সিরিজ হারের পর জানানো হয়েছিল, দলের কোনো অনুশীলন ও মিডিয়া অ্যাক্টিভিটি থাকবে না। তবে গতকাল সকালেই টি-টোয়েন্টি দলের একটি অংশকে নিয়ে চট্টগ্রামের সাগরিকায় হাজির প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে, সঙ্গে সহকারী কোচ নিক পোথাস। ওয়ানডে সিরিজের ভুল টি-টোয়েন্টিতে করতে না চাওয়ার তাগিদ থেকেই আগাম এ প্রস্তুতি। অবশ্য দ্বিতীয় ওয়ানডের আগ থেকেই এ প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। সুতরাং গতকালই প্রথম ছিল, এমনও নয়।
গতকাল সাগরিকায় অনুশীলন শুরুর আগে দুই নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ও আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে কথা বলেন হাথুরু। এরপর রনি তালুকদারকে ডেকে আলাদা করে কথা বলেন এ লঙ্কান কোচ। ওয়ানডে সিরিজের ফাঁকেই টি-টোয়েন্টির প্রস্তুতি শুরু করেছেন তারা। যদিও দ্বিতীয় ওয়ানডের অনুশীলনের দিনও দেখা মিলেছে তা।
ঢাকা থেকে এসে ওয়ানডে দলের সঙ্গে যোগ দেন রনি তালুকদার, নাসুম আহমেদ, শামীম পাটোয়ারী ও রিশাদ হোসেন। চারজনই ছিলেন সংক্ষিপ্ত সংস্করণের দলে; তবে প্রস্তুতি এগিয়ে নিতেই চট্টগ্রামে যোগ দেন তারা। সে অনুযায়ী শুক্রবার তাদের নিয়ে কাজ করেছেন হাথুরুসিংহে ও পোথাস। প্রথম দিনের অনুশীলনে নেটে সবচেয়ে বেশি মনোযোগী ছিলেন দুই স্পিনার নাসুম ও রিশাদ। দুই পাশের নেটে ভাগ হয়ে কখনো নাজমুল হোসেন শান্ত, কখনোবা সাকিব আল হাসান কিংবা তাওহিদ হৃদয়কে বোলিং করেছেন এ দুজন।
তামিম ইকবাল কাণ্ডে শেষ দুই ওয়ানডের দলে ডাক পাওয়া রনিকে নেটে ব্যাটিং করতে দেখা যায়নি। তবে গতকাল প্রায় ১০ মিনিটের মতো নেটে ব্যাটিং করতে দেখা গিয়েছিল ডানহাতি এ ওপেনারকে। গতকাল সেটা ভালোভাবে পুষিয়ে নিয়েছেন তিনি। নেট সেশনের এক পর্যায়ে রনির ফুটওয়ার্ক নিয়ে ঠিক সন্তুষ্ট মনে হচ্ছিল না সহকারী কোচ নিক পোথাসকে। কাছে ডেকে সামনের পা ঠিক পজিশনে রেখে শট খেলার কৌশল দেখিয়ে পোথাস বলেন, ‘এমনটা করতে পারলে রশিদ হোক বা মুজিব, খেলা সহজ হবে।’ অর্থাৎ রশিদ-মুজিব যে কতটা চিন্তার কারণ, সেটা দলের অনুশীলনই বলে দেয়। আর ওয়ানডের চেয়ে
টি-টোয়েন্টিতে বেশি ভয়ংকর হতে পারেন তারা। অতীত পরিসংখ্যান, পারফরম্যান্স কিংবা অভিজ্ঞতাই বলে দেবে সে কথা। সে কারণেই হয়তো রনি তালুকদারকে রশিদদের সামলানোর তালিম দিয়েছেন পোথাস।
দ্বিতীয় ম্যাচে হারের পর সংবাদ সম্মেলনে দলের প্রতিনিধি হয়ে আসা মেহেদী হাসান মিরাজ জানিয়েছেন, আফগান বোলারদের চ্যালেঞ্জ উতরানোর পথটা জানা আছে তাদের, ‘আফগানিস্তানের বোলিংয়ের বিপক্ষে ভালো করতে হলে দলগতভাবে ভালো খেলতে হবে। এক-দুজন কখনো একটা দলকে জেতাতে পারে না। দশ-বিশ ম্যাচ পর হয়তো অলৌকিকভাবে একটা ম্যাচ জেতাতে পারে; কিন্তু সব মিলিয়ে দলগতভাবে খেলতে হবে। ব্যাটসম্যান যারা আছে, দায়িত্ব নিতে হবে। বড় স্কোর করতে হবে। আমরা ওই জিনিসটা নিয়েই চেষ্টা করছি যে, কীভাবে ভালো খেলব।’ প্রথম দুই ওয়ানডেতে ব্যর্থ হলেও শেষ ম্যাচ ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে কতটা উতরে যাবেন তারা, সেটাই দেখার বিষয়।
মন্তব্য করুন