কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০১ নভেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম
আপডেট : ০১ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:৫৫ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

ডিপফেক প্রযুক্তি কি সত্যিই দুশ্চিন্তার

ড. শাহ জে মিয়া
ডিপফেক প্রযুক্তি কি সত্যিই দুশ্চিন্তার

এ লেখায় একটি গুরুত্বপূর্ণ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাবিষয়ক ব্যাপারে আলোচনা করব। ইদানীং ডিপফেক এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে অনেক অপ্রীতিকর ছবি এবং ভিডিওতে ইন্টারনেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, যা কি না বেশ কিছু ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের সম্মানহানির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ আলোচনা শুরু করার আগে আসুন জেনে আসা যাক, এই বহুল আলোচিত-সমালোচিত বিষয় ডিপফেক (Deepfake) কী, এটি কীভাবে কাজ করে এবং এর ক্ষতিকর প্রভাবগুলো কী কী।

ডিপফেক হলো একটি ডিজিটালি তৈরি করা মিডিয়া ফাইল। যেমন—একটি ছবি, ভিডিও বা অডিও রেকর্ডিং, যা দেখতে আসল বলে মনে হলেও আসলে এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ব্যবহার করে তৈরি এবং যার কোনো সত্যতা নেই। ডিপফেক অ্যাপ্লিকেশনের এ নতুন ধারণাটি ডিজিটাল ব্যবসার জগতে ব্যবহারযোগ্য হলেও বিশ্বব্যাপী বেশিরভাগ সমাজেই এটি বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে ডিপফেক কনটেন্ট যেগুলো সাধারণত ছবি, ভিডিও, অথবা অডিও হয়ে থাকে, তা তৈরি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। ডিপফেক সফটওয়্যারগুলো খুবই ইন্টারেস্টিংভাবে কাজ করে থাকে। সফটওয়্যারগুলো এতটাই উন্নত যে, একজন ব্যবহারকারী যদি দুজন ভিন্ন ব্যক্তির ছবি সফটওয়্যারকে দিয়ে বলে যে, আমাকে একটি ছবি তৈরি করে দেও, যেখানে দেখা যাবে এ দুজন ব্যক্তি নিজেদের মধ্যে হাত মেলাচ্ছে, তাহলে কিছুক্ষণের মধ্যেই সফটওয়্যারটি এত নিখুঁত একটি ছবি তৈরি করে দেবে, যেটা থেকে বোঝার কোনো উপায়ই থাকবে না যে, এ ঘটনাটি কখনোই ঘটেনি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই ডিপফেক প্রযুক্তির উন্নতি হয়েছে এবং সফটওয়্যারগুলো শক্তিশালী হয়েছে। এখন সফটওয়্যারগুলো কৃত্রিম ছবি তৈরির সঙ্গে সঙ্গে এমন ভিডিও তৈরি করতে পারবে, যেখানে দেখা যাবে আমাদের এ উদাহরণের দুজন মানুষ একসঙ্গে বসে হাস্যোজ্জ্বল ভঙ্গিতে আলোচনা করছে, চা পান করছে বা একসঙ্গে হেঁটে যাচ্ছে। সেইসঙ্গে যদি সফটওয়্যারগুলোকে এ দুজন ব্যক্তির কোনো কথা বা বক্তব্য প্রদান করা যায়, তাহলে এগুলো তাদের কণ্ঠস্বর নকল করে যে কোনো বক্তব্য ভিডিওর সঙ্গে জুড়ে দিতে পারবে। ভিডিওতে তাদের প্রতিটি বক্তব্যের সঙ্গে সঙ্গে সঠিকভাবে মুখের পেশি নড়বে এবং আবেগের পরিবর্তন হবে। এ মিথ্যা ভিডিও যদি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়, তাহলে খালি চোখে দেখে কেউই এ ছবি বা ভিডিওর কৃত্রিমতা যাচাই করতে পারবে না।

