ইয়াদ আবু শাকরা
প্রকাশ : ০৫ জুলাই ২০২৫, ১২:০০ এএম
আপডেট : ০৫ জুলাই ২০২৫, ০৭:২২ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

জোহরানের জয় ও বৈশ্বিক প্রভাব

জোহরানের জয় ও বৈশ্বিক প্রভাব

আসন্ন নভেম্বরের ৪ তারিখে অনুষ্ঠিত হবে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ ও জনবহুল শহর, নিউ ইয়র্কের মেয়র নির্বাচন। সাধারণ নির্বাচনগুলোতে নিজেদের প্রার্থী মনোনয়নের আগে দেশটির প্রধান দুইটি রাজনৈতিক দল, রিপাবলিকান পার্টি এবং ডেমোক্র্যাটিক পার্টি অভ্যন্তরীণ নির্বাচনের আয়োজন করে থাকে, যা ‘প্রাইমারি ইলেকশন’ নামে পরিচিত। জুন মাসের ২৪ তারিখে অনুষ্ঠিত হয় ডেমোক্র্যাট দলের প্রাইমারি ইলেকশন, যেখানে মোট ১২জন প্রার্থীর প্রতিযোগিতায় জয় লাভ করেন নিউ ইয়র্ক রাজ্যের আইনসভার নেতা জোহরান মামদানি। নিউ ইয়র্কের সাবেক গভর্নর এন্ড্রু কুয়মোকে হারিয়ে একাই ৫৬% ভোট নিশ্চিত করেন তিনি। সদ্য বিজয়ী এই যুবকের পরিচয় হলো, তিনি একজন আফ্রো-এশীয় বংশোদ্ভত মুসলিম। আমেরিকার পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় তিনি তার রাজনৈতিক যাত্রার শুরু থেকেই নিজেকে প্রকাশ্যে সমাজতন্ত্রী হিসেবে দাবি করে আসছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউজে প্রবেশের পর থেকে মার্কিন জনসচেতনা ধীরে ধীরে এক দীর্ঘ নিদ্রায় ঢলে পড়েছিল। মামদানির এই বিজয় যেন মার্কিন নাগরিকদের সেই নিদ্রা থেকে জাগিয়ে তুলেছে।

তবে এখনই আনন্দ উদযাপন করছে না ডেমোক্র্যাট দলের সমর্থকরা। কারণ মামদানি কেবল প্রথম ধাপ পার করেছেন। এটি দীর্ঘ এক সংগ্রামের সূচনা মাত্র। পাশ্চাত্যের উদারপন্থী ও প্রগতিশীল গোষ্ঠীগুলো লড়ছে এক বৈশি^ক রক্ষণশীল, জাতীয়তাবাদী ও ফ্যাসিবাদী ডানপন্থী উত্থানের বিরুদ্ধে, সাম্প্রতিককালে যার প্রভাব বিস্তৃত হতে দেখা গেছে গোটা ইউরোপ জুড়ে। এমনকি বিশ্বের সবচেয়ে বড় দুটি গণতন্ত্রÑভারত ও আমেরিকার রাজনৈতিক পরিসরকেও গ্রাস করে ফেলেছে এই চরমপন্থী রক্ষণশীলতা ও জাতীয়তাবাদ।

আমার এক বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক একবার বলেছিলেন, ‘যদি বিংশ শতাব্দী হয় মতাদর্শের শতাব্দী, তবে একবিংশ শতাব্দী হল প্রযুক্তির শতাব্দী।’ তার বক্তৃতায় তিনি দাবি করেছিলেন যে, যেই অভাবনীয় গতিতে প্রযুক্তির উন্নয়ন ঘটছে, তাতে মানব সভ্যতার অর্থনৈতিক ও মতাদর্শগত বহু সংকট শীঘ্রই নিরসন হয়ে যাবে। যেই সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য অতীতে তাত্তি¡ক কাঠামো তৈরি করতে হত, তা এখন প্রযুক্তি ব্যবহার করেই সমাধান করা সম্ভব। কিন্তু বর্তমানকালের বৈশি^ক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করলে, এই দাবি আমরা পুরোপুরি গ্রহণও করতে পারি না, আবার একেবারে বর্জনও করে দিতে পারি না। উপরন্তু একবিংশ শতাব্দীর মাত্র এক চতুর্থাংশ পার হয়েছে। আগে যেই পরিবর্তন আনতে যুগের পর যুগ সময় লেগে যেত, এখন তা কয়েক মাসের ব্যবধানে ঘটানো সম্ভব। তবে এই পরিবর্তন যে সব সময় ইতিবাচক, তা কিন্তু নয়। প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে অহিতকর পথেও দেশ, জাতি ও মানুষকে ধাবিত করা যায়।

