সাসপেন্ড হওয়ার ভয়ে আন্দোলন প্রত্যাহারের পরে আয়কর ক্যাডারের কর্মকর্তারা ব্যাচ ধরে এনবিআর চেয়ারম্যানের কাছে মাফ চেয়েও শেষ রক্ষা হলো না। এনবিআরের আন্দোলনে থাকা প্রথম সারির মোনালিসা শাহরীন সুস্মিতাসহ আয়কর বিভাগের ৮ ক্যাডার কর্মকর্তাকে মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এনবিআর চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এসব তথ্য জানা গেছে। প্রজ্ঞাপনে এসব কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সরকারি বদলির আদেশ ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ আনা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ২২ জুন জারি করা বদলির আদেশ অবজ্ঞাপূর্বক প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলার মাধ্যমে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করায় তাদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক বিভাগীয় কার্যধারা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ৩৯(১) ধারা অনুযায়ী এনবিআরের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগপূর্বক চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। সাময়িক বরখাস্তকালীন বিধি মোতাবেক খোরপোষ ভাতা প্রাপ্য হবেন।
বরখাস্তকৃত কর্মকর্তারা হলেন- কর অঞ্চল-২ এর বিভাগীয় প্রতিনিধি (যুগ্ম কর কমিশনার) মাসুমা খাতুন, কর অঞ্চল-১৫ এর যুগ্ম কর কমিশনার মুরাদ আহমেদ, কুষ্টিয়া কর অঞ্চলের যুগ্ম কর কমিশনার মোহাম্মদ মোরশেদ উদ্দিন খান, নোয়াখালী কর অঞ্চলের যুগ্ম কর কমিশনার মোনালিসা শাহরীন সুস্মিতা, কক্সবাজার কর অঞ্চলের যুগ্ম কর কমিশনার মো. আশরাফুল আলম প্রধান, খুলনা কর অঞ্চলের উপ কর কমিশনার মোহাম্মদ শিহাবুল ইসলাম, রংপুর কর অঞ্চলের উপ কর কমিশনার মোসা. নুশরাত জাহান শমী ও কুমিল্লা কর অঞ্চলের উপ কর কমিশনার ইমাম তৌহিদ হাসান শাকিল।
গত ২ জুলাই জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর বিভাগের সদস্য মো. আলমগীর হোসেন, মূসক নীতির সদস্য ড. মো. আবদুর রউফ, শুল্ক নীতির সদস্য হোসেন আহমদ এবং বরিশালের কর কমিশনার মো. শব্বির আহমদকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায় সরকার।
এর একদিন আগে, ১ জুলাই রাতে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার মো. জাকির হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পরে তাকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) হিসেবে এনবিআরে সংযুক্ত করা হয়।
মন্তব্য করুন