জাকির হোসেন
প্রকাশ : ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:৪৮ এএম
আপডেট : ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:৪৮ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
ক্রান্তিকালের কথকতা

কমলা ও সুদেষ্ণা: উপেক্ষিত দুই ভাষাশহীদ

কমলা ও সুদেষ্ণা: উপেক্ষিত দুই ভাষাশহীদ

শুধু পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল মোহাম্মদ আলি জিন্নাহই নন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুও বাংলা ভাষা এবং সংস্কৃতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন। ভারতীয় শাসকগোষ্ঠী বৈরী আচরণ করেছেন ‘বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী’ ভাষার বিরুদ্ধে। বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরীরা জীবন দিয়ে নিজেদের ভাষার মর্যাদা রক্ষা করেছেন। অর্থাৎ শুধু বাঙালিরাই নয়, অন্য ভাষার মানুষও তাদের নিজ ভাষার মর্যাদা রক্ষার জন্য জীবন দিয়েছেন

বায়ান্নর রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন ও শহীদদের কথা আমরা সবাই জানি। প্রতি বছর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বিশ্বব্যাপী তাদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয়। কিন্তু আসামে বাংলা ভাষা এবং মণিপুরে ‘বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী’ ভাষার মর্যাদা রক্ষার জন্য যারা জীবন দিয়েছিলেন, তাদের সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের ইতিহাস উপেক্ষিতই রয়ে গেছে। আমাদের অনেকেরই অজানা, শুধু পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল মোহাম্মদ আলি জিন্নাহই নন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুও বাংলা ভাষা এবং সংস্কৃতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন। ভারতীয় শাসকগোষ্ঠী বৈরী আচরণ করেছেন ‘বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী’ ভাষার বিরুদ্ধে। বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরীরা জীবন দিয়ে নিজেদের ভাষার মর্যাদা রক্ষা করেছেন। অর্থাৎ শুধু বাঙালিরাই নয়, অন্য ভাষার মানুষও তাদের নিজ ভাষার মর্যাদা রক্ষার জন্য জীবন দিয়েছেন।

১৯৬১ সালে আসাম প্রাদেশিক সরকার শুধু অহমিয়া ভাষাকে রাজ্যের একমাত্র সরকারি ভাষা ঘোষণা করে। এ ঘোষণার প্রতিবাদে বাঙালিরা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে এবং পরে তা আন্দোলনে রূপ নেয়। আসামের শিলচর, কাছাড়, করিমগঞ্জ, হাইলাকান্দিসহ বিভিন্ন এলাকায় এ দাবিতে একের পর এক আন্দোলন সংঘটিত হয়। এ আন্দোলন প্রতিহত করতে পাল্টা চাপ দিতে শুরু করে তৎকালীন রাজ্য সরকার। ১৯৬১ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি শিলচরে গঠিত হয় ‘কাছাড় গণসংগ্রাম পরিষদ’। নীলকান্ত দাস, রথীন্দ্রনাথ সেন, বিভূতিভূষণ চৌধুরী প্রমুখের নেতৃত্বে শুরু হয় গণআন্দোলন। ওই বছরের ১৪ এপ্রিল পালিত হয় ‘সংকল্প দিবস’। ২৪ এপ্রিল থেকে এ দাবিতে বরাক উপত্যকার সর্বত্র শুরু হয় ১৫ দিনব্যাপী পদযাত্রা। পদযাত্রা শেষে এ আন্দোলনের অন্যতম নেতা রথীন্দ্রনাথ সেন ঘোষণা করেন, ১৮ মের মধ্যে বাংলাকে আসামের সরকারি ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া না হলে ১৯ মে সর্বাত্মক হরতাল পালন করা হবে। কিন্তু আন্দোলনকারীদের হুমকি, প্রতিবাদ, প্রতিরোধ কিছুতেই কাজ হয়নি। ১৮ মে পর্যন্ত বাংলাকে আসামের সরকারি ভাষার স্বীকৃতি না দেওয়ায় পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী ১৯ মে সকাল থেকে হরতাল শুরু হয়। চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে বিক্ষোভের আগুন। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরিস্থিতি পুলিশের নাগালের বাইরে চলে গেলে প্রথমে লাঠিচার্জ করে আধাসামরিক বাহিনী। তারপর শুরু হয় গুলি। মুহূর্তেই লুটিয়ে পড়েন ১৫ বিক্ষোভকারী। ঘটনাস্থলেই মারা যান নয়জন। পরদিন আরও দুজন মারা যান হাসপাতালে। সেই আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছিলেন তারা হলেন—কমলা ভট্টাচার্য, শচীন্দ্র পাল, বীরেন্দ্র সূত্রধর, কানাইলাল নিয়োগী, চণ্ডীচরণ সূত্রধর, সত্যেন্দ্র দেব, হীতেশ বিশ্বাস, কুমুদরঞ্জন দাস, তারিণী দেবনাথ, সুনীল সরকার ও সুকোমল পুরকায়স্থ। তাদের সেই আন্দোলন ও আত্মত্যাগ বিফলে যায়নি। পরবর্তী সময়ে বাংলাকে আসামের সরকারি ভাষার স্বীকৃতি দেওয়া হয়। ভাষাশহীদদের স্মরণে আসামে এখনো ১৯ মে ভাষা দিবস পালিত হয়।

