ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ ওয়াসেক মো. আলীকে গুরুতর অনিয়ম ও দায়িত্বে গাফিলতির অভিযোগে ব্যাংকের শীর্ষপদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনক্রমে পরিচালনা পর্ষদ এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে। প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন কোম্পানিকে ঋণ, নিজের আত্মীয়-স্বজনদের ঋণ দেওয়াসহ তার বিরুদ্ধে যাকাতের অর্থ আত্মসাতের প্রমাণও পেয়েছে অডিট কমিটি। ওয়াসেক আলী ২০১৫ সালের ৫ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনের ভিত্তিতে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে এমডি ও সিইও হিসেবে দায়িত্ব নেন। পরবর্তীতে দুই দফায় চুক্তির মেয়াদ বাড়িয়ে তিনি ব্যাংকের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন। তবে চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি থেকে তিনি বাধ্যতামূলক ছুটিতে ছিলেন।
বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই ব্যাংকের বিভিন্ন কার্যক্রমে অসংখ্য অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠতে থাকে। এ প্রেক্ষিতে পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্তে পরিচালিত একাধিক নিরীক্ষা কার্যক্রমে আলীর বিরুদ্ধে গুরুতর অনিয়মের সুস্পষ্ট প্রমাণ মেলে। ২০২৫ সালের ১ জুন অনুষ্ঠিত ১০৭তম অডিট কমিটির সভায় এসব অনিয়মের বিস্তারিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। ওই সভার পর্যবেক্ষণে বলা হয়, ব্যাংকের বিপুল সংখ্যক আর্থিক ও প্রশাসনিক অনিয়মের সঙ্গে সৈয়দ ওয়াসেক মো. আলী সরাসরি অথবা পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলেন।
অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উল্লেখযোগ্য কিছু অনিয়মের মধ্যে রয়েছে, বেনামি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ প্রদান, বিনিয়োগ সীমা অতিক্রম করে ঋণ অনুমোদন, জামানত বা বন্ধকিকৃত সম্পত্তির অস্বাভাবিক মূল্যায়ন, অনাবৃত জামানতের বিপরীতে ঋণ বিতরণ, মুনাফা মওকুফের নামে মূলধন মওকুফ, এমটিডিআর বা স্থায়ী আমানতের বিপরীতে নিয়মবহির্ভূতভাবে মুনাফা বিতরণের নামে অর্থ উত্তোলন, নিয়োগ ও পদোন্নতিতে গুরুতর অনিয়ম এবং আঞ্চলিক বৈষম্য, চুক্তিভিত্তিক মেয়াদ শেষে পুনঃনিয়োগ ছাড়া এক নির্বাহীকে বেআইনিভাবে দায়িত্বে রাখা এবং তাকে বেতন ও বোনাস প্রদান, কর্মস্থলে উপস্থিত না থেকেও বিল উত্তোলনের অনুমোদন এবং যাকাত ফান্ড বিতরণে অনিয়ম ইত্যাদি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান কালবেলাকে বলেন, ব্যাংকের বিভিন্ন অনিয়ম খতিয়ে দেখতে ফরেন্সিক অডিট হয়েছিল। সেখানে ছুটিতে থাকা এমডির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ ওঠে। এজন্য বোর্ডের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে তার নিয়োগ বাতিলের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের চিঠি দেওয়া হয়েছিল। মঙ্গলবার ওই চিঠির আবেদন অনুমোদন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
আত্মীয়দের প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ :
বাংলাদেশ ব্যাংকের একাধিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণে দেখা যায়, ওয়াসেক আলী তার অন্তত ৩ আত্মীয়কে প্রভাব খাটিয়ে ২৫ কোটি টাকার ঋণ দিয়েছেন। একজন ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীর দায়িত্বে থাকা অবস্থায় এটি স্বার্থের দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করেছে। তথ্য বলছে, ওয়াসেক আলী তার নিকটাত্মীয় (চাচাতো ভাই) সৈয়দ তৌফিক হোসাইন আলীর দুই প্রতিষ্ঠানে ৯ কোটি টাকার বিনিয়োগ দিয়েছেন। এর মধ্যে ফাস্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের মতিঝিল শাখা থেকে বাসস্থান ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডকে ৪ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করেন। এর বাইরে তৌফিকের অন্য প্রতিষ্ঠান আলী প্রোপারটিজ লিমিটেডকে ব্যাংকটির গুলশান শাখা থেকে আরও অন্তত ৫ কোটি টাকার বিনিয়োগ দিয়েছেন ওয়াসেক আলী। ঋণগুলো এখন পুরোটাই খেলাপি। ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের সদ্য সাবেক এমডি ওয়াসিক আলীর আরেক চাচাতো ভাই সৈয়দ তারেক মোহাম্মদ আলীর প্রতিষ্ঠান মর্ডান ইন্ডাস্ট্রিজ বাংলাদেশ লিমিটেডকে ব্যাংকটির দিলকুশা শাখা থেকে ১১ কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ২০১২ সালে বিতরণ করা এই ঋণের বিপরীতে ১৭৫ শতাংশ জমিন জামানত হিসেবে রাখা হয়েছে। যার বাজার মূল্য ১৩ কোটি টাকার দেখানো হলেও তার অতিমূল্যায়িত করা হয়েছে বলে মনে করছে অডিট কমিটি। এই ঋণটিও বর্তমানে খেলাপি। শুধু তাই নয়, সদ্য সাবেক এমডির নিকটাত্মীয় হাসানুর বারীর একটি প্রতিষ্ঠানকেই এমএমই ও পরিবহন খাতে দুই ধাপে ৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন। সি লিংক শপিং কোম্পানি নামে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠার জন্য এসএমই খাতে বিনিয়োগ করা হয়েছে ৫৬ লাখ টাকা। আর প্রতিষ্ঠানটির পরিবহন খাতে বিনিয়োগ করা হয় আরও সাড়ে ৪ কোটি টাকা। তবে প্রতিষ্ঠানটির ঋণ এখনো নিয়মিত রয়েছে।
প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন কোম্পানিকে বিনিয়োগ :
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্যাংকের মতিঝিল ও দিলকুশা শাখার গ্রাহক মুলতাজিম গ্রুপকে একক গ্রাহক ঋণসীমা অতিক্রম করে ৯৪৮ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়। অথচ ব্যাংকের মূলধনের ২৫ শতাংশ অনুযায়ী গ্রুপটির পাওয়ার কথা সর্বোচ্চ ৩৭৬ কোটি টাকা। এ ছাড়া, মুলতাজিম গ্রুপের অধীন প্রতিষ্ঠান জেএস ট্রেডিং এবং শাহাজাদি ট্রেডার্স-এর মোট ৮৬ কোটি টাকার মুনাফা (সুদ) মওকুফ করা হয়। এস আলম গ্রুপের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা থাকায় এই গ্রুপটিকে একাধিকবার পুনঃতপশিল সুবিধাও দিয়েছে ব্যাংকটি। ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে অনুষ্ঠিত ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ২০৮তম বোর্ড সভায় জেএস ট্রেডিংয়ের ২০ কোটি টাকা এবং শাহাজাদি ট্রেডার্সের ৬৫ কোটি টাকার মুনাফা মওকুফ করা হয়। বর্তমানে মুলতাজিম গ্রুপভুক্ত এসএমএম টেক্সটাইল মিলস, এএসএফ ফেব্রিক্স মিলস, মাতাম মাল্টি ফাইবার মিলস, মুলতাজিম স্পিনিং মিলস, মাতাম ফাইবার মিলস ও মাতাম স্পিনিং মিলস লিমিটেড-এর ঋণ পুনঃতপশিলের প্রক্রিয়া চলছে।
অন্যদিকে, ব্যাংকের মতিঝিল শাখার বিতর্কিত গ্রাহক মেসার্স টাইমস সিকিউরিটিস লিমিটেড- যার সঙ্গে এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদের দুই ভাবি ফারজানা বেগম, মারজিনা শারমীন এবং এক আত্মীয় মো. আরশেদ জড়িত- তাদের ঋণ বিতরণেও গুরুতর অনিয়ম হয়। ২০১১ সালে ১ কোটি টাকা ঋণ দিয়ে শুরু করলেও মাত্র পাঁচ মাসের ব্যবধানে তা ৪০ কোটি টাকায় উন্নীত হয়। কোনো করপোরেট গ্যারান্টি ছাড়া এবং ন্যূনতম কাগজপত্র ছাড়াই এই ঋণ অনুমোদন হয়। বর্তমানে ঋণের স্থিতি ৮২ কোটি টাকা এবং ৭ কিস্তির ৯.৫ কোটি টাকা খেলাপি রয়েছে। ৩৯ কোটি ৩৭ লাখ টাকার মুনাফা মওকুফ করে ঋণ পুনঃতপশিল করা হয়, যেখানে এমডি সৈয়দ ওয়াসেক মো. আলীর সরাসরি ভূমিকা ছিল।
সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা ঘটে ২০২০ সালের জুলাইয়ে, যখন টাইমস সিকিউরিটিসকে পুনরায় ৬৪৯ কোটি টাকার ঋণ অনুমোদন করে ব্যাংকের ২২৩তম বোর্ড সভা। যদিও করোনাকালীন এই প্রস্তাবে বাংলাদেশ ব্যাংক আপত্তি জানালে ঋণ বিতরণ বন্ধ হয়ে যায়। তবুও এই ঋণের মেয়াদ ২০৩০ সাল পর্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়া হয়, যার মধ্যে ছিল এক বছরের গ্রেস পিরিয়ড। বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্ত প্রতিবেদনে এসব অনিয়মকে ব্যাংকিং নিয়মনীতি ও সুশাসনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
যাকাতের অর্থে অনিয়ম :
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের সিএসআরের টাকা বিতরণে অনিয়ম পেয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তদন্ত দল। এসব অনিয়মের সঙ্গে সরাসরি এমডিরও সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে। এক্ষেত্রে ব্যাংকটির গত দুই বছরের বিভিন্ন জেলায় বিতরণ করা হয় অন্তত ১৫ কোটি টাকা। এসব অর্থ যেসব প্রতিষ্ঠানে বিতরণ করার তথ্য ব্যাংকে নথিভুক্ত করা হয়েছে ওই প্রতিষ্ঠানগুলো অস্তিত্বই খুঁজে পায়নি তদন্ত দল। এজন্য অর্থগুলো আত্মসাৎ হয়েছে বলে মনে করছে তারা। একই সঙ্গে ব্যাংকার্স ফোরামকে দেওয়া ১০ কোটি টাকার বিতরণেও অনিয়ম পেয়েছে তদন্ত দল।