বিশ্ব আর আগের মতো নেই। এখন এটা যেমন আছে, ভবিষ্যতেও আর তেমন থাকবে না। তবে বর্তমানকালে অর্থনৈতিক পরিবর্তন, উদ্ভাবনের নতুন ধারা, রাজনৈতিক ও নৈতিক ব্যবস্থার অনিশ্চয়তার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের পেশার রূপান্তর, বিশ্বাস ও আগ্রহের বিবর্তন এবং সামাজিক কাঠামোর এক আমূল পরির্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি আমরা। গোটা বিশে^র উন্নত, উন্নয়নশীল এবং অনুন্নত দেশ, সবগুলোই দোদুল্যমান এক বুদ্ধিবৃত্তিক ভারসাম্যহীনতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। একদিকে যেমন চরমপন্থীরা মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে, অন্যদিকে তার প্রতিক্রিয়াশীল প্রতিরোধ গড়তে বিপরীত পক্ষও অস্থির হয়ে পড়ছে। সংক্ষেপে বলতে গেলে, একটা চ‚ড়ান্ত অনিশ্চিয়তার সময় পাড় করছি আমরা। সংখ্যাটা কম হলেও এই সময়ে যারা সত্যিকার অর্থে জ্ঞানী, তারা আপাতত কোনো পক্ষে অন্ধ আস্থা রাখছেন না, কোনো নেতার ফাঁকা বুলির মোহে পড়ছেন না, কিংবা কোনো রাজনৈতিক পরিকল্পনায় নিজের সম্পূর্ণ সমর্থন দিচ্ছেন না।

বর্তমানে পশ্চিমা গণতন্ত্রগুলো, যারা তৃতীয় বিশ্বের নবীন রাষ্ট্রগুলোর চেয়ে অনেক বেশি উন্নত এবং দীর্ঘদিন ধরে নিজেদের প্রাতিষ্ঠানিক স্থিতিশীলতার ভিত্তিতে প্রগতি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে, তারাও আজ এক রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার দিকে এগিয়ে চলেছে। বিংশ শতাব্দীর স্নায়ুযুদ্ধের অবসানের পর জাতিরাষ্ট্রের ধারণা যেই সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর নতুন করে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছিল, আজ তা ভেঙে পড়ছে চরমপন্থী ও বর্ণবাদী রাজনীতির চাপে। ইউক্রেন যুদ্ধ পুরো ইউরোপে ভীতির সঞ্চার করেছে। পশ্চিমা বিশে^র সরকারগুলো বর্তমানে আতঙ্কিত প্রাচ্যের এমন এক শক্তিকে নিয়ে, যা এখনো একনায়কতন্ত্র বা রাজতন্ত্রের ছায়া থেকে সরে আসতে পারেনি; যার স্মৃতিতে এখনো সাম্যবাদের লাল পতাকা দীপ্ত।

এদিকে, যুক্তরাজ্যের ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগ করার ঘটনা মূলত ডানপন্থী ও বিচ্ছিন্নতাবাদী তত্তে¡ বিশ্বাসী রাজনীতিবিদদের নেতৃত্বে সংঘঠিত হয়েছে। বর্তমানে দেশটির দুই ঐতিহ্যবাহী প্রধান দল, কনজারভেটিভ পার্টি ও লেবার পাটির অনেকখানি ক্ষমতা দখল করে তারা নিজেদেরক মূল প্রতিপক্ষ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে শুরু করেছে। অন্যদিকে, ক্ষমতাসীন লেবার সরকারের গ্রহণযোগ্যতা দ্রæত হ্রাস পাচ্ছে বিধায় ব্রিটেনে আবারও একবার লেবার পার্টির বাম ঘরানার জাগরণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এই ধারা শুধুমাত্র ব্রিটেনেই সীমাবদ্ধ নয়; এটি এখন সমগ্র পশ্চিম ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ছে। মধ্যপন্থীরা দুর্বল হয়ে পড়ছে এবং ডানপন্থী ও বামপন্থীরা ধীরে ধীরে চরমপন্থী হয়ে উঠছে।

