রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে গঠিত কমিশনগুলোর চারটি গত ১৫ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার কাছে খসড়া প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। কমিশনগুলো হচ্ছে—সংবিধান সংস্কার, নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার, পুলিশ সংস্কার ও দুদক সংস্কার কমিশন। ওইসব প্রতিবেদনে যেসব সুপারিশ করা হয়েছে, তা নিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে এখন আলোচনা-পর্যালোচনা চলছে। আরও ছয়টি কমিশনের প্রতিবেদন পাওয়ার পর তা নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় করবে এবং সবার ঐকমত্যের ভিত্তিতে দীর্ঘদিনের প্রত্যাশিত রাষ্ট্র সংস্কার সম্পন্ন হবে—জনমনে এমন একটি ধারণা এখন বেশ জোরালো হয়ে উঠেছে। তবে সংস্কার ও নির্বাচন প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোয় এরই মধ্যে যে দ্বিধা-বিভক্তি দেখা দিয়েছে, তাতে রাষ্ট্র সংস্কারের শেষ পরিণতি নিয়ে অনেকেরই সংশয় সৃষ্টি হয়েছে। একদিকে অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কার সম্পন্ন করে নির্বাচনের দিকে এগোতে চায়, অন্যদিকে প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি ও তাদের সহগামীরা সংস্কার বিষয়ে ‘নির্বাচিত সংসদ সিদ্ধান্ত নেবে’ বলে দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছে। অবশ্য জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি দল সংস্কার সম্পন্ন করতে সরকারকে আরও অধিক সময় দিতে অনাপত্তির কথা জানিয়েছে।
এদিকে সংবিধান সংস্কার কমিশন যে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে, তা নিয়ে সচেতন মহলে নতুন জিজ্ঞাসার সৃষ্টি হয়েছে। কমিশন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সাংবিধানিক নাম পরিবর্তনের যে প্রস্তাবনা রেখেছে তাতে প্রায় সবাই আপত্তি জানাচ্ছেন। রাষ্ট্রীয় বিধিবিধান পরিবর্তন করে গণতন্ত্রকে দৃঢ় ভিত্তি দিতে রাষ্ট্রের নাম পরিবর্তনের প্রয়োজন কেন দেখা দিল, এর উত্তর অনেকেই খুঁজে পাচ্ছেন না। তারা এটাও বুঝতে পারছেন না, রাষ্ট্র সংস্কারের পথে দেশের সাংবিধানিক নাম কীভাবে বাধা হয়ে দাঁড়াল? বর্তমানে কার্যকর সংবিধানের প্রথম ভাগে ১ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “বাংলাদেশ একটি একক, স্বাধীন ও সার্বভৌম প্রজাতন্ত্র, যাহা ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’ নামে পরিচিত হইবে।” লক্ষণীয় এর আগে আমাদের সংবিধান আরও ১৫ বার সংশোধিত হলেও কোনোবারেই রাষ্ট্রের নাম পরিবর্তন করা হয়নি। এবার সংবিধান সংস্কার কমিশন তা পরিবর্তন করে ‘জনগণতন্ত্রী বাংলাদেশ’ রাখার প্রস্তাব দিয়েছে। ‘গণপ্রজাতন্ত্রী’ ও ‘জনগণতন্ত্রী’র মধ্যে দৃশ্যত তেমন পার্থক্য আছে বলে মনে না হলেও রয়েছে সূক্ষ্ম পার্থক্য। ‘গণপ্রজাতন্ত্রী’কে ইংরেজিতে ‘পিপলস রিপাবলিক’ বলা হয়; যা এমন এক রাষ্ট্রব্যবস্থাকে বোঝায় যেখানে জনগণের প্রতিনিধিত্বের ভিত্তিতে রাষ্ট্র পরিচালিত হয়। সাধারণত