মোস্তফা কামাল
প্রকাশ : ০৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০০ এএম
আপডেট : ০৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:০৪ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

ঈদোত্তর টরেটক্কায় সংস্কার-নির্বাচন

ঈদোত্তর টরেটক্কায় সংস্কার-নির্বাচন

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বড় দুই শক্তিকে পরস্পরের বিরুদ্ধে লাগিয়ে দেওয়ার খেলোয়াড়রা সামনে আশা দেখছে। লক্ষণ বুঝে কোমর বাঁধছে কিছু একটার আশায়। নির্বাচন, সংস্কার সবকিছু নিয়েই বিরোধ এখন নতুন মাত্রায়। কেউ ছেড়ে কথা বলছে না। শুরু থেকেই অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কিছু বিষয়ে বিএনপির টক্কর এখন ওপেন সিক্রেট। সরকারও বিএনপির ওপর অসন্তুষ্ট, তা জানিয়ে দিচ্ছেন কয়েক উপদেষ্টা। বিএনপি নেতারাও ছাড়ছেন না। বলতে বলতে এখন প্রকাশ্যেই বলছেন কয়েক উপদেষ্টার কথা-কাজ সম্পর্কে। সংস্কার এ সরকারের কাজ নয়, এমন কঠিন কথাও বলছেন। আবার এ কথাও বলছেন, এরপরও তারা সরকারকে ব্যর্থ হতে দিতে চান না।

সরকারের পক্ষে রাজদলের মতো ভূমিকায় ছাত্রদের গড়া দল জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি। বিএনপি দ্রুত নির্বাচনের দাবি সামনে আনলেই তারা মাইন্ড করে। ছাত্রনেতাদের পক্ষ থেকে এখন আর ইনিয়ে-বিনিয়ে নয়, সোজাসাপ্টা বলা হচ্ছে—সংস্কারের আগে কোনো নির্বাচন নয়। শুধু নির্বাচনের জন্য ছাত্ররা জীবন দেয়নি। যুক্তিতে কড়া দুপক্ষই। সংস্কার ও নির্বাচন পরস্পরের প্রতিপক্ষ না হলেও দুপক্ষের কারও কারও কথায় তা প্রতিপক্ষই হয়ে যাচ্ছে। ফ্যাসিবাদবিরোধীরা এক ধরনের মসিবত হয়ে উঠেছে বিএনপিসহ কয়েকটি দলের জন্য। নতুন বন্দোবস্তের কথা বললেও তাদের কৌশল ও আচরণে নতুনত্ব নেই। চাঁদাবাজি, তদবিরসহ পুরোনো নানা কাণ্ডকীর্তির অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে।

বাংলাদেশে এনসিপির চেয়ে বড় দল আছে। যাদের নিবন্ধনও আছে। এনসিপির এখনো নিবন্ধন হয়নি। সমর্থন এবং নেপথ্যে সরকারের আশীর্বাদ থাকলেও তারা মাঠের ও ভোটের রাজনীতিতে বিএনপি বা জামায়াতের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠতে পারেনি। কিন্তু তাদের দেশের প্রধান দল নামে চালানোর একটি প্রবণতা রয়েছে। টানা ১৭-১৮ বছর ঘাতপ্রতিঘাত সহ্য করা বিএনপিকে এটিও সহ্য করতে হচ্ছে। সুষ্ঠু নির্বাচন প্রশ্নে শেখ হাসিনার জমানায় বেশি উন্নয়ন কম গণতন্ত্রের থিওরি দিয়ে ভোগানো হয়েছে। সেই থিওরিতে পরপর তিনটি নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে পারেনি। এখন কারও কারও অভিমত, ভোট হলে তো বিএনপি ক্ষমতায় বসবে। তারা উন্নয়ন ছারখার করে দেবে। তাই ভোট দেওয়া যাবে না। সেই পুরোনো কথারই রিমেক।