কমলা ভট্টাচার্য বিশ্বের প্রথম নারী ভাষাশহীদ। তার জন্ম অবিভক্ত বাংলার সিলেটে ১৯৪৫ সালে। পিতা রামরমন ভট্টাচার্য ও মাতা সুপ্রবাসিনী দেবী। সাত ভাইবোনের মধ্যে কমলা পঞ্চম আর বোনদের মধ্যে তৃতীয়। দেশ ভাগের পর সাত সন্তানকে নিয়ে বিধবা সুপ্রবাসিনী দেবী ভারতে পাড়ি জমান। আশ্রয় নেন একসময়ের অবিভক্ত বৃহত্তর সিলেটের অংশ শিলচরে। মাত্র পাঁচ বছর বয়সে উদ্বাস্তু হয়ে শিলচরে পা রেখেছিলেন কমলা।

সেখানে কমলার শিক্ষাজীবন শুরু হয় ‘ছোটেলাল শেঠ ইনস্টিটিউটে’। একে তো উদ্বাস্তু, তার ওপর আর্থিক অনটন। কমলার বড় দিদি বেণু নার্সিংয়ের চাকরি পেয়ে প্রশিক্ষণের জন্য চলে যান শিমুলগুড়ি। মেজো দিদি প্রতিভা ছিলেন স্কুলের শিক্ষিকা। অর্থনৈতিকভাবে প্রতিভার ওপরই নির্ভর ছিল গোটা পরিবার। বই-খাতা কেনার পয়সা ছিল না কমলার। সহপাঠীদের কাছ থেকে বই ধার করে খাতায় টুকে লেখাপড়া করতেন তিনি। লেখাপড়ার সুবিধার জন্য কমলা একবার তার বোনের কাছে একটি অভিধান কিনে দেওয়ার আবদার করেছিলেন। কিন্তু অর্থের অভাবে কমলার এই ইচ্ছে পূরণ করতে পারেননি তার বোন। অভাবের মধ্যে বড় হওয়া কমলা তবুও স্বপ্ন দেখেন স্নাতকোত্তর পর্যন্ত পড়ালেখা করার, সেইসঙ্গে টাইপরাইটিং শিখে একটা কেরানির চাকরি নিয়ে মায়ের দুঃখ দূর করবেন। কমলা যখন দশম শ্রেণির ছাত্রী, বরাক উপত্যকা তখন উত্তাল ভাষার সংগ্রামে। অভাব-অনটনে বড় হওয়া কমলা মনে মনে তখন ভীষণ লড়াকু। সরকারের ভাষানীতির বিরুদ্ধে তিনিও হয়ে ওঠেন সোচ্চার।

১৮ মে ছিল মাধ্যমিক পরীক্ষার শেষ দিন। তাই পরীক্ষার পরদিন যথারীতি হরতাল কর্মসূচিতে যোগ দেন। যাওয়ার আগে কিছু খেয়ে যেতে চেয়েছিলেন কমলা কিন্তু ঘরে কিছু না থাকায় খালি পেটেই বের হতে হয় তাকে। সঙ্গে ছিল ১১ বছরের ছোট বোন মঙ্গলা। দুপুর পৌনে ৩টার দিকে পুলিশ বিনা প্ররোচনায় ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালায়। এতে ১১ জন মৃত্যুবরণ করেন। এর মধ্যে একজন ছিলেন ১৬ বছরের কিশোরী কমলা ভট্টাচার্য। একটি গুলি কমলার চোখ দিয়ে ঢুকে মাথা ফুঁড়ে বেরিয়ে যায়। আহত হন তার ছোট বোন মঙ্গলা। মঙ্গলার পাশেই লুটিয়ে পড়েন কমলা। মঙ্গলা হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসার পর শারীরিকভাবে সুস্থ হয়ে উঠলেও, চোখের সামনে বোনের মৃত্যুর ঘটনাটি তিনি সহ্য করতে পারেননি। চিরদিনের জন্য মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন।