এই ধরনের রাষ্ট্রব্যবস্থায় জনগণের ভোটের মাধ্যমে সরকার গঠিত হয়, প্রতিনিধিত্বমূলক শাসনব্যবস্থা কায়েম থাকে, যা জনগণ ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে। অন্যদিকে ‘জনগণতন্ত্রী’ বা ‘ডেমোক্রেটিক পিপলস রিপাবলিক’ মূলত সাম্যবাদী বা সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় ব্যবহৃত হয়ে থাকে, যেখানে রাষ্ট্র জনগণের সমানাধিকারের ওপর জোর দেয়। এ ব্যবস্থায় রাজনৈতিক ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত থাকে এবং রাষ্ট্র সাধারণত একটি দল দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। বলা নিষ্প্রয়োজন, বাংলাদেশে বর্তমানে বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা বিদ্যমান, একদলীয় নয়। এখানে জনগণ রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য একটি দল বা জোটকে নির্বাচিত করলেও এককভাবে তারা রাষ্ট্রকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা জনগণের হাতেই রয়েছে। সুতরাং বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র হিসেবে স্বীকৃত। অবশ্য ‘প্রজাতন্ত্র’ শব্দটির প্রতি কারও কারও আপত্তি রয়েছে। এতে নাকি জনগণকে ‘প্রজা’ বানানো হয়েছে। বস্তুত তা একটি খোঁড়া যুক্তি। কেননা, গণপ্রজাতন্ত্রী বলতে জনগণের শাসনকেই বোঝানো হয়েছে। সংবিধান সংস্কার কমিশনের যিনি প্রধান, তিনি এক সময় সমাজতান্ত্রিক রাজনৈতিক কর্মী ছিলেন। সংবিধান সংস্কার করতে গিয়ে তিনি যদি তার অতীত রাজনৈতিক আদর্শ দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে থাকেন, তা হবে দুর্ভাগ্যজনক।
কমিশন রাষ্ট্রীয় মূলনীতি পাঁচটি করার প্রস্তাব করেছে। সেগুলো হলো—সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার, বহুত্ববাদ ও গণতন্ত্র। বর্তমান সংবিধানে রাষ্ট্রীয় মূলনীতি হিসেবে আছে— জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা। নতুন প্রস্তাবনায় বাদ দেওয়া হয়েছে সমাজতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ ও ধর্মনিরপেক্ষতাকে। ধর্মনিরপেক্ষতা সম্বন্ধে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের আপত্তি দীর্ঘদিনের। সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীতে ধর্মনিরপেক্ষতার পরিবর্তে সব ধর্মের মানুষের সমঅধিকারের কথা বলা হয়। পরে আওয়ামী লীগের সর্বশেষ আমলে পঞ্চদশ সংশোধনীতে ধর্মনিরপেক্ষতাকে পুনঃস্থাপিত করা হয়। ধর্মনিরপেক্ষতা বাদ দেওয়ার বিষয়টি সবার কাছে গ্রহণীয় হলেও তৎপরিবর্তে ‘বহুত্ববাদ’ নিয়ে কথা উঠেছে। এ শব্দটি আমাদের দেশের মানুষের কাছে একেবারে অপরিচিত। উইকিপিডিয়ায় বহুত্ববাদের সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে—‘একটি সমাজ বা দেশের ধর্মীয় বৈচিত্র্যকে স্বীকৃতি দেওয়া ও সহ্য করা, ধর্মের স্বাধীনতার প্রচার এবং পাবলিক ফোরাম বা পাবলিক স্কয়ারে ধর্মের বিরোধিতার বিপরীতে ধর্মের বিষয়ে নিরপেক্ষতা (রাষ্ট্রীয় বা অসাম্প্রদায়িক প্রতিষ্ঠান) হিসেবে ধর্মনিরপেক্ষতাকে সংজ্ঞায়িত করা।’ অন্যত্র বলা হয়েছে, বহুত্ববাদ ‘বিভিন্ন ধর্ম বা ধর্মীয় সম্প্রদায়ের অনুসারীদের মধ্যে সুরেলা সহাবস্থানের (হারমোনিয়াস কো-এক্সিটেন্স) শর্তের জন্য একটি শব্দ’। যেহেতু বহুত্ববাদ একটি জটিল তত্ত্ব এবং আমাদের জনসমাজে তা একেবারেই নতুন। তাই এটা নিয়ে নতুন জটিলতা দেখা দিতে পারে। কেউ কেউ এ বহুত্ববাদকে আল্লাহর একত্ববাদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হিসেবেও উপস্থাপন করতে পারেন। তা ছাড়া বহুত্ববাদ প্রকারান্তরে ধর্মনিরপেক্ষ নীতিরই ভিন্ন রূপ। ফলে ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে যে আপত্তি বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের রয়েছে, তার নিরসন বহুত্ববাদে হবে বলে মনে হয় না। এ নিয়ে সামাজিকমাধ্যমে যে যার মতো অভিমত ব্যক্ত করে চলেছেন। মতপার্থক্য থাকলেও তাদের অভিমতে এটা স্পষ্ট যে, ধর্মনিরপেক্ষতার জায়গায় বহুত্ববাদের প্রতিস্থাপন কেউ গ্রহণ করবে না। তাই এ ক্ষেত্রে ধর্মনিরপেক্ষতার পরিবর্তে ‘সকল নাগরিকের ধর্মীয় স্বাধীনতা’ রাষ্ট্রীয় মূলনীতিতে প্রতিস্থাপন করা হবে যুক্তিযুক্ত। অন্যদিকে জাতীয়তাবাদ ছিল আমাদের স্বাধীন জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অন্যতম ভিত্তি। সংস্কার কমিশন কোন যুক্তিতে রাষ্ট্রের মূলনীতি থেকে জাতীয়তাবাদকে ছেঁটে ফেলার সুপারিশ করেছে, তা বোধগম্য নয়। সাধারণত জাতীয়তাবাদের বিরোধিতা করে আন্তর্জাতিকতাবাদীরা, যারা সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় বিশ্বাসী। সংবিধান সংস্কার কমিশনে কি তাহলে ‘আন্তর্জাতিকতাবাদে’ বিশ্বাসীরা প্রভাবশালী?
সংস্কার কমিশন দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্টারি ব্যবস্থা চালুর সুপারিশ করেছে। এ বিষয়টি দেশের রাজনৈতিক মহলে দীর্ঘদিন ধরেই আলোচিত হচ্ছিল। বিএনপি ঘোষিত ৩১ দফা রাষ্ট্র মেরামত কর্মসূচিতেও এর উল্লেখ রয়েছে। এ ব্যাপারে কেউ আপত্তি তুলবে বলে মনে হয় না। অন্যদিকে জাতীয় সংসদের সদস্য সংখ্যা ৩০০ থেকে ৪০০-তে উন্নীত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। তার মধ্যে ১০০ হবেন নারী সংসদ সদস্য, যারা নির্দিষ্ট সংসদীয় আসন থেকে সরাসরি নির্বাচিত হবেন। অন্যদিকে রাজনৈতিক দলগুলোকে তরুণদের মধ্য থেকে ১০ শতাংশ মনোনয়ন দিতে হবে। সংসদে নারী প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধি ও তরুণদের প্রাধান্য দিতে গিয়ে কমিশন পরিত্যক্ত ও প্রত্যাখ্যাত কোটা ব্যবস্থারই প্রতিস্থাপনের সুপারিশ করে বসেছে। অথচ এই কোটা প্রথাকে উৎখাত করতে গিয়ে দেশে একটি গণঅভ্যুত্থান হয়ে গেল। তা ছাড়া নারী প্রগতির এই সময়ে, যখন নারীরা সমাজ ও রাষ্ট্রের সর্বক্ষেত্রে পুরুষের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে, অবস্থান নিচ্ছে, সেখানে সংসদে নারী আসন বাড়ানোর ক্ষেত্রে কেন তাদের কোটার ঘেরাটোপে বন্দি করার চিন্তা, তা বোধগম্য নয়। সংসদের আসন বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রতিদ্বন্দ্বিতার ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমান অধিকারের ব্যবস্থা করা উচিত।
