ইলিয়াস হোসেন
প্রকাশ : ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম
আপডেট : ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৩১ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
যে কথা কেউ শোনে না

বিএনপি যেভাবে জনগণের দল

বিএনপি যেভাবে জনগণের দল

স্বাধীনতা অর্জনের কয়েক মাস পরই মুক্তিকামী জনগণকে হতাশ করে বাংলাদেশের তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। রাষ্ট্র পরিচালনায় অনভিজ্ঞ দলটি দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতিতে আকণ্ঠ নিমজ্জিত হয়ে পড়ে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিতে সন্ত্রাসের জনপদে পরিণত হয় সারা দেশ। পাকিস্তান থেকে আলাদা হয়ে ভারতের প্রতি নতজানু হয়ে পড়ায়, সার্বভৌমত্ব নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। অরক্ষিত স্বাধীনতাই পরাধীনতা বলে ক্ষোভ জানায় বিপ্লবীরা। একপর্যায়ে আওয়ামী লীগের পেট থেকে বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের স্লোগান দিয়ে বের হয় জাসদ। রণাঙ্গনফেরত মুক্তিযোদ্ধা ও তরুণ মেধাবীদের নিয়ে গঠিত হয় নতুন এই দল। তাদের সশস্ত্র গণবাহিনীর সঙ্গে রাষ্ট্রের খরচে পরিচালিত আওয়ামী লীগের রক্ষীবাহিনীর বন্দুকযুদ্ধে দুপক্ষের হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধাসহ সাধারণ মানুষ খুন হয়। সারা জীবন গণতন্ত্রের কথা বলে ক্ষমতার মোহে শেখ মুজিবুর রহমান একদলীয় বাকশাল কায়েম করেন। এর মধ্য দিয়ে নিজেই নিজের কবর খোঁড়েন তিনি।

খুনোখুনির রাজনীতির একপর্যায়ে ক্যু পাল্টা ক্যু ঘটতে থাকে যুদ্ধবিধ্বস্ত, দুর্ভিক্ষপীড়িত বাংলাদেশে। স্বাধীনতা ঘোষণার অনিবার্য দায়িত্বের মতো দেশরক্ষায় আবারও পাদপ্রদীপের আলোয় আসেন জিয়াউর রহমান। সিপাহি-জনতার সফল বিপ্লবের মধ্য দিয়ে ক্ষমতা হাতে নিয়েই পরম মমতায় দেশ গড়ায় মনোযোগ দেন তিনি। জনগণের রাজনৈতিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে প্রবর্তন করেন বহুদলীয় গণতন্ত্র। ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ বিনির্মাণে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর গঠন করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দল (বিএনপি)। অন্য জেনারেলদের মতো শখ করে নয়, রাজনীতির অসুখ সারাতে দল করেন তিনি। অতি ডান, পতিত বাম আর অকেজো বুড়ো ভামদের বিপরীতে দ্রুত জনপ্রিয়তা পায় দলটি। উদার, আধুনিক এবং ধর্মীয় ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক মূল্যবোধে সহাবস্থান তাদের বৈশিষ্ট্য। বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ প্রধান আদর্শ বলে প্রচার করে বিএনপি। সাধারণ মানুষ খুব সহজে গ্রহণ করে দলটিকে। অতিসাধারণ জীবনযাপনে অভ্যস্ত নির্ভীক, লড়াকু, সৎ মানুষ জিয়াকে ভালোবেসে বিশ্বাস করে জনতা। তবে, তার হাতে পুনর্জীবন পাওয়া আওয়ামী লীগ ও সমমনা দলগুলো বিএনপিকে নিয়ে অবিশ্বাস ছড়িয়েছে প্রতিনিয়ত। ক্যান্টনমেন্টের দল বলে কুৎসা রটিয়েছে সর্বত্র। জিয়া হত্যাকাণ্ডের পর বিএনপির ভবিষ্যৎ ঝরঝরে বলে উপহাস করেছে অনেকে। কিন্তু ভাগ্যে লেখা আছে সুপ্রসন্ন। ঠেকায় কে!

