লর্ডস টেস্টেও ৪৩ রানে হেরেছে ইংল্যান্ড। ৩৭১ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ৩২৭ রানে থামে তারা। অস্ট্রেলিয়া টানা দুই টেস্ট জিতে ২-০-তে এগিয়ে গেছে চলতি অ্যাশেজ। তবে অধিনায়ক বেন স্টোকসের অনবদ্য সেঞ্চুরি বাজবলের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন কিছুটা হলেও মুছতে পেরেছে।
অ্যাশেজে দ্বিতীয় টেস্টের পঞ্চম দিনে জেতার জন্য ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ২৫৭ রান। রোববার প্রথম সেশনে প্রথমে আউট হন বেন ডাকেট। শনিবার তার ক্যাচ নিয়ে বিতর্ক হয়েছিল। মিচেল স্টার্ক তার ক্যাচ নিলেও আউট দেননি আম্পায়ার।
গতকাল ইংলিশ ওপেনার ৮৩ রান করে আউট হন। এরপর ব্যাট করতে নামেন জনি বেয়ারস্টো। স্টোকসের সঙ্গে জুটি গড়ে ইংল্যান্ডকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু ক্যামেরন গ্রিনের বাউন্সার থেকে মাথা বাঁচিয়ে নেওয়ার পর বেয়ারস্টো ভুলে গেলেন বল কোথায়। ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি।
উইকেটরক্ষক অ্যালেক্স ক্যারি সঙ্গে সঙ্গে বল ছুড়ে উইকেট ভেঙে দেন। রানআউট হয়ে যান বেয়ারস্টো। এটা নিয়ে গতকাল সারাদিন বিতর্ক চলেছে। এমনকি লর্ডসের বিখ্যাত লং রুমে ইংলিশ দর্শকদের সঙ্গে তা নিয়ে বচসায় জড়িয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটাররা। বেয়ারস্টো এ সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারছিলেন না। তিনি মাঠ ছাড়তেও কিছুটা দেরি করেন। লর্ডসের গ্যালারি থেকেও দর্শকরা দুয়ো দিয়ে এর প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন।
ক্রিজে আসা স্টুয়ার্ট ব্রডও নিজের হতাশা প্রকাশ করেন। গার্ড নেওয়ার সময় অস্ট্রেলীয় উইকেটরক্ষক ক্যারির দিকে তাকিয়ে তিনি বলেন, ‘এসবের জন্যই তোমাদের সবাই চিরদিন মনে রাখবে।’
আর সম্ভবত বেয়ারস্টোর রানআউট ক্ষেপিয়ে দেয় স্টোকসকে। তিনি রুদ্রমূর্তি ধারণ করেন। তার কারণে লাঞ্চে যাওয়ার আগে ইংল্যান্ডের স্কোর ছিল ২৪৩/৬। জয়ের জন্য তখনো ১২৮ রান প্রয়োজন ছিল। বেয়ারস্টো আউট হতেই সময় নষ্ট না করে পেটাতে থাকেন তিনি।
গ্রিনের এক ওভারে ২৪ রান নেন স্টোকস। পর পর তিনটি ছক্কা মেরে সেঞ্চুরি করেন। ২০১৯ সালের অ্যাশেজের তৃতীয় ম্যাচের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছিল তার ব্যাটিং। সেই ম্যাচে মহাকাব্যিক সেঞ্চুরি করে দলকে জিতিয়েছিলেন স্টোকস।
রোববারও সেঞ্চুরি করেছেন। তবে ম্যাচ জেতাতে পারেননি। এজবাস্টনে অ্যাশেজে প্রথম ম্যাচটি হেরেছিল ইংল্যান্ড। যে হারের পরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে ইংল্যান্ডের ‘বাজবল’ ক্রিকেট নিয়ে। এবার লর্ডস টেস্ট হারের পর সেই প্রশ্ন আরও জোরাল হয়েছে।
মন্তব্য করুন