বর্তমানে আমাদের দেশে শহর-গ্রামগঞ্জে প্রায় সবাই বলতে গেলে দৈনিক সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে থাকে। অনেকেরই ডিপফেক সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই। আমরা খুব সহজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি বা ভিডিও দেখে তাকে সত্য মিডিয়া মনে করে থাকি। যাচাই-বাছাই ছাড়াই অন্যদের সঙ্গে এটি নিয়ে আলোচনা করি এবং মুহূর্তের মধ্যেই এ মিডিয়াটি দেশব্যাপী ‘ভাইরাল’ হয়ে যাচ্ছে। এরকম হাজারো উদাহরণ রয়েছে, যেখানে কোনো গুরুত্বপূর্ণ বা রাজনৈতিক ব্যক্তির একটি স্পর্শকাতর বক্তব্য অনলাইনে বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘ভাইরাল’ হয়েছে, যা কি না বেশ কিছুদিনের মধ্যেই প্রমাণিত হয় যে, এটি কোনোমতেই সত্য খবর ছিল না। বরং এটি ছিল ডিপফেক দিয়ে তৈরি একটি মিথ্যা বা বানোয়াট অপপ্রচার। কিন্তু এর মধ্যেই সেই ব্যক্তির যা সামাজিক ক্ষতি হওয়ার তা হয়ে গেছে।

আগামী সাড়ে তিন মাসের মধ্যে হতে চলেছে ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন। এই মুহূর্তে প্রতিটি রাজনৈতিক ব্যক্তির জন্য তাদের ইমেজ ধরে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঠিক এই মুহূর্তেই একটি বিরোধীশক্তি তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা এবং ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ইমেজ, সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা ক্ষুণ্ন করার। তাদের ব্যবহৃত অস্ত্রগুলোর মধ্যে প্রথমেই রয়েছে ডিপফেক প্রযুক্তি ব্যবহার করে অপ্রীতিকর মিডিয়া বা কনটেন্ট তৈরি করে সোশ্যাল মিডিয়াগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া। এ ক্রান্তিকালে তাই ডিপফেক সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন, এর কার্যপ্রণালি সম্পর্কে জানা এবং এর বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক প্রচারণা করা প্রতিটি সরকারি, বেসরকারি এবং রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের জন্য অতীব জরুরি।

ডিপফেক ব্যবহার করে মানুষ এমন কিছু করতে পারে, যা শুধু ব্যবসা ও মানুষের জন্য ক্ষতিকর তা নয়, এগুলো শিশুদের জন্যও ক্ষতিকর হতে পারে। যেহেতু এসব সফটওয়্যার খুবই সহজলভ্য এবং মোবাইল ফোন থেকে শুরু করে কম্পিউটার সফটওয়্যার হিসেবেও এগুলো পাওয়া যাচ্ছে; তাই দেখা যায়, স্কুলের শিক্ষার্থীরাও এখন ডিপফেক ব্যবহার করে তাদের সহপাঠীদের অপ্রীতিকর মিডিয়া তৈরি করে নিজেদের মধ্যে ছড়িয়ে দিচ্ছে, যা ভুক্তভোগী শিশু-কিশোরদের জন্য মানহানিকর, অপমানজনক এবং মানসিকভাবে অনেক বিপর্যস্ত করে ফেলছে। এসব হীন আনন্দের প্রতিক্রিয়া হিসেবে মাঝেমধ্যেই দেখা যায়, ভুক্তভোগী শিশু-কিশোররা মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে নিজেদের ক্ষতি করে ফেলে। এসব ঘটনা শিক্ষার অন্তরায়, সামাজিক নৈতিকতা এবং সত্যতা ও বিশ্বাসের জন্য ক্ষতিকর। ডিপফেক প্রযুক্তির প্রভাব এবং জাল কনটেন্ট তৈরির কারণে, আমাদের সমাজে এক ধরনের হ্যালুসিনেশন তৈরি হয়, যেখানে মানুষ সত্য ও মিথ্যার তফাত করতে পারে না। হ্যালুসিনেশন বলতে এমন প্রতিক্রিয়া বা আউটপুট তৈরি করাকে বোঝায়, যা অর্থহীন, বাস্তবিকভাবে ভুল, কিন্তু দেখতে সত্যের মতো মনে হয়।