২০১৪ সালের নির্বাচনে বিনা ভোটে ১৫৪ জন পাস, ১৮-তে রাতের ভোটের পর ২৪-এ আমি-ডামির নির্বাচনের পরও তাকে জাস্টিফাই করতে বাজারে ছাড়া হলো শেখ হাসিনার সরকার বারবার দরকার। যত কিছুই হোক শেখ হাসিনা না থাকলে দেশ থাকবে না। সেইসঙ্গে নানা রঙে ত্যানা পেঁচিয়ে সামনে নিয়ে আসত—মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষার বিষয়টি। ১৫ বছরের ভোট চুরি, ব্যাংক ডাকাতি, গুম-খুনের বৈধতা দিত মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষা করার নামে। এখনকার সংস্করণ হচ্ছে— আগে সংস্কার পরে নির্বাচন। এখন কোনো ভোটের দরকার নেই। এর মাঝে ঈদের আরামে নতুন তত্ত্ব ড. ইউনূসকে ১০ বছর না হলেও অন্তত ৫ বছর দরকার। বিনা ভোটে দীর্ঘ সময় ক্ষমতা ধরে রাখার সেই থিওরি এরা ঘুরিয়ে বলছে সংস্কার শেষ করতে।

বিএনপিসহ বিভিন্ন দল এর ফের বুঝে বলছে, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে যেটুকু সংস্কার দরকার, সেটুকু করা হোক। নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখটা ঘোষণা হোক। নইলে ডিসেম্বর, মার্চ, জুন ইত্যাদির ঘোর কাটবে না। সরকারের দিক থেকে তা না করায় বিএনপির নেতারা সরকারের সদিচ্ছা নিয়ে সন্দিহান। তার ওপর নতুন করে কেউ কেউ জাতীয় সরকার গঠনের জিকির তুলছেন। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর যখন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে জাতীয় সরকার গঠনের প্রস্তাব দেন, তখন বিএনপি রাজি হয়নি। ফলে অন্যান্য দলকেও পিছিয়ে আসতে হয়েছে এবং মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অরাজনৈতিক চরিত্রের একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। এরপরই আন্দোলনকারী ছাত্র প্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে তিনজনকে উপদেষ্টা করা হলে অরাজনৈতিক সরকারের রাজনৈতিক চরিত্র পায়।

বিএনপির সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের বিরোধের এটাও অন্যতম কারণ। দ্বিতীয়ত যেই ছাত্রনেতৃত্ব জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিল, তারাও কয়েক ভাগে বিভক্ত। কেউ দল করেছেন, কেউ আগের অবস্থানে অনড় আছেন, কেউ সাংস্কৃতিক মঞ্চ করেছেন। এদের বাইরে আরেকটি গ্রুপ কাজ করছে। এ ভজঘটের মাঝে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কয়েকজন উপদেষ্টার অপসারণ চেয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের উচিত, সেই সব উপদেষ্টার অপসারণ করা, যারা তার সরকারের নিরপেক্ষতা নষ্ট করছেন এবং সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করছেন।’ তিনি যাদের ইঙ্গিত করেছেন, তারা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন। তার ভাষায়, ‘সরকারের কিছু উপদেষ্টা একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের স্বার্থে সরকারি সম্পদ অপব্যবহার করে থাকেন, সেটা নিশ্চয়ই সরকারের নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন করে।’ মির্জা ফখরুল কোনো উপদেষ্টার নাম বলেননি। কিন্তু যা বলার যথেষ্ট বলেছেন। নামধাম বলা লাগে না। দিনে দিনে নানান কারণেই বিএনপির এ অবস্থান। সংস্কার শব্দটি বিএনপির জন্য মারণাস্ত্র হিসেবেও ব্যবহার হয়েছে। ওয়ান ইলেভেনে বিএনপিকে ভাঙার চেষ্টা হয়েছে সংস্কারের নামেই। এরপরও বিএনপি রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা দিয়েছে। এখন রাষ্ট্রীয়ভাবে যে সংস্কারের আওয়াজ দেওয়া হচ্ছে তার বেশিরভাগই রয়েছে ওই ৩১ দফায়। সংস্কারবিষয়ক পাঁচটি কমিশনের সুপারিশ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত জানতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পাঠানো স্প্রেডশিটের জবাবে মতামত জানিয়েছে বিএনপি, এনসিপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল।