প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, এসব অনিয়মের কারণে ব্যাংকে তারল্য সংকট, অতিমাত্রায় শ্রেণিকৃত ঋণ, মূলধন ঘাটতি এবং প্রভিশন ঘাটতির মতো গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক ঝুঁকি দেখা দেয়। পরিচালনা পর্ষদ মনে করে, ওয়াসেক আলী তার দায়িত্বকালে ‘ফিডিউসিয়ারি ডিউটি’ বা আস্থাভাজন দায়িত্ব পালনে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছেন এবং তার কর্মকাণ্ড ‘গ্রোস অ্যাবরেশন’ তথা দায়িত্বে চরম বিচ্যুতির উদাহরণ হয়ে উঠেছে। ফলে ৩ জুন ২০২৫ তারিখে অনুষ্ঠিত ৩০১তম পরিচালনা পর্ষদ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে তাকে অপসারণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং তা বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানো হয় অনুমোদনের জন্য।
পরিচালনা পর্ষদের প্রস্তাব এবং দাখিলকৃত নিরীক্ষা প্রতিবেদন ও অডিট কমিটির কার্যবিবরণী পর্যালোচনার পর বাংলাদেশ ব্যাংক সৈয়দ ওয়াসেক মোঃ আলীকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদ থেকে অপসারণে সম্মতি প্রদান করে। একইসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংক নির্দেশনা দেয় যে, তার বিরুদ্ধে নিরীক্ষায় চিহ্নিত বিনিয়োগসংক্রান্ত অনিয়ম ও ব্যাংক অব্যবস্থাপনার অভিযোগে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে এবং তা বাংলাদেশ ব্যাংককে অবহিত করতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক আরও নির্দেশনা দিয়েছে, ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ১৫(ক)(২) ধারা অনুযায়ী নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
ব্যাংকিং বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ব্যাংকের আস্থা, শৃঙ্খলা ও সুশাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষায় এ ধরনের কঠোর সিদ্ধান্ত সময়োপযোগী ও প্রয়োজনীয় ছিল। তারা বলেন, সম্প্রতি দেশের ব্যাংকিং খাতে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে নানা ধরনের অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। এই সিদ্ধান্ত তারই ধারাবাহিকতা। সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য ভবিষ্যতেও এ ধরনের পদক্ষেপ অব্যাহত রাখতে হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গবেষণা সংস্থা চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের রিসার্চ ফেলো ও অর্থনীতিবিদ এম হেলাল আহমেদ জনি কালবেলাকে বলেন, একজন ব্যবস্থাপনা পরিচালকের ভূমিকা শুধু ব্যাংকের দৈনন্দিন কার্যক্রম তদারকিই নয়, বরং নৈতিকতা, সুশাসন ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করাও তার দায়িত্বের অংশ। সৈয়দ ওয়াসেক মোঃ আলীর বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছে- যেমন বেনামি বিনিয়োগ, অতিমূল্যায়িত জামানতের ভিত্তিতে ঋণ অনুমোদন কিংবা যাকাত ফান্ডের অপব্যবহার- এগুলো শুধু ব্যাংকের আর্থিক ক্ষতিই করে না, বরং পুরো ব্যাংকিং ব্যবস্থার ওপর আমানতকারীদের আস্থা নষ্ট করে।
তিনি আরও বলেন, ব্যবস্থাপনা পর্যায়ে এ ধরনের অনিয়মের দায় সংশ্লিষ্ট বোর্ড এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোরও রয়েছে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক সময়মতো বিষয়টি চিহ্নিত করে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা একদিকে যেমন ব্যাংকের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারে সহায়ক হবে, তেমনি অন্য ব্যাংক কর্মকর্তাদের জন্যও একটি সতর্কবার্তা হিসেবে কাজ করবে। এখন প্রয়োজন এই অনিয়মের পূর্ণ তদন্ত, সম্পৃক্তদের বিচারের আওতায় আনা এবং অপসারিত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ব্যাংক কোম্পানি আইনের যথাযথ প্রয়োগ এবং কার্যকর নজরদারি বজায় রাখতে পারলে ভবিষ্যতে এমন অনিয়ম প্রতিরোধ করা সম্ভব।
মন্তব্য করুন