কমলা মাধ্যমিক পাসের পর চাকরিতে যোগ দিয়ে পরিবারকে সহযোগিতা করতে চেয়েছিলেন। মাধ্যমিকে তিনি পাস করেছিলেন ঠিকই কিন্তু চাকরি আর করা হয়নি, দাঁড়ানো হয়নি পরিবারের পাশে। তবে কমলার আত্মদান বৃথা যায়নি। এ আন্দোলনের ফলে রাজ্য সরকার বাংলা ভাষাকে অবিভক্ত কাছাড় জেলার সরকারি ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয়। এই আন্দোলনে শহীদ ১১ জনের আবক্ষ মূর্তিসহ একটি ব্রোঞ্জ ফলক রয়েছে শিলচর স্টেশনের একটি শহীদ বেদির ওপর। শিলচর স্টেশনকে নামকরণ করা হয়েছে ভাষাশহীদ স্টেশন হিসেবে।

২০১১ সালে, ভাষা আন্দোলনের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে কমলার স্কুল প্রাঙ্গণে তার একটি আবক্ষ ব্রোঞ্জমূর্তি স্থাপন করা হয়। শিলচরের পাবলিক স্কুলের গা ঘেঁষে চলে যাওয়া সড়কটির নামকরণ করা হয় কমলা ভট্টাচার্য সড়ক, এ রাস্তার পাশেই ভাড়া থাকত কমলার পরিবার।

সুদেষ্ণা সিংহ বিশ্বের দ্বিতীয় নারী ভাষাশহীদ। ১৯৯৬ সালের মার্চ মাসে ‘বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী ভাষা’র মর্যাদা রক্ষার জন্য জীবন দিয়েছেন তিনি। ‘বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী’ ভারতের পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব এবং বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চলে বসবাসকারী এক প্রান্তিক জাতির নাম। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর ভারতের সংবিধানে রাষ্ট্রের সব ভাষাভাষীর জন্য মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়। কিন্তু আসামে বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরীদের জন্য এ ব্যবস্থা না থাকায় তাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

১৯৯৫ সালের ২৬ মে ত্রিপুরা সরকার শিক্ষার প্রাথমিক স্তরে বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী ভাষা চালু করে। আসামে এ ব্যবস্থা তখনো চালু হয়নি, ১৯৯৬ সালের ১৬ মার্চ থেকে ‘নিখিল বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী ছাত্র ইউনিয়ন’ দীর্ঘ ৫০১ ঘণ্টার রেল অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করে।

বিষ্ণুপ্রিয়া ভাষায় ‘ইমার ঠারের’ অর্থ ‘মায়ের ভাষা’। দলে দলে বিষ্ণুপ্রিয়াভাষী মানুষ জড়িয়ে পড়ে এ আন্দোলনে। নিজ ভাষার অস্তিত্ব রক্ষায় রেল অবরোধ কর্মসূচিতে অংশ নিতে অন্য সবার মতো সুদেষ্ণাও বিদায় নেন মায়ের কাছ থেকে। তিনি ঘর থেকে বের হওয়ার সময় মায়ের কাছে কিছু টাকার আবদার করেছিলেন। কিন্তু দুঃখিনী মায়ের কাছে একটি কানাকড়িও ছিল না। সুদেষ্ণার সঙ্গে ছিল তার বান্ধবী প্রমোদিনী। প্রমোদিনীর কাছ থেকে দুটি টাকা চেয়ে নিয়েছিলেন সুদেষ্ণা। সকৌতুকে প্রমোদিনী তার বান্ধবীকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘কীসের জন্য এ দুটো টাকা? প্রমোদিনী দুটো টাকা বেঁধে দিয়েছিলেন সুদেষ্ণার আঁচলে। মিষ্টি হাসিতে সুদেষ্ণা তখন বলেছিলেন, ‘এ দুটো টাকা খেয়াপারের জন্য (মৃত্যুর পর খেয়া পারাপারের মাধ্যমে অন্য জগতে পদার্পণ করতে হয় বলে বৈষ্ণব ধর্মাবলম্বী মণিপুরীদের বিশ্বাস)।’ প্রাণপ্রিয় বান্ধবী প্রমোদিনীর কাছে সুদেষ্ণার দ্বিধাহীন শেষ কণ্ঠবাণী, ‘মোর রকতলো অইলেউ মি আজি ইমার ঠারহান আনতৌগাগো চেইস (দেখিস, আমার রক্ত দিয়ে হলেও আজকে আমি আমার মাতৃভাষাকে কেড়ে আনব)।’ আন্দোলন চলাকালে কোনো ধরনের পূর্বঘোষণা ছাড়াই পুলিশ অবরোধকারীদের ওপর গুলি চালায়। সেদিন পুলিশের গুলিতে ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ায় আহত হন শতাধিক আন্দোলনকারী। দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে ঘটনাস্থলেই গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান সুদেষ্ণা সিংহ।