আপত্তি উঠেছে অন্যান্য অনেক বিষয়েও। কমিশন সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার বয়স ২১ বছর করার প্রস্তাব করেছে। বর্তমানে এ বয়সসীমা ২৫ বছর। ২১ বছর বয়সে একজন ছেলে বা মেয়ে তাদের শিক্ষাজীবনই শেষ করতে পারে না। সে ক্ষেত্রে রাজনীতির মতো জটিল বিষয় বোঝার ও আইনপ্রণেতা হওয়ার মতো জ্ঞানগম্যি তারা কতটুকু অর্জন করতে পারবে, তা চিন্তা করে দেখতে হবে। তরুণ বা নতুন প্রজন্মকে রাজনীতি কিংবা রাষ্ট্র পরিচালনার কর্মযজ্ঞে সম্পৃক্ত করার উদ্দেশ্যে যদি কমিশন এ প্রস্তাবনা করে থাকে, তাহলে সেজন্য অন্য আরও অনেক পথ খোলা আছে। জাতির আগামী নেতৃত্ব তৈরির সবচেয়ে প্রকৃষ্ট উপায় কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়মিত করা, যেখান থেকে অতীতের মতো জাতীয় নেতা-নেত্রী বেরিয়ে আসবে। তা না করে সাময়িক কোনো ফায়দার উদ্দেশ্যে অপরিপক্ব ছেলেমেয়েদের আইনপ্রণেতা বানানোর অভিপ্রায়ের এ প্রস্তাবনা দেশের রাজনীতিকে আরও মানহীন করে তুলবে, যা দীর্ঘমেয়াদে জাতির জন্য নেতিবাচক ফল বয়ে আনবে।
অন্যদিকে কমিশন প্রস্তাব করেছে জাতীয় সংসদ ও রাষ্ট্রপতির মেয়াদ চার বছর করার। বাংলাদেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে এ প্রস্তবনাকেও বাস্তবানুগ বলা যায় না। মনে রাখা দরকার, বাংলাদেশ ইউরোপ-আমেরিকার মতো ধনাঢ্য দেশ নয়। প্রতি চার বছর পরপর নির্বাচনের মতো একটি মহাযজ্ঞের জন্য যে বিপুল অর্থ ব্যয় হয়, তা বহন করা রাষ্ট্রের জন্য কষ্টকর হয়ে উঠবে। বর্তমান ব্যবস্থায় ২০ বছরে চারটি নির্বাচন হওয়ার কথা। আর প্রস্তাবিত ব্যবস্থায় ওই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে পাঁচটি। দুর্বল অর্থনীতির দেশ বাংলাদেশের জন্য তা বোঝার ওপর শাকের আঁটি হয়েই দেখা দেবে সন্দেহ নেই। এ প্রস্তাবের পক্ষের ব্যক্তিরা যুক্তি দিচ্ছেন যে, পাঁচ বছর অনেক দীর্ঘ সময়। এই দীর্ঘ সময়ে সংশ্লিষ্টদের ক্ষমতার প্রতি এক ধরনের মোহ সৃষ্টি হয়; যা তাদের যেভাবেই হোক ক্ষমতায় থাকার জন্য প্ররোচিত করে। ফলে কেউ ক্ষমতা ত্যাগ করতে চান না। মনে রাখতে হবে, ক্ষমতার প্রতি মোহ যাদের সৃষ্টি হওয়ার তাদের পাঁচ বছরে যেমন হয়, চার বছরেও তেমনই হবে। বরং রাষ্ট্রীয় দায়িত্বকে কেউ যেন ‘ক্ষমতা’ হিসেবে ব্যবহার করে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মাধ্যমে পরিণত করতে না পারে, সে বিষয়ে কঠোর আইন প্রণয়ন সবচেয়ে উত্তম।
প্রস্তাবিত রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে আরও অনেক আলোচনা হবে। বিজ্ঞজনরা তাদের মূল্যবান মতামত দেবেন। তারপর রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচিত সংসদ সেসব প্রস্তাব অনুমোদন করে রাষ্ট্র সংস্কারকে বাস্তবায়ন করবে। জনপ্রত্যাশা হলো, চমক সৃষ্টি নয় কিংবা ‘পুরোনোকে বাদ দিতেই হবে’ এমন মনোভাব থেকে নয়, বরং সংস্কারের লক্ষ্য হওয়া উচিত রাষ্ট্রকে যুগোপযোগী ও জনকাঙ্ক্ষিত রূপ দেওয়া।
লেখক: সাংবাদিক ও রাজনীতি বিশ্লেষক