বীরেন্দ্র নাথ অধিকারী
প্রকাশ : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:২৬ এএম
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:৫৬ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ

নির্বাচনী বছরে ধাবমান প্রযুক্তিপ্রবণতা

নির্বাচনী বছরে ধাবমান প্রযুক্তিপ্রবণতা

আসন্ন খ্রিষ্টীয় ২০২৪ সালকে বিশ্বের নির্বাচন বছর হিসেবে চিহ্নিত করা যায়। কারণ এ বছর বিশ্বের বিভিন্ন ক্ষমতাধর রাষ্ট্রসহ ৫৬টি রাষ্ট্রের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এসব রাষ্ট্রের মধ্যে অর্থনৈতিক, সামরিক, রাজনৈতিক ও প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত, প্রভাবশালী এবং ক্ষমতাধর রাষ্ট্র অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যেমন—যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ কোরিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, তাইওয়ান প্রভৃতি উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশ। বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৫০ শতাংশ এই ৫৬টি দেশে বসবাস করে। অন্যদিকে ইউরেশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যে চলমান রয়েছে দুটি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ। এ দুটি যুদ্ধ ছাড়া আরও প্রায় ৩৫টি দেশে বা অঞ্চলে রয়েছে গৃহযুদ্ধ, গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্ব ও সংঘর্ষ, জাতিগত বিদ্রোহ, বিভিন্ন নৃগোষ্ঠীর ওপর অত্যাচার, নির্যাতন, নিপীড়ন, হামলা ও দেশ থেকে বিতাড়ন। কবে নাগাদ এসব যুদ্ধ, দ্বন্দ্ব ও সংঘাত শেষ হবে বা সেসব কতদিন প্রলম্বিত ও কতটা বিস্তৃত হবে, তা নিশ্চিত নয়। এর আগে ২০২০ ও ’২১ সালে মনুষ্যসভ্যতা লন্ডভন্ডকারী অতিমারি কভিড-১৯-এর প্রভাব থেকে আজও মুক্ত হতে পারেনি বিশ্ব। এখনো বহু মানুষ নানাবিধ লং কভিড উপসর্গে ভুগছে। তার ওপর রয়েছে মানবসৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিভিন্ন প্রাকৃতিক বিপর্যয়, দুর্যোগ ও ঝুঁকি।

এতকিছুর পরও প্রযুক্তির অগ্রগতি থেমে নেই, বিশেষ করে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি), যা প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল ও অগ্রসরমাণ। ধাবমান এ প্রযুক্তির প্রভাব পড়ছে অন্যান্য সব প্রযুক্তি এবং আর্থ-সামাজিক সূচকে। তাই সামগ্রিকভাবে সমাগত ২০২৪ এবং তার পরেও প্রযুক্তিপ্রবণতা প্রসঙ্গে আলোচনা করতে গিয়ে এখানে আইসিটি প্রাধান্য পাবে।

