাবে বরাদ্দ করা প্রয়োজন।

একপর্যায়ে এন এম খান প্রেস ক্লাবের বর্তমান স্থানে থাকা লাল বাড়িটি বরাদ্দ দেন। মাসিক ১০০ টাকা ভাড়ায় বরাদ্দপত্র জারি করা হয়। যদিও সেই ভাড়া কখনোই দেওয়া হয়নি। বাড়িটিতে একসময় প্রখ্যাত বিজ্ঞানী সত্যেন বসু বাস করতেন। পরে খাদ্যমন্ত্রী নুরুল আমিন ছিলেন। আরেক মন্ত্রী আফজাল এ বাড়িতে থাকাকালে মুসলিম লীগ যুক্তফ্রন্টের কাছে ক্ষমতা হারায়। তখন ঢাকায় আলোচ্য বাড়িটিসহ বহু বাড়ি খালি পড়ে ছিল। তৎকালীন ইডেন বিল্ডিংয়ের সবচেয়ে নিকটবর্তী মন্ত্রীদের সেই বাড়িটিই প্রথম প্রেস ক্লাব ভবনের মর্যাদা পায়। সে সময় গোটা উপমহাদেশে দিল্লি বা কলকাতা ছাড়া আর কোথাও প্রেস ক্লাব ছিল না। দিল্লির প্রেস ক্লাব ছিল জিমখানার একটি ছোট্ট ঘরে। কলকাতার প্রেস ক্লাবটিও ছিল ভাড়া করা একটি ছোট্ট কুঠরিতে। ঢাকায় প্রথম উপমহাদেশের একটি পূর্ণাঙ্গ প্রেস ক্লাব একটি দোতলা ভবনের সবটা জুড়ে প্রতিষ্ঠিত হয়।

প্রথমে প্রেস ক্লাবের একটি অস্থায়ী কমিটি গঠিত হয়। সভাপতি হন দৈনিক আজাদের উপসম্পাদক মুজীবুর রহমান খাঁ এবং সেক্রেটারি হন দৈনিক সংবাদের জহুর হোসেন চৌধুরী। পরে নির্বাচনের মাধ্যমে কমিটি গঠন করা হয়। মুজীবুর রহমান খাঁ প্রথম নির্বাচিত সভাপতি হন। জহুর হোসেন চৌধুরী সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালনের অপারগতা জানালে দৈনিক সংবাদের আরেক সাংবাদিক আবদুল মতিনকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়।

১৯৫৫ সালের ১৯ জুন তৎকালীন ঢাকা প্রেস ক্লাবের প্রথম অনুষ্ঠান হয়। প্রেস ক্লাবের একটি গর্বের জায়গা ছিল যে, কোনো স্বৈরশাসক ও একনায়ককে এখানে আসতে দেওয়া হতো না। প্রেস ক্লাব প্রতিষ্ঠার পর সিদ্ধান্ত হয়, আইয়ুব খানের গভর্নর মোনায়েম খানকে প্রেস ক্লাবে আসতে দেওয়া হবে না। ছয় বছর গভর্নর থাকাকালে অনেক চেষ্টা, চাপ ও প্রলোভন দেখিয়েও মোনায়েম খান প্রেস ক্লাবের আমন্ত্রণ আদায় করতে পারেননি। কখনো আসতে পারেননি। একইভাবে নব্বইয়ের দশকে স্বৈরশাসক এরশাদের বিষয়েও একই সিদ্ধান্ত ছিল। সেই সিদ্ধান্তও কঠোরভাবে কার্যকর করে এরশাদকে কখনো জাতীয় প্রেস ক্লাবে আসতে দেওয়া হয়নি। বরং এরশাদের পতন লেখা হয়েছিল এই প্রেস ক্লাবে অবস্থিত সাংবাদিক ইউনিয়নের অফিসে বসে।