জিয়াউর রহমান-পরবর্তী দলের হাল কে ধরবেন—এ নিয়ে নেতাদের মধ্যে শুরু হয় কোন্দল। উপরাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবদুস সাত্তার অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নেন। তার বয়স তখন ৭৫ বছর। রাজনীতিতে সাত্তারকে একজন বৃদ্ধ ও দুর্বলচিত্তের ব্যক্তি হিসেবে মনে করা হতো। তৎকালীন বিএনপির একাংশ খালেদা জিয়াকে রাজনীতিতে আনার পরিকল্পনা করেন। কিন্তু রাজনীতির প্রতি খালেদা জিয়ার তেমন কোনো আগ্রহ ছিল না। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এর কয়েকটি কারণ ছিল। প্রথমত; জিয়া হত্যাকাণ্ড তার মনে গভীর দাগ কেটেছিল। তিনি মানসিকভাবে সে ধকল কাটিয়ে উঠতে পারছিলেন না। ভাবছিলেন, রাজনীতি হয়তো মানুষকে করুণ পরিণতির দিকে ঠেলে নিয়ে যায়। রাজনীতির কঠিন পদযাত্রা সামলাতে পারবেন কি না, সেটি নিয়েও তার মনে প্রশ্ন ছিল। দ্বিতীয়ত; খালেদা জিয়ার রাজনীতিতে আসার ব্যাপারে পরিবারের দিক থেকে তেমন কোনো উৎসাহ ছিল না। এ সময় দলের নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে আসার জন্য দিনের পর দিন খালেদা জিয়াকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। তিনি হাল না ধরলে দল টিকবে না বলেও অনেকে বলেন। খালেদা জিয়াকে রাজনীতিতে আসার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন কর্নেল (অব.) আকবর হোসেন, সাবেক সামরিক কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম শিশু এবং একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী।

১৯৮২ সালের ১৩ জানুয়ারি একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে খালেদা জিয়া আত্মপ্রকাশ করেন। সেদিন তিনি বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদ লাভ করেন। একই বছর ২৪ মার্চ তৎকালীন সেনাপ্রধান এইচএম এরশাদ এক সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি আবদুস সাত্তারকে ক্ষমতাচ্যুত করেন। তখন রাজনীতিতে সাত্তারের আর কোনো মূল্য থাকেনি। তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপির চেয়ারম্যান থাকলেও দল পরিচালনায় খালেদা জিয়ার প্রভাব বাড়তে থাকে। ওই বছর ৭ নভেম্বর জিয়াউর রহমানের সমাধিস্থলে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে গিয়ে খালেদা জিয়া প্রথম বক্তব্য রাখেন।

১৯৮৩ সালের মার্চ মাসে খালেদা জিয়া দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান হন। পরের মাসে বিএনপির এক বর্ধিত সভায় তিনি ভাষণ দেন। এর কয়েক মাস পরেই খালেদা জিয়া দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হন। এ সময় এরশাদবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি। বিএনপির চেয়ারপারসন নির্বাচিত হন ১৯৮৪ সালের ১০ মে। এরশাদের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের মাধ্যমে দেশজুড়ে ব্যাপক পরিচিত গড়ে ওঠে তার। আন্দোলনের পিঠে ছুরি মেরে আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা ছিয়াশির সাজানো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। নিজের দেওয়া চ্যালেঞ্জে হেরে জাতীয় বেইমান উপাধি পান। এতে করে স্বৈরাচার এরশাদের ক্ষমতার মেয়াদ বাড়ে। জেল-জুলুম-হামলা-মামলা-আটক-প্রলোভন কোনো কিছুতেই এরশাদ টলাতে পারেনি খালেদা জিয়াকে। তাই দেশবাসী ভালোবেসে ‘আপসহীন নেত্রী’ বিশেষণে ভূষিত করে তাকে। সারা দেশ ঘুরে এরশাদবিরোধী জনমত গঠন করেন বিএনপি চেয়ারপারসন। এক ক্ষণজন্মা জেনারেলের হাতে গড়া বিএনপিকে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেন খালেদা জিয়া। এরশাদের পতনের পর ১৯৯১ সালের নির্বাচন জয়লাভের মাধ্যমে সরকার গঠন করে বিএনপি। রাষ্ট্রপতিশাসিত ব্যবস্থা থেকে খালেদা জিয়ার হাতেই বাংলাদেশে সংসদীয় সরকারব্যবস্থা চালু হয়। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, স্থানীয় সরকার, অবকাঠামোগত উন্নয়নে ব্যাপক সংস্কার করেন তিনি। বিশেষ করে দশম শ্রেণি পর্যন্ত অবৈতনিক করে নারী শিক্ষায় বিপ্লব আনেন মহীয়সী এ নারী। আন্তর্জাতিক এক গণমাধ্যম সে সময় প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার কাছে জানতে চান, কী দেখতে ভালোবাসেন। তিনি বলেন, স্কুল ড্রেস পরে লাইন ধরে মেয়েদের স্কুলে যাওয়ার দৃশ্য দেখতে খুব ভালো লাগে তার।