২০২৩ বছরের শেষপ্রান্তে এসে আমরা যখন সামনের দিনগুলোর দিকে তাকানোর চেষ্টা করি, তখন আমাদের হিসাব কষে দেখতে হয় যে, আমরা কীসব প্রযুক্তির সঞ্চয় হাতে নিয়ে অগ্রসর হচ্ছি। এতে দেখা যায় বিশ্বের কোনো দেশেই এখন পর্যন্ত ডিজিটাল রূপান্তর পুরোপুরি সম্পন্ন হয়নি এবং আপাতত এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। তবে ২০২৩ সালকে প্রযুক্তিগত দিক থেকে সবচেয়ে উত্তেজনাপূর্ণ বছরগুলোর মধ্যে একটি বছর হিসেবে গণ্য করা যায়, যার রেশ আগামী দিনগুলোতে বিশ্বকে আরও অনেক উত্তেজনাপূর্ণ উপায়ে প্রযুক্তির নতুন আকার ও আবিষ্কার দিতে থাকবে। কারণ একবিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে যাত্রা শুরু করা চতুর্থ শিল্পবিপ্লব মানবজাতির জীবনযাত্রায় আমূল পরিবর্তন ঘটিয়ে যাচ্ছে, যে ধারা ২০২৩ সালে অধিকতর শানিত হয়েছে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের শক্তিমত্তার মূল উৎস হচ্ছে প্রতিষ্ঠানগুলোতে একটি নতুন স্তর এবং শিল্পের ভ্যালুচেইন সৃষ্টি করা। এ ভ্যালুচেইনের মধ্যে রয়েছে ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি), ক্লাউড কম্পিউটিং, সিস্টেম ইন্টিগ্রেশন, বিগ ডাটা অ্যানালাইসিস, ব্লকচেইন, সাইবার সিকিউরিটি, মেশিন ইন্টেলিজেন্স ও লার্নিং, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই), রোবটিকস, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং, সিমিলিউশন, অগমেন্টেড রিয়েলিটি, ভার্চুয়াল রিয়েলিটি, ইউনিফায়েড কমিউনিকেশন, অ্যাডেটিভ ম্যানুফ্যাকচারিং, গ্রিন টেকনোলজি ইত্যাদি। এসব সাইবার-ফিজিক্যাল সিস্টেমগুলো চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের ভিত্তি তৈরি করেছে, উদাহরণস্বরূপ ‘কোবোট’, ‘স্মার্ট মেশিন’ ইত্যাদি। বেশিরভাগ উন্নত দেশ এবং বেশ কয়েকটি উন্নয়নশীল দেশ এরই মধ্যে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবকে দ্রুত ও পরিবর্তনশীল অর্থনীতি, বৈচিত্র্যময় ব্যবসা ও শিল্প এবং স্বয়ংক্রিয় উৎপাদন, পরিচালনা ও শাসন ব্যবস্থায় রূপান্তরকরণের ভিত্তি স্থাপনে সফলতা অর্জন করেছে। আবার এখন পর্যন্ত চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের পুরোপুরি উন্মেষ ঘটতে না ঘটতেই এরই মধ্যে বিশ্বের বেশ কিছু দেশে পঞ্চম শিল্পবিপ্লব শুরু হয়ে গেছে।

চতুর্থ শিল্পবিপ্লব সম্পন্ন হতে না হতেই পঞ্চম শিল্পবিপ্লব শুরু হয়ে যাওয়ার পথে ২০২৩ সাল উপরোল্লিখিত ভ্যালুচেইনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এ ভূমিকার ধারা ২০২৪ সালে এবং পরবর্তী বছরগুলোতেও অব্যাহত থাকবে। আর চতুর্থ শিল্পবিপ্লব থেকে পঞ্চম শিল্পবিপ্লবে উত্তরণের যুগসন্ধিক্ষণে পরিবর্তনের ধারায় একদিকে ভ্যালুচেইনের একাধিক উপাদানের ক্রমোন্নতি হবে, অন্যদিকে ভ্যালুচেইনে যোগ হতে পারে নতুন বেশ কিছু উপাদান।

বিদ্যমান ভ্যালুচেইনের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি উপাদান নিয়ে আলোচনার প্রথমেই বলা যায় যে, বাস্তবতা এবং অপার্থিবতার মধ্যে সীমানা অস্পষ্টকরণে যান্ত্রিক বুদ্ধিমত্তার ভূমিকা ও ইন্টারনেটের চলমান বিবর্তনকে আকার দেওয়া সবই মানবজীবনে আমূল প্রভাব ফেলতে পারে। তবে সম্ভবত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হবে মানুষ পরিবেশের যে ক্ষতি করে চলছে, তা হ্রাস করে সমৃদ্ধি অব্যাহত রাখার উপায়গুলো খুঁজে বের করা, অর্থাৎ অতীতে পরিবেশগত যেসব ক্ষতি হয়েছে সেসবের বিপরীতে অধিকতর গ্রিন টেকনোলজির সমন্বয় সাধন করে কিছু করা। সেদিকে লক্ষ রেখে এখানে কর্মপদ্ধতি পরিবর্তনের প্রবণতাগুলো সম্পর্কে কিছু ভবিষ্যদ্বাণী করা যেতে পারে যে, সেসব কীভাবে মানুষের জীবন, সমাজ এবং আমাদের এই গ্রহকে প্রভাবিত করবে।

