বাংলাদেশের হয়ে ১৩টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন জাকের আলি। ৩৫ গড়ে করেছেন ২১০ রান। স্ট্রাইকরেট ১২৮। মজার ব্যাপার হচ্ছে, চার-ছক্কা সমান সমান। ১২টি চারের পাশাপাশি সমান সংখ্যক ছক্কা মেরেছেন। এ থেকেই বোঝা যায়, ছক্কা মারার সহজাত ক্ষমতা আছে তার।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে জাকেরের মারকুটে ব্যাটিং সবার নজর কাড়ে। গত বছর জাতীয় দলে ডাক পেয়েছিলেন। চলতি বছরের মার্চে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩৪ বলে ৬৮ রানের ইনিংস খেলে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে ডাক পেয়েছেন। স্বপ্ন দেখছেন বড় কিছু করার। গতকাল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ফেসবুক পেজে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় জাকের বলেছেন, ‘দল হিসেবে আমি চাইব, প্রতিটি ম্যাচে ভালো পারফরম্যান্স করে দেখাতে এবং জিততে। নিজের দেশের জন্য বড় কিছু করার ইচ্ছা আছে। এ বিষয়টা সব সময় ভাবনায় কাজ করে। ইচ্ছা থাকবে, আগে যেসব জিনিস অর্জন করতে পারিনি, সেসব যেন এবার অর্জন করতে পারি।’ আসন্ন বিশ্বকাপে নিজের পরিকল্পনা নিয়ে জাকের বলেন, ‘যখন থেকে শুনলাম আমি দলে আছি, তখন থেকেই ম্যাচ বাই ম্যাচ দেখা শুরু করে দিয়েছি। কার সঙ্গে কীভাবে খেলতে হবে, কোন প্রতিপক্ষের সঙ্গে কী রকম কৌশল নিতে হবে, সেগুলো নিয়ে ভাবছি। সেভাবেই এগোচ্ছি।’ কীভাবে ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহী হলেন, সেটাও সাক্ষাৎকারে বলেছেন জাকের, ‘ক্রিকেট দেখেই ক্রিকেটে আসা। ২০০৭ সাল থেকে বাংলাদেশের ক্রিকেট খুব ভালোভাবে অনুসরণ করি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেই বিশ্বকাপ থেকে ক্রিকেটটা ভালোভাবে বোঝা শুরু করি। তখন থেকেই আসলে ইচ্ছা ছিল যে, বাংলাদেশের হয়ে ক্রিকেট খেলব। দেশের হয়ে খেলাটাই সবচেয়ে বড় ব্যাপার। সেটা যদি বিশ্বকাপের মতো মঞ্চে হয়, তবে তো আরও ভালো।’ মা আর বড় ভাইয়ের অবদানের কথা জানাতে গিয়ে জাকের বলেন, ‘যেভাবে দলে আমাকে স্বাগত জানানো হয়েছে, সেটা আমার খুব ভালো লেগেছে। সেটা আসলেই বিশেষ কিছু ছিল। কাছের সবাই খুব গর্ববোধ করে। আম্মার স্বপ্ন ছিল, আমি দেশের হয়ে খেলব। তিনি সব সময় বলতেন, ‘তোর তামিম ভাই, সাকিব ভাই, মাশরাফী ভাইদের দলে তুই কবে খেলবি।’ এটাই আমার আম্মার স্বপ্ন ছিল। আর এখন তিনি খুব গর্ববোধ করেন। আব্বা যতদিন ছিলেন, তিনি মাঠে বসে থাকতেন। আব্বা যখন থাকতেন না, আমার বোন নিয়ে যেত।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমার বড় ভাইকে দেখে ক্রিকেট খেলার প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়। আমি যখন ক্রিকেট দেখা শুরু করি, সে সময় আমার ভাইও ক্রিকেট খেলত। এসব কারণে সবার ভালো সমর্থন পেয়েছি।’