শিশির কুমার মিত্র বাঙালি পদার্থবিদ। ভারতীয় উপমহাদেশে বেতার যোগাযোগ সম্পর্কিত গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাদান শুরু হয় ডক্টর শিশির কুমার মিত্রের হাত ধরে। তিনি ১৮৯০ সালের ২৪ অক্টোবর কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। বেতার যোগাযোগের ক্ষেত্রে গবেষণায় স্যার জগদীশচন্দ্র বসুর অবদানের কথা আমরা জানি। ভারতীয় উপমহাদেশে বেতার যোগাযোগ সম্পর্কিত গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাদান শুরু হয়েছে, যার হাত দিয়ে তিনিও আরেকজন বাঙালি ডক্টর শিশির কুমার মিত্র। তিনিই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে বেতার-পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সূচনা করেন। তিনি উপমহাদেশে প্রথম বেতার সম্প্রচার চালু করেন। বায়ুমণ্ডলের আয়নোস্ফিয়ারের বিভিন্ন স্তরের অস্তিত্বের পরীক্ষামূলক প্রমাণ প্রথম তার হাত দিয়েই ঘটে। ছয়-সাত বছর বয়স থেকেই তার মনে প্রশ্ন জাগতে শুরু করে, সব জিনিস ওপর থেকে নিচে পড়ে যায়; কিন্তু বেলুন কেন ওপরে উঠে যায়? শিশির কুমার এন্ট্রান্স পাস করার পর ভাগলপুমের টিএনজে কলেজ থেকে এফএ পাস করেন। এরপর প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়তে এসে শিশির কুমার জগদীশচন্দ্র বসু, প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের সংস্পর্শে আসেন। জগদীশচন্দ্র বসুকে কাছ থেকে দেখে পদার্থবিজ্ঞানের গবেষণার প্রতি ভীষণ আগ্রহী হয়ে ওঠেন তিনি। ১৯১২ সালে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়ে এমএসসি পাস করেন। জগদীশচন্দ্র বসু সহকারী গবেষক হিসেবে কাজ করার প্রস্তাব দিলে শিশির কুমার মহোৎসাহে কাজ শুরু করেন। ১৯৬৩ সালের ১৩ আগস্ট তিনি মারা যান।
মন্তব্য করুন