দলীয় ফটোশুটের পর তীব্র গরমে ঘামিয়ে উঠলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ব্লেজার খুলে রেখে সংবাদ সম্মেলন রুমের দিকে আসার পথে কিছুটা আফসোসও করলেন। ঘামে ভেজা শার্টটা যদি ব্লেজারে ঢেকে রাখা যেত! অবশ্য এরপর প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের সঙ্গে ২৭ মিনিটের সংবাদ সম্মেলনে সংবাদকর্মীদের ইয়র্কার, বাউন্সার কিংবা গুগলি—সবকিছুই শান্তভাবেই মোকাবিলা করলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। তার পুরো সংবাদ সম্মেলন এখানে…
দল গঠনে অধিনায়কের ভূমিকা
দল নির্বাচনের বিষয়টা নিয়ে আমরা অনেক আগে থেকেই আলোচনা করছিলাম। তিন নির্বাচক এবং কোচ। শুধু জিম্বাবুয়ে সিরিজ থেকে যে শুরু হয়েছে তা নয়, এর আগে থেকেই আমাদের মধ্যে কথাবার্তা চলত। আমরা কোন কম্বিনেশনে যাব। ইনপুট যদি বলেন, আমরা সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং প্রতিটি মিটিংয়ে আমি ছিলাম, কোচ ছিলেন, পাশাপাশি তিন নির্বাচক তো ছিলেন। আমাদের সবার সম্মিলিত সিদ্ধান্ত এটা।
ছন্দহীন লিটনকে দলে রাখা
লিটন আমাদের খুবই গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার। যদিও কয়েকটা সিরিজ ভালো যায়নি। আমি বিশ্বাস করি, এটা হতে পারে। শেষ মুহূর্তে আমরা কেউই চাইনি নতুন একজন খেলোয়াড় দলে চলে আসুক। এ ধরনের বড় টুর্নামেন্টের আগে তার জন্য হয়তো কঠিন হবে। এজন্য আমরা অভিজ্ঞতাকে সেখানে মূল্য দিয়েছি। আমি আশা করি, লিটন ভালো করবে ইনশাল্লাহ।
টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের প্রত্যাশা
আমার মনে হয়, আমি যে কথাটা বলেছিলাম, তার পরও বাংলাদেশের সবাই প্রত্যাশা করবেই। আমি নিজেও প্রত্যাশা করি এবং আমাদের প্রত্যেক খেলোয়াড় প্রত্যাশা করবে যে, আমরা অনেক ভালো ক্রিকেট খেলব। আমরা যদি ছোট ছোট পরিকল্পনা নিয়ে এগোই যে, আমরা কীভাবে গ্রুপ স্টেজটা পার করব! তাহলে পরিকল্পনা করাটা সহজ হয়। আমরা যে গ্রুপে আছি, খুব একটা যে দুর্বল গ্রুপ তা বলব না। আমরা যদি এটা পার করতে পারি, তখন আবার আমরা আলাদাভাবে পরিকল্পনা করতে পারব। টি-টোয়েন্টিতে আমি বিশ্বাস করি, ছোট দল বড় দল বলে কিছু নেই। নির্দিষ্ট দিনে যদি আমরা ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি, তাহলে যে কোনো দলকে হারানো সম্ভব।
প্রথমবার বিশ্বকাপ দলে লেগস্পিনার
আলহামদুলিল্লাহ আমাদের খুব ভালো একজন লেগস্পিনার আছে। সে প্রায় সব ম্যাচেই পারফর্ম করছে; বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাটিংয়ে। আমার মনে হয়, সে আমাদের দলের অন্যতম সেরা ফিল্ডার। কমপ্লিট একটা প্যাকেজ। সেরাটা দিতে পারলে দল অনেক এগোবে। বাড়তি কোনো চাপ দিতে চাচ্ছি না। সে যা করতে পারে, তা করতে পারলে দলের জন্য ভালো কিছু হবে। নির্বাচকরা দল করার সময় ব্যাকআপ অপশন রাখেন। আল্লাহ না করুক যদি ওর খুব খারাপ যায়, তাহলে হয়তো ব্যাকআপ অপশনের কথা চিন্তা করতে হবে।
তরুণদের সামনে মাহমুদউল্লাহর ফেরা
রিয়াদ ভাই যেভাবে কামব্যাক করল, তার যে রোলটা আছে, এর ফলে দল অনেক এগিয়ে যাচ্ছে। ফিনিশিং রোলে এটা আমাদের জন্য বাড়তি সুযোগ যে, আমরা ভালো একটা স্কোর দাঁড় করাব। তরুণদের জন্য অবশ্যই অনুপ্রেরণা যে, কীভাবে এরকম পরিস্থিতি থেকে কামব্যাক করা যায়।
সাকিব-রিয়াদের জন্য দলে চাওয়া
শেষ বিশ্বকাপ কি না জানি না। আমরা অবশ্যই চাইব, এটা তাদের ভালো একটা মেমরি দেওয়া। অবশ্যই এটা আমাদের দায়িত্ব। তাদের যে রোলটা আছে, তারা যদি তা করতে পারে অবশ্যই দল উপকৃত হবে। তাদের অভিজ্ঞতা যা আছে তা যদি প্রত্যেক প্লেয়ারের মধ্যে ছড়িয়ে দেন, তাহলে আমরা অনেক ভালো অবস্থানে থাকব।