সংস্কার একটি উপলব্ধির বিষয়। আরোপের বিষয় নয়। শুধু একজন ব্যক্তি পরপর দুবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হবেন না— এটি আইন করে রোধ করাই সংস্কার নয়। শুধু জাতীয় নির্বাচনের সময়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা করাও সংস্কার নয়। শিক্ষা, চিকিৎসা, বাজার ব্যবস্থাপনাসহ সংস্কারের আরও অনেক কিছুই আছে। পরিবেশদূষণ রোধে সংস্কার প্রস্তাব জরুরি। এসব বিষয়ে সংস্কারের পাশাপাশি মানুষের সমস্যাও আলোচনার দাবি রাখে। এখন পর্যন্ত সংস্কারের আলোচনা ঘুরছে শাসনতান্ত্রিক বিষয়াদিতে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের আদলে প্রেসিডেন্ট পদ্ধতির সরকার গঠন করা হয়। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পরপরই রাষ্ট্রপতি পদ্ধতি থেকে ওয়েস্ট মিনস্টার পদ্ধতির (সংসদীয় গণতন্ত্র) সরকারে রূপান্তরিত করা হয়। ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে বাংলাদেশের শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন ঘটানো হয়। সংসদীয় শাসন পদ্ধতির পরিবর্তে রাষ্ট্রপতি শাসিত শাসন পদ্ধতি চালু এবং বহুদলীয় রাজনীতির পরিবর্তে একদলীয় বাকশাল প্রবর্তন করে শেখ মুজিবুর রহমানকে আজীবন ক্ষমতায় রাখাই ছিল ওই সংশোধনীর মূল কথা।

পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট শেখ মুজিবের পতন হলে সংবিধান স্থগিত রেখে সামরিক শাসন জারি করা হয়। ১৯৭৯ সালের পার্লামেন্টে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের নিয়োগ ব্যবস্থা পরিবর্তন এবং একদলীয় ‘বাকশাল’-এর পরিবর্তে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন করে সংবিধান সংশোধন করা হয়। এ দুটি বাদে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বাকশাল পদ্ধতির মতোই থেকে যায়। ১৯৮৯ সালের ১০ জুলাই সংবিধান সংশোধন করে রাষ্ট্রপতি দুই মেয়াদের (৫+৫ = ১০ বছর) বেশি নির্বাচিত হতে পারবেন না বিধান রেখে আইন পাস করা হয়। এটা এখন পর্যন্ত বহাল। ১৯৯১ সালে রাষ্ট্রপতি পদ্ধতি পরিবর্তন করে পুনরায় সংসদীয় পদ্ধতি চালু করা হয়। তবে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা রাষ্ট্রপতি পদ্ধতির অনুরূপ থেকে যায়। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিল পাস করে। প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা আগের মতোই থেকে যায়।

২০১১ সালে শেখ হাসিনা তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল করে সংবিধান এমনভাবে সংশোধন করেন যাতে করে প্রধানমন্ত্রী আজীবন ক্ষমতায় থাকতে পারেন এবং তিনি সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী হন। বর্তমানে এ সংবিধানের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে আরেকটি ফ্যাসিস্টের যে জন্ম হবে না তার গ্যারান্টি কিন্তু নেই। বাংলাদেশের গণপরিসরের বহুজন সংবিধানকে কাটাছেঁড়া করে দেখিয়েছেন— কীভাবে সংবিধানের নানা অলিগলি দিয়ে রাষ্ট্রের সব ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়ে পৌঁছায়। কীভাবে বাংলাদেশ রাষ্ট্র আদতে সাংবিধানিকভাবে একটা ‘স্বৈরতান্ত্রিক’ রাষ্ট্র। শেখ হাসিনার ভয়াবহ স্বৈরাচার বা ফ্যাসিস্ট হয়ে ওঠার পথ সংবিধানেই আছে। এর পরিণতিতে চব্বিশের জুলাই-আগস্ট মাসে হাজার দেড়েক নাগরিকের প্রাণহানির ভিত্তি সেখানেই। রাষ্ট্র গণতান্ত্রিক হলে এর তিন বিভাগের ক্ষমতার ভারসাম্য থাকবে। রাষ্ট্রের একদম ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত সব জায়গায় জবাবদিহি থাকবে। রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত যে কাউকে অপসারণ করার শান্তিপূর্ণ ব্যবস্থাও থাকবে। বাংলাদেশ রাষ্ট্রে একদম শুরু থেকেই এগুলো অনুপস্থিত। তাই বারবার একই রকমের সংকট ঘুরেফিরে আসে। সামনে তা যেন আর না আসে সেই রক্ষাকবচের সংস্কার নিয়ে আলোচনা কম।

