নিরাপত্তার ঝুঁকির কারণে নেপাল-বাংলাদেশ দ্বিতীয় ফিফা প্রীতি ম্যাচ বাতিল করা হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার আমের খান।
কাঠমান্ডুতে ‘জেন-জি প্রোটেস্ট’ সম্প্রসারিত হওয়ার কারণে গতকাল দুপুরের পর থেকে উত্তেজনা বাড়ছিল। সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, কূটনৈতিক এলাকার সঙ্গে জোরদার করা হয়েছিল বাংলাদেশের টিম হোটেল ক্রাউন ইম্পেরিয়ালের নিরাপত্তা। অবরুদ্ধ বাংলাদেশ দল বাতিল করে নির্ধারিত অনুশীলন। প্রায় দেড় ঘণ্টার ইনডোর সেশনে ম্যাচের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করেছিলেন জামাল ভূঁইয়ারা। নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলন দশরথ স্টেডিয়াম থেকে টিম হোটেলে আয়োজন করা হয়েছিল।
নেপালে দলের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, চলমান বিক্ষোভে দুপুরের পর থেকেই পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকে। কারফিউ ভেঙে বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় প্রবেশ করেছে বিক্ষোভকারীরা, যে কারণে কাঠমান্ডুর রাভি ভবনের টিম হোটেল ক্রাউন ইম্পেরিয়াল এবং কূটনৈতিক এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সন্ধ্যা পর্যন্ত অল নেপাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (আনফা) কর্মকর্তারা ম্যাচ আয়োজনের বিষয়ে আশাবাদী ছিলেন। কিন্তু পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় সন্ধ্যার পর ম্যাচ বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কাঠমান্ডুর পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার পর ফুটবল সংশ্লিষ্টদের কৌতূহল ছিল বাংলাদেশ দল ঘিরে। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) কর্মকর্তারা বিকেল থেকেই পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছিলেন। দলের নিরাপত্তা ইস্যুতে মিডিয়া ম্যানেজার সাদমান সাকিব কাঠমান্ডু থেকে কালবেলাকে বলেছেন, ‘দলের সদস্যরা নিরাপদেই আছেন। তাদের নিরাপত্তা ইস্যুতে বাফুফে কর্মকর্তারা আনফা কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। স্থানীয় দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গেও যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে।’
এদিকে গতকাল আনফা থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকায় বাংলাদেশের সঙ্গে প্রীতি ম্যাচ খেলবে নেপাল জাতীয় ফুটবল দল। এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে এ ম্যাচ খেলা হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বাছাইয়ে অক্টোবরে হংকংয়ের বিপক্ষে দুটি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। ৯ অক্টোবর ঢাকায় এবং ১৪ অক্টোবর হংকংয়ের গিয়ে খেলবে লাল-সবুজরা। ৯ ও ১৪ অক্টোবর দুটি ম্যাচ খেলবে নেপালও।
মন্তব্য করুন