ফ্রান্সে মেরিন লে পেনের উগ্র ডানপন্থী জোট এবং জাঁ-লুক মেলেশর বামপন্থী আন্দোলনের ঊর্ধ্বগতি এই বাস্তবতারই আরেকটি প্রতিফলন। জার্মানিতে চরমপন্থী দল ‘অলটারনেটিভ ফর জার্মানি’ এর জনপ্রিয়তা এতটাই বেড়ছে যে, জার্মানির সংসদে তারা এখন দ্বিতীয় বৃহত্তম দল। আইন সভার নিম্নকক্ষে সরকারি দল ‘খ্রিস্টান ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়ন’-এর থেকে মাত্র ১৩টি আসন কম তাদের। ইতালিতে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত আছেন ‘ব্রাদার্স অফ ইতালি’ নামের ডানপন্থী জাতীয়তাবাদী দলের প্রেসিডেন্ট জর্জিয়া মেলোনি। পর্তুগালে চরমপন্থী জাতীয়তাবাদী দল ‘চেগা’ ও স্পেনে ডানপন্থী সংরক্ষণশীল দল ‘ভক্স’ শক্তিশালী হয়ে উঠছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন যে, ইতালির স্বৈরশাসক অ্যান্তনিও সালাজার ও স্পেনের স্বৈরশাসক ফ্রান্সিসকো ফ্রাঙ্কোর মতন একনায়কদের ফ্যাসিবাদী পথে ভবিষ্যতে আবারো হাটতে পারে এই দুই দেশ।

এই অবস্থার বিপরীতে দাঁড়িয়ে থাকা প্রথাগত মধ্যপন্থী ও প্রগতিশীল বামপন্থী শক্তিগুলো আজ তাদের আত্মপরিচয় ও প্রতিরোধের সামর্থ্য হারিয়ে ফেলেছে। তাড়াহুড়ো করে জোড়াতালি দেওয়া এক একটি নীতিহীন জোট গঠন করা ছাড়া এই মুহূর্তে তেমন কিছু করতে পারছে না তারা। তবে সেই জোটগুলোরও না আছে আদর্শ, না আছে জনসমর্থন। এভাবেই ক্ষমতা চর্চার সুযোগ থেকে দূরে সরে যাচ্ছে পশ্চিমা বিশে^র মধ্যপন্থীরা। কীভাবে ফ্যাসিস্টদের ডানপন্থী উত্থানকে সাময়িকভাবে প্রতিহত করা যায়, সেই পরিকল্পনা করছে তারা। এই ব্যর্থতার কারণে বৈশ্বিক রাজনীতির নিয়ন্ত্রণ চলে গেছে উগ্রবাদীদের হাতে।

ব্রিটেনে ‘রিফর্ম ইউকে’ নামের ডানপন্থী দল সাম্প্রতিক জনমত জরিপে লেবার পার্টিকে ছাড়িয়ে গেছে। ক্ষমতাধর লবিগুলোর মন জয় করতে এবং সাময়িক জনপ্রিয়তা বজায় রাখতে লেবার পার্টি তাদের মৌলিক আদর্শগুলোকে বিসর্জন দিয়েছে। ভবিষ্যতে এই সিদ্ধান্তের পরিণতি ভোগ করতে হবে তাদেরকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ডেমোক্র্যাটিক পার্টিও একই ভুল করেছে। ২০১৬ সালে ট্রাম্পের উত্থানের পর, তাদের যেই দুটো শিক্ষা হওয়া উচিৎ ছিল, তার কোনোটিই হয়নি তাদের। প্রথমত, তারা কর্মহীন ও অদক্ষ মার্কিন নাগরিক এবং অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল অঞ্চলের মধ্যবিত্ত শ্রেণির মধ্যে উগ্র ডানপন্থীদের অভিবাসনবিরোধী ক্ষোভ জাগানোর ক্ষমতাকে অবমূল্যায়ন করেছিল। দ্বিতীয়ত, তারা ভুলে গিয়েছিল যে এই লড়াইয়ের মূল চালিকা শক্তি আদর্শগত নয়, বরং বস্তুগত।