রাজনীতিতে আসার ১০ বছরের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী হন খালেদা জিয়া। বাংলাদেশে প্রথম এবং মুসলিম বিশ্বে দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করেন তিনি। তিন-তিনবারের এ প্রধানমন্ত্রী সবসময় সর্বোচ্চ আসনে বিজয়ী হয়েছেন। দেশের যে কোনো আসনে নির্বাচনে জেতার ঝুঁকি নিয়েছেন নির্দ্বিধায়। সাহসী, পরিশ্রমী ও সংগ্রামে অবিচল থাকার অসামান্য প্রাণশক্তিতে ভরপুর খালেদা জিয়া। তার রাজনৈতিক জীবনে অসংখ্য ঝড়ঝাপ্টা মোকাবিলা করেছেন হাসিমুখে। ১৯৯১-এর আশাতীত বিজয় আবার ২০০৮-এর ভরাডুবিতেও ভেঙে পড়েননি তিনি। এক-এগারোর কঠিন সময়ে তাকে ছেড়ে গেছেন এম সাইফুর রহমান, আবদুল মান্নান ভূঁইয়ার মতো ডাকসাইটের নেতারা। বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন অনেক আস্থাভাজন নেতা। তাতেও তিনি বিচলিত হননি। তৃণমূলের লাখ লাখ নেতা তাকে সাহস জুগিয়েছে। এর আগে বদরুদ্দোজা চৌধুরী, অলি আহমদের মতো নেতাদেরও হারিয়েছেন গৃহীত সিদ্ধান্তে আপসহীন থাকার কারণে। ঘনিষ্ঠ সহকর্মীরা জানান, তিনি হুট করে কোনো সিদ্ধান্ত নেন না। আবার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলে সেখান থেকে সরেন না। ২০১১ সালের ২৪ মে নিউ জার্সি স্টেট সিনেটে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ‘ফাইটার ফর ডেমোক্রেসি’ পদক প্রদান করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের কোনো বিদেশিকে এ ধরনের সম্মান প্রদানের ঘটনা এটাই ছিল প্রথম। ২০১৮ সালের ৩১ জুলাই তাকে ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’ সম্মাননা দেয় কানাডিয়ান হিউম্যান রাইটস ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন (সিএইচআরআইও) নামের একটি সংগঠন।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচন বর্জনের পর বিএনপি রাজনৈতিকভাবে অনেকটা চাপে পড়ে যায়। খালেদা জিয়ার সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায় তার বিরুদ্ধে করা দুর্নীতির মামলা। সাজা হওয়ার কারণে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে খালেদা জিয়া অংশ নিতে পারেননি। দেশ-বিদেশে সে নির্বাচন প্রবল বিতর্কের মুখে পড়ে। ২০১৮ সাল থেকে খালেদা জিয়া জেলে ছিলেন। ২০২০ সালে তিনি সরকারের নির্বাহী আদেশে কারাগারের বাইরে আসেন। তবে এজন্য রাজনীতি এবং বিদেশ যেতে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। ২০২০ সালের কান্ট্রি রিপোর্টস অন হিউম্যান রাইটস প্র্যাকটিস প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট আন্তর্জাতিক এবং দেশীয় আইন বিশেষজ্ঞদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, মূলত নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য একটি রাজনৈতিক চক্রান্ত হিসেবেই তাকে সাজা দেওয়া হয়েছিল। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, ‘তার ন্যায্য বিচারের অধিকারকে সম্মান করা হচ্ছে না।’