ডিপফেকের তথ্য ব্যবহার করে মানুষ এমন কিছু করতে পারে, যা ব্যবসা ও সমাজের জন্য ক্ষতিকর। শিশুদের শিক্ষার অন্তরায়, সামাজিক নৈতিকতা এবং সত্যতা ও বিশ্বাসের জন্য হানিকর। আগেই বলেছিলাম যে, ডিপফেক প্রযুক্তির প্রভাব এবং জাল কনটেন্ট তৈরির কারণে সমাজে এক ধরনের হ্যালুসিনেশন তৈরি হয়, যা মানুষের মধ্যে যে কোনো বিষয় সম্পর্কে ভুল ধারণা ছড়িয়ে দিতে পারে। যার বস্তুত কোনো বাস্তবতা নেই অথবা যদি থেকেও থাকে তবে তা যে কোনো সময় যে কোনো মাধ্যমে জাল ছবি বা জাল ব্র্যান্ডিংয়ের মাধ্যমে অসত্য চিন্তাভাবনা তৈরি করতে পারে।

এ ধরনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রতিরোধ করার কি কোনো উপায় নেই? অস্ট্রেলিয়ায় ই-সেফটি নামের এমন একটি উদ্যোগ পরিচালনা করা হয়, যার মধ্যে অপব্যবহার বা বিভ্রান্তির জন্য ব্যবহৃত ডিপফেক কনটেন্টও অন্তর্ভুক্ত। ই-সেফটির আরেকটি লক্ষ্য হচ্ছে, অস্ট্রেলিয়ান নাগরিকদের ডিজিটাল কনটেন্ট সুরক্ষা রাখা এবং নিরাপদ অনলাইন অনুশীলন করার বিষয়ে অনুপ্রেরণা দেওয়া। অস্ট্রেলিয়ায় অনেক ক্ষেত্রে ডিপফেক কনটেন্ট সম্পর্কে নির্দেশনা খুঁজতে সাধারণ জনগণ, শিক্ষাবিদ এবং সাংবাদিকরা ই-সেফটির সংস্থানগুলোকে ব্যবহার করে থাকেন। ই-সেফটি কমিশনার ডিপফেকের প্রতিক্রিয়া উন্নত করতে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা, সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানি, সরকারি কর্মকর্তা এবং গবেষকদের (সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতা) সঙ্গেও কাজ করে। এ তথ্যগুলো ই-সেফটি কমিশনার ইনিশিয়েটিভ ওয়েবসাইটের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তৈরি, যা গুগলের মাধ্যমে যে কোনো সময় ওপেন সোর্স হিসেবে পাওয়া যেতে পারে।

অস্ট্রেলিয়ার আরএমআইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশীদারত্বের একটি (যেই উদ্যোগটির মাধ্যমে ডিপফেক দ্বারা তৈরি ভুয়া খবর শনাক্ত করা হয়) উদ্যোগের অনুকরণ করে সিএসআইআরও ডিপফেক ডিটেকশন রিসার্চ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক ডিপফেক কনটেন্ট শনাক্তকরণের সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য গবেষণা পরিচালনা করে। সিএসআইআরও (দক্ষিণ কোরিয়ার একেকেইইউর সহযোগিতায়) পাঁচটি পদক্ষেপের একটি মূল্যায়ন কাঠামো প্রস্তাব করেছে, যেখানে ডিটেক্টরগুলো কোথায় ব্যর্থ হয় এবং কীভাবে সেগুলোকে শক্তিশালী করা যায়, তা চিহ্নিত করা হয়ে থাকে। সিএসআইআরওর অগ্রগতি বিশ্বব্যাপী গবেষণা সম্প্রদায় এবং প্রযুক্তি শিল্পের সঙ্গে উন্মুক্ত করা হচ্ছে। এরকম আরেকটি উদ্যোগ হলো, অস্ট্রেলিয়ার টরেন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা গবেষণা ও অপটিমাইজেশন (এআইআরও) কেন্দ্র-এআইআরও, যেখানে ডিপফেক শনাক্তকরণ কৌশলগুলোর অগ্রণী ভূমিকা পালনের জন্য নিবেদিত একটি একাডেমিক ডিপফেক প্রকল্প চালু আছে। এআইআরও টিম ভিডিওগুলোতে ডিপফেক ম্যানিপুলেশনের সূক্ষ্ম লক্ষণগুলো ধরার জন্য তৈরি অত্যাধুনিক মেশিন লার্নিং মডেল ব্যবহার করছে। যাইহোক, বর্তমানে সাইবার স্পেসে ডিপফেক এবং বিভ্রান্তিকর তথ্য মোকাবিলায় এবং এর ভয়ংকর ক্ষতি থেকে বাঁচার জন্য বিভিন্ন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সক্ষম সফটওয়্যার অ্যাপ্লিকেশন আছে। যেগুলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে ডিপফেক কনটেন্টগুলোকে শনাক্ত করার জন্য ব্যবহার করা হয়।