বাংলাদেশ রাষ্ট্রের যত সংকট, তার বেশিরভাগই হচ্ছে ক্ষমতা হস্তান্তরের শান্তিপূর্ণ কোনো পথ শুরু থেকেই তৈরি করতে না পারা। তাই ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রশ্নে যখন সরকারি দলের অধীনে নির্বাচন হয়েছে, তাকে হারানো যায়নি আবার যখন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়েছে, আগের সরকার ক্ষমতায় আসতে পারেনি। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে এত প্রাণহানির পর বাংলাদেশকে কোনোভাবেই আর এমন কোনো জায়গায় ফিরতে দেওয়া যাবে না, যেখানে আরেকটি হাসিনার জন্ম হয়। আদতে মনমগজে এক-একটা শেখ হাসিনা হওয়ার বাসনা এখনো যায়নি। এ পথের পথিক হওয়ার কী পরিণতি তা বুঝতে রাজনীতির পাঠ নেওয়াই জরুরি নয়। তা শুধুই উপলব্ধির বিষয়। বিএনপি, জামায়াত-এনসিপিসহ জুলাই আন্দোলনের অংশীজনরা তো সেই পাঠ্যের প্রণেতা। তারা পুঁজিতে টান ফেলে দিচ্ছেন। তাদের কে-কারা পরস্পরের বিরুদ্ধে লেলাচ্ছেন, তাও তাদের নিজ থেকেই বোধগম্য হওয়ার কথা। পুঁজিতে টান পড়তে থাকলে সামনে ঈদের ছুটিতে ঝিনাইদহ কাণ্ডের মতো চোরাবালিই অবধারিত। রাতে দোকানে চুরি করতে এসে মালিককে চোর ফোন করে বলবে—ক্যাশে টাকা এত কম ক্যা?

লেখক: সাংবাদিক-কলামিস্ট; ডেপুটি হেড অব নিউজ, বাংলাভিশন

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ডিএমপির প্রসিকিউশন বিভাগের দুর্নীতি তদন্তে আদালতের নির্দেশ

ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক আর নেই

ঈদকে সামনে রেখে গরু মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত খামারিরা

‘প্রশ্ন করার জন্য সাংবাদিকদের চাকরি যায়, এই বিচার কার কাছে দেব’

বিএনপি সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিতে সবচেয়ে বেশি কাজ করেছে, করবে : ফখরুল

টি-টোয়েন্টিতে টাইগারদের নতুন অধিনায়ক লিটন

মে মাসের এলপি গ্যাসের দাম নির্ধারণ

‘রোহিঙ্গা সংকটের কার্যকর সমাধান পাওয়া যায়নি’

চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা, চক্রের ২ সদস্য গ্রেপ্তার 

কমেছে সোনার দাম, কার্যকর আজ

১০

ইতালিতে নারী শক্তি সংগঠনের বৈশাখী মেলা উদযাপন

১১

রাজনীতিকরণের কারণে সাংবাদিকরাই বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছেন : তথ্য উপদেষ্টা

১২

কালবেলায় সংবাদ প্রকাশ / মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের সেই হিসাবরক্ষক বদলি 

১৩

রাজধানীতে আ.লীগ-ছাত্রলীগের নেতাসহ গ্রেপ্তার ৫

১৪

৫.৫ ক্যাম্পেইন / দারাজ বাংলাদেশের সেরা দামে পণ্য কেনার সুবর্ণ সুযোগ

১৫

খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানাতে বিএনপির যে প্রস্তুতি

১৬

সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি ট্রাস্টের ১৩৬তম সভা অনুষ্ঠিত

১৭

এখনো সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হচ্ছে, এটা গ্রহণযোগ্য নয় : কামাল আহমেদ 

১৮

গ্রাহকের কোটি কোটি টাকা নিয়ে উধাও সমিতির পরিচালক

১৯

মোবাইল নিয়ে ব্যাটিং করতে নেমে ভাইরাল কাউন্টি ক্রিকেটার

২০
X