মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫ আশ্বিন ১৪৩২
কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:৩৭ এএম
আপডেট : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১:৪০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
সেই দিনটি

জর্জ হ্যারিসন

জন্মদিন
জর্জ হ্যারিসন

জর্জ হ্যারিসন বিংশ শতাব্দীর অত্যন্ত প্রতিভাবান জনপ্রিয় গায়ক ও গিটারিস্ট। বিখ্যাত ব্যান্ড সংগীত দল ‘দ্য বিটলস’-এর চার সদস্যের একজন হিসেবে তিনি বিখ্যাত। জর্জ হ্যারিসন সংগীত পরিচালনা, রেকর্ড প্রযোজনা এবং চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রায় সবক্ষেত্রে সমান দক্ষতার ছাপ রেখেছেন। তিনি ১৯৪৩ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাজ্যের লিভারপুলে জন্মগ্রহণ করেন। বাংলাদেশের মানুষের কাছে অন্য বিদেশি সংগীতশিল্পীদের তুলনায় জর্জ হ্যারিসনের প্রতি শ্রদ্ধা, সম্মান রয়েছে অনন্য উচ্চতায়। এর পেছনের কারণ ‘দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’। ১৯৭১ সালের কথা। বাংলাদেশে তখন স্বাধীনতা যুদ্ধ চলছে। বাঙালি জাতির ওপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নির্মম হত্যাযজ্ঞ আর পৈশাচিকতা জর্জ হ্যারিসনকে বেদনাতুর করে তুলেছিল। বিশ্ববাসীকে বাংলাদেশের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য পপসংগীতের এ জনপ্রিয় শিল্পী ও পণ্ডিত রবি শংকর তখন দুটি দাতব্য সংগীতানুষ্ঠানের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। একাত্তরের ১ আগস্ট নিউইয়র্ক শহরের ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে সে সময় এক বেনিফিট সংগীত অনুষ্ঠানের (কনসার্ট ফর বাংলাদেশ) আয়োজন করেন। এ কনসার্ট থেকে সংগৃহীত হয় ২ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। সেই অর্থ তখন বাংলাদেশের উদ্বাস্তুদের জন্য দেওয়া হয়েছিল। কনসার্টে জর্জ হ্যারিসন তার নিজের লেখা বিখ্যাত সেই মর্মস্পর্শী ‘বাংলাদেশ’ শিরোনামের গানটি পরিবেশন করেন। সেদিনের কনসার্টে সংগীত পরিবেশন করেছিলেন নোবেলজয়ী বব ডিলানসহ পৃথিবীর সেরা শিল্পীরা। কনসার্টের টিকিট, ক্যাসেট থেকে প্রাপ্ত সব অর্থ ইউনিসেফের ফান্ডে জমা করা হয়। পৃথিবীর ইতিহাসে ‘বাংলাদেশ’ গানটিই ছিল প্রথম কোনো চ্যারিটি সংগীত। ২০০৫ সালে জাতিসংঘের মহাসচিব কফি আনান ‘বাংলাদেশ’ গানটি প্রসঙ্গে বলেছিলেন, গানটির মধ্যে হৃদয়গ্রাহী বক্তব্য উঠে এসেছে, তা বাংলাদেশের সংকট সম্পর্কে ব্যক্তিগতভাবে মানুষের স্পর্শ করেছে। জর্জ মূলত লিড গিটারিস্ট হলেও বিটলসের প্রতিটি অ্যালবামেই তার নিজের লেখা ও সুর দেওয়া দু-একটি একক গান থাকত, যা হ্যারিসনের প্রতিভার পরিচায়ক ছিল। বিটলসের হয়ে এ সময়ের গানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল—ইফ আই নিডেড সামওয়ান, ট্যাক্সম্যান, হোয়াইল মাই গিটার জেন্টলি উইপস, হেয়ার কামস দ্য সান ও সামথিং ইত্যাদি। বিটলস ভেঙে যাওয়ার পরও তার জনপ্রিয়তা কমেনি। ’৭০-পরবর্তী সময়ে তার অনেক গান প্রচণ্ড জনপ্রিয় হয়েছিল। এ সময়কালের গানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল—মাই সুইট লর্ড (১৯৭০), গিভ মি পিস অন আর্থ (১৯৭৩), অল দোজ ইয়ার্স এগো (১৯৮১), গট মাই মাইন্ড সেট অন ইউ (১৯৮৭)। হ্যারিসন ২০০১ সালে ২৯ নভেম্বর ৫৮ বছর বয়সে মেটাস্টাটিক নন-স্মল সেল লাং ক্যান্সারে মারা যান। হলিউড ফরএভার সিমেট্রিতে তাকে দাহ করা হয়। এরপর তার দেহভস্ম ভারতের কাশ্মীরের কাছে গঙ্গা ও যমুনা নদীতে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। পরিবারের কাছের লোকেরা ভারতে হিন্দুরীতিতে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন করেন। ধর্মবিশ্বাস সম্পর্কে জর্জ হ্যারিসনের বক্তব্য ছিল—‘সব মতবাদই একটি বৃহৎ বৃক্ষের শাখা। তুমি তাকে কী নামে ডাকবে এটা কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়।’

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নেপালের কাছে সিরিজ হারের লজ্জায় ডুবলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ

গাজা যুদ্ধ বন্ধে রাজি ইসরায়েল

অসুরকে বিকৃতভাবে উপস্থাপনে পূজা পরিষদ ও পূজা কমিটির উদ্বেগ

কাতারের প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষমা চাইলেন নেতানিয়াহু

জিআই স্বীকৃতি পেল নেত্রকোনার বালিশ মিষ্টি

মর্গে পড়ে আছে অজ্ঞাত দুই নারীর লাশ

জেন-জি বিক্ষোভে উত্তাল মাদাগাস্কার

মারাত্মক আর্থিক সংকটে বিচারপতি মানিক, বিক্রি করে দেন বই : আইনজীবী

হিরো আলমের ওপর হামলা

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কার নিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে পুসাবের বৈঠক

১০

বিদেশে পাঠানোর ফাঁদে মানুষকে ‘পথে বসানো’ সেলিম গ্রেপ্তার

১১

ধর্মীয় সম্প্রীতির দেশ গড়তে এনসিপি কাজ করছে : সারজিস

১২

সারা দেশে বৃষ্টি নিয়ে আবহাওয়ার পূর্বাভাস

১৩

ভারতের ভিসা নিয়ে যে তথ্য দিলেন হাইকমিশনার

১৪

হাজত থেকে পালানো সেই যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

১৫

‘ইউনিভার্সেল মেডিকেলে ফ্রি হার্ট ক্যাম্প’ সম্পন্ন

১৬

ক্যাম্পাসে চাকসু নির্বাচনের উন্মাদনা, ১ মাস ধরে হাসপাতালে ইমতিয়াজ-মামুন

১৭

ঘরের চারদিকে দুর্গন্ধ, দরজা খুলতেই দেখা গেল মর্মান্তিক দৃশ্য

১৮

ইসলামী ব্যাংকের ২০০ কর্মী ছাঁটাই, ৪৯৭১ জনকে ওএসডি

১৯

করোনা পরবর্তী সময়ে যুবকদের মধ্যে হৃদরোগ বাড়ছে

২০
X