সামনের দিনগুলোতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, বিশেষ করে জেনারেটিভ এআই নিত্যদিনের স্বয়ংক্রিয়তায় আরও বেশি ভূমিকা রাখবে। জেনারেটিভ এআই বলতে টেক্সট, ইমেজ, মিউজিক, অডিও ও ভিডিওর মতো নতুন কনটেন্ট তৈরি করতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারকে বোঝায়। ২০২৩ সাল হচ্ছে এমন একটি বছর যখন জেনারেটিভ এআই মূলধারার প্রযুক্তিতে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। আর ২০২৪ সাল হবে এমন একটি বছর যখন বিশ্ব প্রকৃতপক্ষে শক্তিশালী ও কার্যকর হতে জেনারেটিভ এআইকে আরও কতটা আঁকড়ে ধরবে, তা নিরূপণের শুরুর বছর। প্রসঙ্গত এখানে একটি উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে, যদিও এটি কিছুটা নেতিবাচক। যেমন, কোনো ব্যক্তি প্রযুক্তিবিদ না হলে তার জন্য শুধু ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা’ শব্দগুচ্ছ ভয়ের কম্পন সৃষ্টি করতে পারে। ফলে ওই ব্যক্তি তার চাকরি হারানোর, এমনকি তিনি নিজে অপ্রয়োজনীয় হয়ে গেছেন বলে স্নায়বিক চাপে ভুগতে পারেন। তবে আশা করা হচ্ছে, জেনারেটিভ এআই যেহেতু সার্চ ইঞ্জিন থেকে শুরু করে অফিস সফটওয়্যার, ডিজাইন প্যাকেজ ও যোগাযোগের টুলস পর্যন্ত প্রায় সবকিছুতে মানুষ প্রতিদিন ব্যবহার করে থাকে এবং এটি এমন আরও অনেক অ্যাপ্লিকেশনের মধ্যে প্রবেশ করানো থাকে যে, মানুষ সহজেই এর উপযোগিতা বুঝতে পারবে। আর দিনে দিনে জেনারেটিভ এআই সপ্তাহে সাত দিন মানুষের হাতে একটি ব্যক্তিগত সুপারস্মার্ট সহকারী থাকার মতো হয়ে দাঁড়াবে, যা তাকে আরও দক্ষ, দ্রুত এবং অধিকতর উৎপাদনশীল করে তুলতে সহায়তা করবে।

অন্যদিকে, ২০২৪ সালে টেকসই প্রযুক্তি ব্যবহার কেন্দ্রীভূত হতে থাকবে, কারণ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও করপোরেশন নেটজিরো, অর্থাৎ গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনকে যতটা সম্ভব শূন্যের কাছাকাছি কমিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি পূরণে কাজ চালিয়ে যাবে। একই সময়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা পরিবেশের ওপর তাদের ব্যক্তিগত প্রভাব কমানোর জন্য প্রযুক্তির ক্রমবর্ধমান সুবিধা গ্রহণ করবেন।

প্রযুক্তিপ্রবণতার ধারায় ইদানীং কোয়ান্টাম কম্পিউটিং নিয়ে ক্রমবর্ধমান নতুন কিছু গুঞ্জন বাজারে চালু হয়েছে। ধারণা করা যাচ্ছে, ২০২৪ সালে এসব গুঞ্জন বাস্তবতায় রূপান্তরিত হতে শুরু করবে। কোয়ান্টাম প্রযুক্তিতে প্রাথমিক বিনিয়োগকারীদের মধ্যে মূলত ব্যাংক এবং আর্থিক পরিষেবা সংস্থাগুলো অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এসব সংস্থা জালিয়াতি শনাক্তকরণ, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ও অতিদ্রুততার সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনার উদ্দেশ্যে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিকাশমান এআই সিস্টেমগুলোর শক্তি বাড়াতে সক্ষম হবে বলে আশা করা যায়। যদিও কোয়ান্টাম কম্পিউটিং ব্যবহারের মাধ্যমে সব কাজের গতি বাড়ানো যায় না বটে, কিন্তু ধারণা করা যাচ্ছে, ২০২৪ সালে ওষুধ আবিষ্কার, জিনোম সিকোয়েন্সিং, ক্রিপ্টোগ্রাফি, আবহাওয়াবিদ্যা, বস্তুবিজ্ঞানসহ বিভিন্ন অতিগণনাভারী ক্ষেত্রগুলোতে এটি প্রয়োগের সুফল এবং জটিল অনেক পদ্ধতি, যেমন বড় শহরগুলোর মধ্য দিয়ে যানবাহন চলাচল-প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ, আবহাওয়া ও দুর্যোগের ত্বরিত পূর্বাভাস, এমনকি বহির্জাগতিক জীবনের জন্য অনুসন্ধানে সম্ভাব্য সর্বোত্তম সমাধান দেওয়া শুরু হবে।

