নতুন ব্যবস্থাপনায় বদলে গেছে দেশের একমাত্র রাষ্ট্রায়ত্ত লিকার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কেরু অ্যান্ড কোম্পানি। দক্ষ ব্যবস্থাপনা, নতুন নতুন পরিকল্পনা আর কঠোর নজরদারিতে বন্ধ হয়েছে চুরি আর দৌরাত্ম্য।
চুরি ঠেকাতে কেরু লিকার উৎপাদন কারখানার গেট দিয়ে ঢুকতে গেলেই তল্লাশি করা হচ্ছে। পুরো ফ্যাক্টরি নেওয়া হয়েছে সিসি ক্যামেরায় আওতায়। সতর্ক নিরাপত্তারক্ষীরাও। ফলে রাষ্ট্রায়ত্ত এ প্রতিষ্ঠানটিতে চুরি বন্ধ হয়েছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদনক্রমে গত ২২ মে থেকে নতুনভাবে বোতলজাত করা হয়েছে কেরুর কান্ট্রি লিকার। এ উদ্যোগে এজেন্টদের পরিবর্তে প্রতিষ্ঠানই লাভবান হচ্ছে। এতদিন ড্রামে সরবরাহ হওয়া কান্ট্রি লিকারে পানি মিশিয়ে কোটি কোটি টাকা আয় করত একটি সিন্ডিকেট। প্রতিষ্ঠানটির সুনাম ধরে রাখতে সরকারের সহযোগিতা চান শ্রমিকরা।
চিনিকলের চিটাগুড় থেকে প্রস্তুত হয় আটটি ব্র্যান্ডের বিদেশি মদ। পাশাপাশি তৈরি হয় কান্ট্রি লিকার, ডিনেচার্ড ও রেকটিফাইড স্পিরিট, হোয়াইট ও মেলটেড ভিনেগার। প্রতিষ্ঠার পর থেকে হাতের ছোঁয়ায় ম্যানুয়ালি বোতলে ভরা হতো কেরুর বিদেশি মদ। সম্প্রতি অটোমেশন পদ্ধতির কারণে উৎপাদন বেড়েছে কয়েক গুণ।
প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রাব্বিক হাসান বলেন, সরকারের পরিকল্পনায় আধুনিকায়ন ও স্বচ্ছতার মাধ্যমে দিনে দিনে কেরুর উৎপাদিত পণ্যের উন্নতি করা হবে।
কেরু অ্যান্ড কোম্পানি দেশি-বিদেশি ব্যান্ডের লিকার প্রস্তুত করে আসছে ১৯৩৮ সাল থেকে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে যেমন মানে ও সুনামে সমৃদ্ধ হয়েছে, তেমনি প্রতি বছর লাভের রেকর্ড গড়ে চলেছে কেরু। চিনি কারখানা, স্পিরিট ও লিকার উৎপাদন কারখানা, জৈব সার কারখানা, ও বাণিজ্যিক খামারের সমন্বয়ে কেরু অ্যান্ড কোং একটি বৃহৎ শিল্প কমপ্লেক্স।
মন্তব্য করুন