

মহান সৃষ্টিকর্তার সৃষ্ট সুন্দর এ পৃথিবীতে আমরা একবারই জন্মগ্রহণ করি এবং যথানিয়মে মৃত্যুবরণ করি। ক্ষণিকের এ জীবনে আমরা যেসব কাজ করে থাকি তাতে আমরা কি খুশি? জীবনে চলার পথে নানা ধরনের বাধা-বিপত্তি পাড়ি দিতে হয়, সে সম্পর্কে আমরা সবাই কমবেশি অবগত। আমরা সবাই বুঝি কোনটি ভালো আর কোনটি খারাপ। আমাদের উপলব্ধি যদি থাকে তাহলেই আমরা আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য ভালো একটি বাসযোগ্য পৃথিবী রেখে যেতে পারব। আমরা কি নিরাপদ ও সুন্দর পৃথিবী রেখে যেতে পারছি আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য? আমরা কি আগত প্রজন্মের জন্য নিরাপদ, দূষণমুক্ত সহনীয় তাপ ও নিঃশব্দ সংবলিত পৃথিবীটা নষ্ট করছি না? আমরা এই মুহূর্তে আমাদের করণীয় কিছু কাজ করতে পারি। নিজেদের অভ্যাসগত কিছু পরিবর্তনের মাধ্যমে পরিবার, সমাজ তথা দেশকে একটি নিরাপদ আবাসস্থলে পরিণত করতে পারি। সেসব কাজ সম্পর্কে আমরা জানি, বুঝি; শুধু বাস্তবায়ন করলেই একটি সুন্দর পৃথিবী গড়ে তোলা সম্ভব।
• আমাদের নিজ বাসস্থান/বাড়িঘর পরিষ্কার করতে পারি।
• পরিকল্পিত ছাদবাগান তৈরি করতে হবে। এতে সবজির চাহিদা মেটাতে ও তাপরোধে সহযোগিতা করবে।
• বাড়ির আঙিনাসহ অন্যান্য কোথাও পানি জমতে দেওয়া যাবে না।
• প্রতিবেশীদের নিজ ঘরবাড়ির আঙিনা পরিষ্কার বিষয়ে সচেতন করতে পারি।
• আমাদের সন্তানদের সুন্দর ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তাদের এ বিষয়ে অনুপ্রেরণা দিতে পারি।
• স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, মাদ্রাসাসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আঙিনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
• ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের নিয়মিত আলোচনা করতে হবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বিষয়ে।
• সব যানবাহনের ড্রাইভারদের শব্দদূষণ না করতে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
• রাস্তাঘাটে যেখানে মানুষ চলাচল করে নিয়মিত, সেখানে যেন ধুলোবালি না ওড়ে এবং বায়ুদূষণ না হয়, সেজন্য সেখানে নিয়মিত পানি স্প্রে করতে হবে।
• পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় শহরের যেসব ফাঁকা স্থান আছে সেখানে পর্যাপ্ত পরিমাণ বিভিন্ন ধরনের গাছ লাগাতে হবে।
• জনসমাগমস্থলে পথচারীদের জন্য নিরাপদ পানির ব্যবস্থা করতে হবে।
• পর্যাপ্ত পাবলিক টয়লেট ও মোবাইল টয়লেট স্থাপন ও সরবরাহ করতে হবে।
ফল যা হবে:
• এডিস মশা জন্মাবে না। ফলে প্রাণঘাতী রোগ ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়া রোগ হবে না।
• সুস্থ থাকতে সহযোগিতা করবে।
• পরিবেশ সুন্দর হবে।
• শ্রবণশক্তি হ্রাস পাবে না।
• অতিরিক্ত তাপ হতে মানুষ স্বস্তি পাবে।
• অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু রোধ করা যাবে।
মানুষ পৃথিবীতে একবারই আসে। আসুন আমাদের জীবনকে জীবন দিয়ে ভালোবাসি এবং সব ভালো কাজে অংশগ্রহণ করি। সবার অংশগ্রহণে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সুন্দর, নিরাপদ ও বাসযোগ্য নগরী গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখি।
লেখক: বিহেভিয়ার চেঞ্জ কমিউনিকেশন স্পেশালিস্ট। ইমপ্রুভমেন্ট অব আরবান পাবলিক হেলথ প্রিভেন্টিভ সার্ভিসেস প্রজেক্ট, স্থানীয় সরকার বিভাগ
মন্তব্য করুন