ইন্টার মিয়ামিকে প্রথম শিরোপা জেতালেন লিওনেল মেসি। লিগস কাপের ফাইনালে দূরপাল্লার শটে অসাধারণ গোল করেছেন তিনি। যদিও শিরোপা নির্ধারিত হয়েছে টাইব্রেকে। গতকাল লিগস কাপের ফাইনালে নাশভিলকে হারিয়েছে মেসির দল। টাইব্রেকে দুপক্ষ মেরেছে ১১টি করে শট। বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টায় লিগস কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয় ইন্টার মিয়ামি ও নাশভিল। নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলে ড্র হওয়া খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। ম্যারাথন পেনাল্টি শুটআউটে দুই দল ১০টি করে শট নেওয়ার পর টাইব্রেকারে ফল ৯-৯-এ সমতায় ছিল। এরপর দারুণ শটে গোল করেন ইন্টার মিয়ামির গোলকিপার ড্রেক ক্যালেন্ডার। প্রতিপক্ষ গোলকিপারের শট ঠেকিয়ে দলকে এনে দেন শিরোপাও। ১-১ গোলে সমতায় থাকার পর ইন্টার মিয়ামি টাইব্রেকারে ম্যাচ জিতে নেয় ১০-৯ গোলে। নাশভিলের মাঠ জিওডিস পার্কে হওয়া ফাইনালের ২৩ মিনিটে দুর্দান্ত এক গোলে ইন্টার মিয়ামিকে এগিয়ে দেন মেসি। নাশভিলের ডি-বক্সের কাছাকাছি জায়গায় রবার্ট টেলরের বাড়ানো বল প্রতিপক্ষ খেলোয়াড় ঠিকভাবে বিপদমুক্ত করতে পারেনি। বল চলে আসে বক্সের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা মেসির কাছে। কয়েক পা এগিয়ে শরীরের ঝাঁকুনিতে দুজন ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে বাঁ পায়ের জোরালো শটে গোল করেন মেসি। মেসির সেই গোল তার আশপাশে থাকা নাশভিলের ৫ খেলোয়াড়ের উপভোগ করা ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না। বিরতির পরও নাশভিল চেষ্টা করে ম্যাচে ফেরার। অন্যদিকে ইন্টার মিয়ামির চোখ ছিল ব্যবধান বাড়ানোয়। একাধিক আক্রমণ থেকে মেসিরা ব্যবধান বাড়াতে ব্যর্থ হন। ৫৭ মিনিটে সমতা ফেরায় ন্যাশভিল। দলকে গোল এনে দেন ফাফা পিকাল্ট। কর্নার থেকে আসা বলে নিচু করে হেড নেন ফাফা। ৭০ মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে আরেকটি ট্রেডমার্ক শটে দলকে প্রায়ই এগিয়েই দিয়েছিলেন মেসি! কিন্তু এবার মেসির মাটি কামড়ানো শটে বাধা হয়ে দাঁড়ায় গোলপোস্ট। এরপর নির্ধারিত সময়ে দুই দলই চেষ্টা করেছিল গোল আদায়ের; কিন্তু পায়নি কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা। ম্যাচ চলে যায় টাইব্রেকারে।
ম্যাচ শেষে লিগস কাপের ট্রফি নিতে পুরস্কার মঞ্চে যাওয়ার আগে মেসি ডেকে নেন মিয়ামির সাবেক অধিনায়ক ডিআন্ড্রে ইয়েডলিনকে। শুধু ডেকেই নেননি নিজের অধিনায়কত্বের বাহুবন্ধনী খুলে দিয়েছেন তাকে। এরপর ট্রফিটা দুজন মিলে নিয়েছেন। পরে মেসি ট্রফিসহ তাকে নিয়ে উদযাপনের মঞ্চেও উঠেছেন। মেসি শিরোপা জয়ের পর মিয়ামির কোচ জেরার্দো মার্তিনো বলেছেন, ‘আপনি যখন লিওর (মেসি) নাম বলছেন, মানে আপনি বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়টির কথা বলছেন। এর চেয়ে বড় কোনো প্রশংসা হয় না। সে ম্যাচের পর ম্যাচে সেটা প্রমাণ করেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘সে জিততে এসেছে, সে লড়াই করতে এসেছে। বুসকেটস এবং আলবাও একই কথা বলেছিল। তারা দলকে একটা পরিচয় দিয়েছে। আমাকে যেটা করতে হচ্ছে, তা হলো এই তিনজনের বৈশিষ্ট্যকে অনুসরণ করা এবং তা দলের অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া।’ মার্তিনো বলেন, ‘ম্যাচটা কঠিন ছিল। বেশ জটিলও। আমি মনে করি, ড্রটা ঠিকই ছিল। তারা তাদের সুযোগ পেয়েছে। আমাদের শট পোস্টে লেগেছে এবং শেষ মুহূর্তে লিও কাম্পানার মিসটাও ছিল। দুই দল সমান সমান থেকেই পেনাল্টিতে গিয়েছে। আমরা জিতেছি, তবে ন্যাশভিলও জিততে পারত।’
মন্তব্য করুন