পরে হাসপাতালে নিহত হন আরেকজন বিপ্লবী তরুণ সলিল সিংহ। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আসাম ও ত্রিপুরাজুড়ে গণআন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে ওঠে। এসবের জেরে পরবর্তীকালে সব দাবি মেনে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় আসাম সরকার। ২০০১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি আসামে বরাক উপত্যকার প্রায় সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে (১৫২টি) বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী ভাষায় পাঠদানের ব্যবস্থা চালু হয়। এর ছয় বছর পর ২০০৭ সালের ৮ মার্চ ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের একটি আদেশে ‘বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী’ ভাষা হিসেবে তার মর্যাদা ফিরে পায়। বিষ্ণুপ্রিয়ারা শহীদ সুদেষ্ণাকে সম্মান জানিয়ে ‘ইমা সুদেষ্ণা’ বলে ডাকেন। ‘ইমা’ শব্দের অর্থ মা। নিজেদের ভাষাকেও তারা ‘ইমার ঠার’ অর্থাৎ ‘মায়ের ভাষা’ বলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।

সুদেষ্ণার জন্ম ১৯৬৫ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি আসামের সুরমা উপত্যকার কচুবাড়ি গ্রামের এক দরিদ্র পরিবারে। গ্রামবাসী আদর করে তার ডাকনাম দিয়েছিল ‘বুলু’। সহায়-সম্বলহীন একটি পরিবারে বঞ্চনাকে চিরসঙ্গী করে ধীরে ধীরে বেড়ে উঠেছিলেন তিনি। সুদেষ্ণা সিংহ নিজের মৃত্যুর মাধ্যমে একটি ভাষাকে তার মৃত্যুদশা থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছেন। তাই বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী জাতির ইতিহাসে এই ১৬ মার্চ অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিন। বাংলাদেশ এবং ভারতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরীরা কখনোই সুদেষ্ণা ও তার আত্মত্যাগের কথা ভুলতে পারে না। আসাম সরকারের পাশাপাশি ত্রিপুরা সরকারও এ দিনটি ‘ভাষা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। বর্তমানে বাংলাদেশ-ভারত উভয়প্রান্তের বিষ্ণুপুরী মণিপুরীভাষী মানুষ প্রতি বছর রক্তঝরা এই ১৬ মার্চকে স্বভাষার প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে ‘শহীদ সুদেষ্ণা দিবস’ হিসেবে পালন করে থাকে।

লেখক: সাংবাদিক ও গবেষক

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ঝাড়ু হাতে নিজেই রাস্তা পরিষ্কারে নামলেন ডিসি সারোয়ার

বিএনপি গণতন্ত্র ও মানুষের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করে : মহসীন হোসাইন

এমসিসিআইর অনুষ্ঠানে পরামর্শক কমিটির সদস্য / ‘বিদ্বেষ’ থেকে এনবিআর ভাগ হলে ভয়ংকর পরিস্থিতি হবে

হঠাৎ ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য থেকে রাষ্ট্রদূতদের ডেকে পাঠালো ইরান

গণতান্ত্রিক শক্তি এক না হলে গুপ্ত স্বৈরাচারের আবির্ভাব হতে পারে : তারেক রহমান

কোটিপতি হওয়ায় রাগ করে নিজের কোম্পানি দান করে দেন উদ্যোক্তা!

মাসুমা রহমান নাবিলা ও ভিট বাংলাদেশের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর

ইয়াবা বিক্রির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে বন্ধুর হাতে খুন 

শহীদ জিয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করছেন তারেক রহমান : মাহবুবুর রহমান  

বিসিএস ২২ ব্যাচ ফোরামের নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক ও শরৎ সন্ধ্যা

১০

ঢাকা কলেজের নর্থ হলে লাইট-ফ্যান উপহার দিল ছাত্রদল

১১

ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

১২

নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন সারজিস

১৩

চীনে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে হাতের কাটা নখ, রহস্য কী জেনে নিন

১৪

দুর্গাপূজা উপলক্ষে তুরাগে শতাধিক হিন্দু পরিবারকে তারেক রহমানের উপহার

১৫

রাজ্জাকের পদত্যাগে অবাক শান্ত

১৬

কোটের হাতাতে এই অতিরিক্ত বোতাম কেন থাকে, আসল রহস্য জেনে নিন

১৭

আবুধাবিতে বিশ্বের প্রথম ‘নেট জিরো এনার্জি’ মসজিদ

১৮

ইরানের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল

১৯

এনআরবি ইসলামিক লাইফ ইন্স্যুরেন্সের এজিএম অনুষ্ঠিত

২০
X