আইয়ুব খানের সময়ে জারিকৃত প্রেস অ্যান্ড পাবলিকেশনস অর্ডিন্যান্সের বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিবাদ হয় এ জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে। বাংলা সাংবাদিকতার পথিকৃৎ মওলানা আকরম খাঁ সেই প্রতিবাদী সমাবেশে সভাপতিত্ব করেছিলেন। হুডখোলা গাড়িতে করে সেদিন আকরম খাঁ বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের আদি ভবন লাল বাড়িতে এসেছিলেন নোবেলজয়ী অধ্যাপক আবদুস সালাম। তিনি প্রেস ক্লাবের বাইরের লনে বসে সাংবাদিকদের সঙ্গে দীর্ঘ সময় আলোচনা করেছেন। প্রবীণ সাংবাদিকদের স্মৃতিতে সেটি অম্লান হয়ে আছে। প্রখ্যাত রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সুমিত্রা সেন ক্লাবের অনুষ্ঠানে গান গেয়েছেন। প্রখ্যাত বাদক ও সুরকার সমর দাস আমন্ত্রণ পেয়ে পিয়ানো ও গিটার বাজিয়ে সদস্যদের বিমোহিত করেন।

আমাদের অগ্রজ সাংবাদিকরা জাতীয় প্রেস ক্লাবকে কীভাবে নিজেদের অস্তিত্বের সঙ্গে একাকার করে নিয়েছিলেন, তা তাদের বিভিন্ন স্মৃতিচারণে উঠে এসেছে। প্রেস ক্লাবের চারবারের সভাপতি ও তিনবারের সম্পাদক এবিএম মূসা এক স্মৃতিচারণে লেখেন—‘আমরা ছোটরা তখন কী করতাম? ভাবতে অবাক লাগছে। নিজেদের তখন বয়সে ও পেশার জীবনে কত কনিষ্ঠ ভাবতাম। চুপচাপ দোতলায় উঠে যেতাম, সেখানে তাস খেলতাম অথবা পেছনের উঠানে আমগাছের নিচে কাঠের চেয়ারে বসে গুলতানি মারতাম। শতাব্দীপ্রাচীন সেই আমগাছগুলো, বিশেষ করে একটি পেয়ারাগাছের জন্য এখনো মায়া জাগে। আমাদের মধ্যেও তর্ক-বিতর্ক হতো নানা ধরনের।’ প্রেস ক্লাব ক্যান্টিনে খাবার নিয়ে এবিএম মূসা লেখেন—‘চা খাওয়া হতো দেদার। প্রথম থেকেই ক্লাবের ক্যান্টিনটি চালু করেছিলেন অবাঙ্গালি পিটিআই প্রতিনিধি বালান সাহেব। এক আনায়, মানে ছয় পয়সায় চা, বাটার টোস্ট একখানা। তখনই চালু হয়েছিল প্রেস ক্লাবের ঐতিহ্যবাহী আণ্ডাপুরি। ঢাকায় তখন এই খাবারটির নতুনত্ব এতই প্রচার লাভ করেছিল, বাইরের বন্ধু-বান্ধবরা আবদার করতেন—দোস্ত তোদের ক্লাবের আণ্ডাপুরি খাওয়াবি? দুপুরে ভাত, ডাল, মাছ সঙ্গে ভাজি। দিতে হতো আট আনা। পঞ্চাশ পয়সায় পেটপুরে খাওয়া। রোববারে ফিস্ট, বিশেষ খাওয়া। সবাই আসতাম সপরিবারে, মানে যাদের পরিবার ছিল। বিশেষ খাওয়া পলাও, মুরগী, ডিম এবং পডিং। মূল্য ১ টাকা ২৫ পয়সা মাত্র। মজার ব্যাপার, এখনও এবং তখনও প্রেস ক্লাবে যাওয়া মানেই খাওয়া আর অবসরের আড্ডা।’