ভার্মন্ট রাজ্যের সেনেটর ও ডেমোক্র্যাটিক দলের নেতা বার্নি স্যান্ডার্স এই বাস্তবতাকে গুরুত্ব দিয়ে চেষ্টা করেছিলেন এসব বঞ্চিত ভোটারদের আবারও ডেমোক্র্যাটিক দলে ফিরিয়ে আনতে। কিন্তু সফলতার মুখ দেখতে পাননি তিনি। অধিকন্তু গাজার যুদ্ধে জো বাইডেন প্রশাসন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে নিঃশর্ত সমর্থন দেয়। এটা ২০২৪ সালের নির্বাচনে কমলা হ্যারিসের প্রার্থীতা থেকে হাজার হাজার মুসলিম, আরব-আমেরিকান ও বামপন্থী ভোট হারানোর কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

এই পরিস্থিতিতে জোহরান মামদানি নভেম্বরে নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনে জয় লাভ করবেন কি না, তা নিশ্চিত করে বলা কঠিন। নেতানিয়াহু ও ইসরায়েলের বিপক্ষে শক্ত অবস্থান নিয়ে প্রচারণা করেছেন তিনি। আমেরিকায় ইহুদি জনগোষ্ঠীর সবচেয়ে বড় ঠিকানা নিউইয়র্ক শহর, যাদের মধ্যে অধিকাংশেরই সমর্থন মামদানির বিপক্ষে। তবে একটি বিষয় তিনি তার দলকে স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন নীতির প্রতি নিষ্ঠা ছাড়া কোনো বিজয় অর্জন সম্ভব নয়, তাতে যত বড় ঝুঁকিই থাকুক না কেন।

মামদানি জানেন, ফাঁকা প্রতিশ্রুতি দিয়ে নিউ ইয়র্কবাসীর মন জয় করা সম্ভব নয়। তাদের দাবিদাওয়াগুলোর প্রতি মনোযোগ দেয়া এবং তাদের সমস্যাগুলোর কার্যকর সমাধান করা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। ফক্স নিউজের মত গণমাধ্যমগুলোর প্রচারণা বা বৈদেশিক লবিগুলোর সমর্থন, কোনোটাই তার বিজয় এনে দিতে পারবে না। নিউ ইয়র্কবাসীদের ভোট নিশ্চিত করতে হলে চাই চলমান সংকটগুলোর বাস্তবসম্মত সমাধান। প্রযুক্তির বিশদ বিস্তার ঘটলেও মানুষের প্রধান চাহিদাগুলো আজও সেই একই রয়ে গেছে খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, কর্মসংস্থান, স্বাথ্যসেবা এবং সামাজিক নিরাপত্তা।

লেখক: ব্রিটেন ভিত্তিক আন্তর্জাতিক পত্রিকা ‘আশরাক আল-আওসা’ এর নির্বাহী সম্পাদক। নিবন্ধটি আরব নিউজের মতামত বিভাগ থেকে অনুবাদ করেছেন অ্যালেক্স শেখ

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বাম চোখ লাফালে কি বিপদ আসে? কী বলছে ইসলাম

গোপালগঞ্জে নাশকতার ঘটনায় ৭ জন আটক

‘পল্লী বিদ্যুতের চোরাই তারের ব্যবসা করতেন সোহাগ’

ভারতের পুরোনো ভিডিও ছড়িয়ে সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার শনাক্ত : বাংলাফ্যাক্ট

এইচএসসি পাসেই নিয়োগ দিচ্ছে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়

বিশ্বকাপ দেখার স্বপ্ন? টিকিট কবে থেকে মিলবে জানাল ফিফা

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন শাকিবের প্রযোজক 

কুষ্টিয়ায় পৃথক অভিযানে অস্ত্র-গুলিসহ আটক ২

চসিকে বাজেট বাস্তবায়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা

মারা গেলেন অভিনেতা রবি তেজার বাবা

১০

নতুন ব্যবস্থাপনায় বদলে গেছে কেরু

১১

সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর ৮ দিনের রিমান্ডে 

১২

তিন মাসের জন্য মাঠের বাইরে রিয়াল তারকা

১৩

বাংলাদেশে পা রাখল পাকিস্তান দল

১৪

মার্কিন এজেন্ট অপহরণের অভিযোগ, ৩ ইরানি কর্মকর্তাকে খুঁজছে এফবিআই

১৫

বিলীন হচ্ছে বর্ষার কদম ফুল

১৬

বাংলাদেশ দলের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবছেন সাকিব

১৭

এবার গোপালগঞ্জে ইউএনওর গাড়িতে হামলা-ভাঙচুর

১৮

ইসির ওয়েবসাইট থেকে সরানো হলো ‘নৌকা’ প্রতীক

১৯

আবু সাঈদের কবরে শ্রদ্ধা

২০
X