যদি বিএনপি দেশ পরিচালনার সুযোগ পায়, ডিপফেকসহ আরও অন্যান্য সৃজনশীল যেসব এআই সম্পর্কিত টেকনোলজি আছে, এগুলো ব্যবহার করে কীভাবে বিশ্ববাজারে মানুষের কর্মসংস্থান করা যায়, কীভাবে তরুণদের পেশা তৈরি করে দেওয়া, উদ্যোক্তা হতে তাদের কীভাবে নিয়োজিত করা যায়—এগুলো নিয়ে কাজ করতে হবে। বিএনপির ৩১ দফার ৩০তম দফাটি এসব কাজের ও কাজের প্রক্রিয়ার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তরুণ সমাজকে কীভাবে সহযোগিতা করতে হবে, তা ভাবতে হবে। এসব অ্যাপ্লিকেশন এখন আর নেতিবাচক কিছু নয়। এদের ব্যবহার কীভাবে নেতিবাচক থেকে ইতিবাচক করা যায়, যদি নেতিবাচক কিছু তৈরি করে, সেগুলোর জন্য প্রতিষেধক বা প্রতিরোধক এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তৈরি করার জন্য তরুণ প্রজন্মকে শিক্ষা দিতে হবে, যেন তারা এআই ব্যবহার করেই আবার ফেক নিউজ বা কনটেন্ট খুঁজে বের করতে পারে বা প্রতিরোধ করতে পারে। সরকারি বিভিন্ন ধরনের ট্রেনিং, কর্মশালা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের শর্টকোর্স এবং কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে তাদের শিক্ষাদান গুরুত্বপূর্ণ।

লেখক: অধ্যাপক, বিজনেস অ্যানালিটিকস এবং উপপরিচালক, সেন্টার ফর অ্যাপ্লাইড অ্যান্ড রেসপনসিবল এআই, নিউক্যাসল ইউনিভার্সিটি, নিউ সাউথ ওয়েলস, অস্ট্রেলিয়া

(প্রকাশিত নিবন্ধের বক্তব্য ও দায়িত্ব লেখকদের নিজস্ব)

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

দেশে কত দামে স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে আজ

ভিডিও ডাউনলোডের জন্য কিছু সহজ ও নির্ভরযোগ্য অ্যাপ

১০০ টাকা মূল্যমানের প্রাইজবন্ডের ‘ড্র’ রোববার

দেশ ও জাতি নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে : ড. জালাল

আবারও বাংলাদেশে আসছে পাকিস্তানি ব্যান্ড ‘কাবিশ’

স্বাস্থ্য, ত্বক ও ঘরের যত্নে ছোট্ট জাদু ‘আদা’

একটি রাজনৈতিক দল জান্নাতের টিকিট বিক্রি করছে : ব্যারিস্টার খোকন

আজ ৯ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়

১০ নভেম্বর পর্যন্ত আবেদন করুন ব্র্যাক ব্যাংকে

তছনছ করে দুর্বল হলো ঘূর্ণিঝড় মেলিসা

১০

সিরিয়ার ওপর সিজার নিষেধাজ্ঞা তুলে নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

১১

প্রজেক্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে নিয়োগ দিচ্ছে ব্র্যাক

১২

ইউক্রেনকে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র দেবে পেন্টাগন

১৩

অফিসার পদে নিয়োগ দিচ্ছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান আভিভা ফাইন্যান্স

১৪

রাজধানীতে আজ কোথায় কী

১৫

দেশের ৯০ হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বাতিল হবে : মান্নান

১৬

ঢাকায় কখন হতে পারে বৃষ্টি, জানাল আবহাওয়া অফিস

১৭

শনিবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

১৮

০১ নভেম্বর : আজকের নামাজের সময়সূচি

১৯

কুবি ছাত্র সংসদ নির্বাচন / অনাবাসিকদের প্রার্থিতা ও ভোটাধিকার নিয়ে বিতর্ক

২০
X