গুণী সাংবাদিক ফয়েজ আহমদ লেখেন—‘এককালে প্রেস ক্লাব আমার মাতৃসম ছিল। ছুটি থাক বা না থাক, প্রেস ক্লাবে গিয়ে আড্ডা বা তাস না খেললে আমার সে দিনটা বৃথা যেত। বেশির ভাগ সময় সকালে নাস্তা না খেয়ে এক কাপ চায়ের পর সোজা প্রেস ক্লাব। এখানে এসে লুচি-তরকারি-ডিম আর চা না খাওয়া পর্যন্ত যেন স্বস্তি নেই। পৃথিবীতে এমন নাস্তা যেন আর কোথায়ও নেই।’

তৎকালে পূর্বদেশের চিফ রিপোর্টার ফয়েজ আহমদ গ্রেপ্তার এড়াতে জাতীয় প্রেস ক্লাবে রাতযাপন করতে গিয়ে ক্লাব থেকেই গ্রেপ্তার হয়ে চার বছর জেল খেটেছিলেন আইয়ুব খানের মার্শাল লর সময়। সেই স্মৃতিচারণে তিনি লিখেছিলেন—“গ্রেফতার করতে আসা পুলিশ কর্তার কাছে পরোয়ানা দেখতে চাইলে একটি কাগজে হাতের লেখা আদেশ দেখানো হয়। তাতে লেখা ছিল—‘প্রেস ক্লাবের দোতলায় গিয়ে পলাতক সাংবাদিক ফয়েজ আহমদকে পাবেন, অবিলম্বে গ্রেফতার করুন।’ স্কুলের রুল করা খাতার একটি ছেঁড়া পাতায় এ আদেশ দিয়েছিলেন ঢাকার তৎকালীন ডিআইজি।”

লেখক: সিনিয়র সাংবাদিক, কলামিস্ট ও সাবেক সভাপতি, বিএফইউজে

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

‘১২ দিনের যুদ্ধ’ : ইরান-ইসরায়েল সংঘাত নিয়ে ট্রাম্পের ১২টি পোস্ট

পদ্মায় প্রাণ গেল দুই কলেজছাত্রের

পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম যুদ্ধবিমান কিনছে যুক্তরাজ্য

প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ নিয়ে যে মতামত দিল জামায়াত

ঢাবিতে চান্স পাওয়া দুই শিক্ষার্থীর ভর্তির দায়িত্ব নিলেন ছাত্রদল নেতা তারিক

মেট রোভ প্রতিযোগিতায় এশিয়ায় চ্যাম্পিয়ন ও বিশ্বে ৫ম হয়েছে ইউআইইউ

কঠোর কর্মসূচির হুমকি কুয়েট শিক্ষক সমিতির

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নির্বাচনে সভাপতি রিফাত, সম্পাদক ইনামুল

ইসরায়েলে ইরানের ব্যাপক হামলা, ক্ষতিপূরণ চেয়ে ৩৯ হাজার আবেদন

১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী নয়- প্রস্তাবে রাজি বিএনপি, তবে...

১০

সাগরে লঘুচাপের প্রভাবে বাড়তে পারে বৃষ্টি

১১

এবার জুলাই যোদ্ধা তালিকায় ছাত্রলীগ নেতার নাম

১২

পরিবর্তন করা হচ্ছে কাবার কিসওয়া

১৩

হাবিবুল আউয়াল প্রসঙ্গে ডিবি / ভোটের পরিসংখ্যান নিয়ে মিথ্যাচার করেন ‘আমি-ডামি’ নির্বাচনের আউয়াল

১৪

র‍্যাগিং প্রতিরোধে জবির প্রতি বিভাগে কমিটি

১৫

রাষ্ট্রীয় মূলনীতি নিয়ে ঐকমত্য তৈরি হয়নি : ড. আলী রীয়াজ

১৬

ইরান ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের বিজয় দাবি, কে কী পেল

১৭

বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজের সূচি ঘোষণা

১৮

গ্লোবাল আইডা অ্যাওয়ার্ডসে জাজেস চয়েজ পুরস্কার পেলেন চুয়েটের মাহদ্বিয়া 

১৯

গলে জোড়া সেঞ্চুরির পর র‍্যাঙ্কিংয়ে শান্তর বড় লাফ

২০
X