কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের লাবণী পয়েন্টে গোসল করতে নেমে ভেসে গিয়ে নিখোঁজ পর্যটক আহনাফের (১৬) মরদেহ দীর্ঘ ১৫ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল সোয়া ৬টার দিকে কক্সবাজার সৈকতের সমিতিপাড়া পয়েন্টে নিখোঁজ আহনাফের লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা। খবর পেয়ে লাইফগার্ডের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আহনাফের মরদেহ উদ্ধার করে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। আহনাফ বগুড়ার শরিফুল ইসলামের পুত্র এবং জাতীয় দলের ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিমের সম্পর্কীয় ভাতিজা ।
একই সঙ্গে ভেসে যাওয়া আরও দুজনকে জীবিত উদ্ধার করেছে লাইফগার্ডের সদস্যরা গত রবিবার দুপুর পৌনে ৩টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেলের দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার মো: আজিম খান বলেন, বগুড়া থেকে সপরিবারে তারা ঘুরতে আসে। এতে আহনাফ নামের এক শিক্ষার্থী সাগরে ভেসে গিয়ে নিখোঁজ হয়। আহনাফকে উদ্ধারে জেলা প্রশাসন ও লাইফগার্ড যৌথভাবে কাজ করে। সোমবার সকালে আহনাফের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
সি সেইফ লাইভগার্ডের সুপারভাইজার ওসমান গণি জানান, মরদেহটি তীরের কাছে ভাসতে দেখে স্থানীয় পোনা শিকারিরা এটি কূলের কাছে নিয়ে আসে। খবর পেয়ে লাইফগার্ড ও বিচ কর্মীরা গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যায়।
সি সেইফ লাইফগার্ডের কর্মকর্তা ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, গতকাল রোববার দুপুর আড়াইটার দিকে তিনবন্ধু মিলে সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে গোসল করতে নামে। এ সময় তিনজনই ভেসে যায়। তবে লাইফগার্ড কর্মীরা অভিযান চালিয়ে দুজনকে জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও আহনাফ ভেসে যায়। ১৬ ঘণ্টার পর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শাহেদুল ইসলাম বলেন, ‘বগুড়া থেকে সপরিবারে তারা বেড়াতে এসেছিল আহনাফ। মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে রাখা হয়েছে। স্বজনরা সঙ্গে রয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে মরদেহ নিয়ে যাবে তারা।’
মন্তব্য করুন