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের গড়া বিএনপির বয়স এখন ৪৭। শৈশবে এতিম হওয়া দলটিকে বলতে গেলে নিজের দুই ছেলের মতো এক হাতে লালনপালন করেছেন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া। সময় পরিক্রমায় তিনি আজ শুধু একটি দল নয়, পুরো জাতির অভিভাবকের সম্মান পাচ্ছেন। তাকে যারা হেয় করতে চেয়েছেন, তারা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। রাষ্ট্রের চরম ক্রান্তিকালে তিনি বলেছেন, ‘দেশের বাইরে আমার কোনো ঠিকানা নেই। দেশই হলো আমার ঠিকানা। এই দেশ, মাটি, মানুষই আমার সবকিছু।’ এই আবেগমাখা উচ্চারণকারী উপমহাদেশের সবচেয়ে আলোচিত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের একজন। খালেদা জিয়া শুধু একজন নেত্রী নন, বরং সমর্থকদের কাছে আপসহীনতার প্রতীক। তিনি স্মৃতির অংশ, সংগ্রামের প্রতীক, দেশের রাজনীতির জীবন্ত অধ্যায়। জীবিত রাজনীতিবিদদের মধ্যে তার মতো জনপ্রিয় ব্যক্তি আর কেউ নেই। খালেদা জিয়ার বিএনপি আজ দেশের সবচেয়ে বড় দল। তার আদর্শ ধরে রাখলে দলটি আরও অনেক দূর যাবে বলে বিশ্বাস করে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ।

লেখক: হেড অব নিউজ, আরটিভি

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ঢাকায় আসছেন টিআই চেয়ারপারসন ফ্রাঁসোয়া ভ্যালেরিয়াঁ

আজ ২৪ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যে জেলায়

আজ সাত দলের সঙ্গে বসবেন প্রধান উপদেষ্টা

কেমন থাকবে আজকের ঢাকার আবহাওয়া

মঙ্গলবার রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ

২ সেপ্টেম্বর : আজকের নামাজের সময়সূচি

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মামলা থেকে ৩৫ ব্যক্তি অব্যাহতি পাচ্ছেন 

এনবিআরের সহকারী কমিশনার জান্নাতুল ফেরদৌস বরখাস্ত

সকাল ৯টার মধ্যে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে যেসব জেলায় 

‘কার্টা ব্লু’ ভিসা নিয়ে বাংলাদেশিদের সতর্ক করল ইতালি

১০

যুক্তরাজ্য বিএনপি নেতা ড. মুজিবের ছেলের বিয়েতে সস্ত্রীক তারেক রহমান 

১১

আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে ব্যাপক হতাহত, হেফাজতের শোক ও সহায়তার আহ্বান

১২

দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন কর্মসূচি দিল ছাত্রদল

১৩

বনানীর সেলসিয়াস সিসা লাউঞ্জে পুলিশের অভিযান

১৪

অবশেষে মাদক সম্রাজ্ঞী আ.লীগ নেত্রী স্বপ্না আক্তার আটক

১৫

সর্বদলীয় বৈঠক শেষে ফেরার পথে জাগপা সভাপতিকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম

১৬

আদাবরে পুলিশের ওপর কিশোর গ্যাংয়ের হামলা

১৭

নাটোরে ডা. আমিরুলকে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি ড্যাবের

১৮

গাজীপুরের কমিশনারের দায়িত্ব থেকে সরানো হলো নাজমুল করিমকে

১৯

একাত্তরে ভুল করেছেন, এখনো ভুলের রাজনীতিতে আছেন : টুকু

২০
X