এবার আসা যাক সাইবার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কথায়। চতুর্থ শিল্পবিপ্লব বা সবেমাত্র শুরু হওয়া পঞ্চম শিল্পবিপ্লবের বিভিন্ন উপাদান, বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও কোয়ান্টাম কম্পিউটিং ২০২৪ সালে ও তার পরবর্তী বছরগুলোতে যতটা ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে, তা ম্রিয়মাণ হয়ে যেতে পারে যদি না সাইবার স্থিতিস্থাপকতা (Cyber Resilience) নিশ্চিত করা যায়। এক গবেষণায় দেখা গেছে, গত তিন বছরে প্রতি দুটি সফল ব্যবসার মধ্যে একটি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সাইবার আক্রমণের শিকার হয়েছে এবং ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ এ আক্রমণের আর্থিক মূল্যমান ১০ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হবে বলে ধারণা করা যাচ্ছে। দ্রুত ক্রমবর্ধমান এ হুমকির বিপরীতে সাইবার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে এবং সাইবার হামলা প্রতিরোধ লড়াইয়ের সুযোগ সৃষ্টিতে প্রতিটি সংস্থাই অত্যাবশ্যকীয়ভাবে তাদের প্রযুক্তি সমাধান খুঁজে বের করতে সচেষ্ট থাকবে। এসবের মধ্যে রয়েছে এআই এবং মেশিন লার্নিংয়ের মাধ্যমে সাইবার প্রতিরক্ষার অটোমেশনসহ সমন্বিত বা একীভূত অবকাঠামো, যা তাদের সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ধারাবাহিকভাবে নেটওয়ার্ক প্রটোকলের সঙ্গে সমন্বিত ও একত্রিত করবে। অন্যদিকে সাইবার আক্রমণকারীরা প্রযুক্তির বাইরেও যেসব সামাজিক কৌশল অবলম্বন করে থাকে, সেসব প্রতিরোধের জন্য সামাজিক উপাদান খুঁজে বের করতে এবং সেসব সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে সংস্থাগুলো সাইবার স্থিতিস্থাপকতার কৌশল হিসেবে অপরিহার্য বলে বিবেচনায় নেবে।

লেখক : মুক্তিযোদ্ধা ও প্রযুক্তিবিদ

[email protected]

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ইসরায়েলের ভয়াবহ হামলা ইয়েমেনে, নিহত ৬

শুটিং সেটে মারা গেলেন নেটফ্লিক্সের জনপ্রিয় সিরিজের পরিচালক

কবে হচ্ছে ২০২৯ ক্লাব বিশ্বকাপ, জানিয়ে দিল ফিফা

ফাইনালে মেসি-রোনালদোর রেকর্ড: সংখ্যায় কে সেরা?

কক্সবাজারে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা

অক্টোবরের মধ্যে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ফ্লাইট চালুর আশা

পদ্মা ব্যাংকের ১২৯তম পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত

নতুন ভূমিকায় এবার দেখা মিলবে সৌরভ গাঙ্গুলির

কেমন থাকবে আজকের ঢাকার আবহাওয়া

বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করল যুক্তরাষ্ট্র

১০

পিকআপ চাপায় ইজিবাইকের ৩ যাত্রী নিহত

১১

বিপাকে পড়েছেন শ্রদ্ধা কাপুর

১২

বিয়ের আগে মা হওয়া নিয়ে গর্ববোধ করেন নেহা ধুপিয়া

১৩

পেনাল্টি মিসের দোষ রেফারির ঘাড়ে চাপালেন ম্যানইউ অধিনায়ক

১৪

৪ ইভেন্টে ৩ রেকর্ডে যে বার্তা দিলেন রিংকি

১৫

সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন অন্যতম প্রতিভাবান ক্রিকেটার

১৬

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন নিয়ে সন্দেহ নাহিদের

১৭

গ্রেপ্তারের পর পুলিশকে যে ভয়ের কথা জানালেন তৌহিদ আফ্রিদি

১৮

সুনামগঞ্জে বালু-পাথর লুট ঠেকাতে বিজিবির অভিযান

১৯

টি-টোয়েন্টিতে অবিশ্বাস্য রেকর্ড গড়ে যা বললেন সাকিব

২০
X