কাজী ইমরান, লোহাগড়া (নড়াইল)
প্রকাশ : ৩০ জুন ২০২৪, ০২:৫৩ এএম
আপডেট : ৩০ জুন ২০২৪, ০৮:২৯ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

মধুমতীর ভাঙনে দিশেহারা কয়েকশ পরিবার

নড়াইলের লোহাগড়া
মধুমতীর ভাঙনে দিশেহারা কয়েকশ পরিবার

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নে মধুমতী নদীর ভাঙনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে কয়েকশ পরিবার। তীব্র ভাঙনে এরই মধ্যে নদীতে বিলীন হয়েছে আবাদি জমি, ভিটেমাটিসহ নানা স্থাপনা। বাদ যায়নি বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনের খুঁটিও। ভাঙনকবলিত এসব এলাকার মানুষ এখন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। গতকাল শনিবার সরেজমিন দেখা যায় ভাঙনের এই ভয়াবহ চিত্র।

স্থানীয়রা জানান, একাধিকবার মধুমতী নদীর ভাঙনের শিকার হয়েছেন এখানকার মানুষ। গত বছর পানি উন্নয়ন বোর্ড ইউনিয়নের শিয়রবর গ্রামের ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ফেললেও এবার ভাঙনে ভেসে যাচ্ছে সেগুলো। ফলে আবারও ভাঙনের মুখে পড়েছে কয়েকশ পরিবার। তাই ভাঙন রোধে স্থায়ী সমাধান চান এলাকাবাসী।

স্থানীয় তোতা মিয়া, সাদ্দাম, আলাউদ্দিন, বালাম, চুন্নুমিয়া, আফজাল মোল্যা, হুমায়ুন কবির, আরফিন মোল্যা, ওসমান মুন্সী জানান, মধুমতী নদীর ভাঙনে তাদের বাড়ি বারবার ভেঙে গেছে নদীতে। বারবার ভাঙনে নিঃস্ব হয়ে গেছেন তারা। ভাঙতে ভাঙতে আবারও নদী এখন তাদের বসতভিটার একদম কাছে চলে এসেছে। যেভাবে নদী ভাঙন শুরু হয়েছে তাতে করে বসতভিটা যে কোনো সময় নদীতে বিলীন হয়ে যাবে। এবার বাড়ি ভাঙলে মাথা গোঁজার ঠাঁই থাকবে না তাদের।

ইউনিয়নের রামকান্তপুর গ্রামের তোতা মিয়া জানান, তাদের ৫ বিঘা জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এ পর্যন্ত তিনবার ভাঙনের শিকার হয়েছেন তিনি। এবারও ভাঙনের আশঙ্কা ঘুম হারাম হয়ে গেছে। তিনি ভাঙন ঠেকাতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

বৃদ্ধ আরফিন মোল্যা জানান, বসতভিটা ছাড়াও তাদের আবাদি জমি, সুপারি বাগান, পুকুরসহ ভাঙনে ৫ বিঘা জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এখন মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে অন্যের জমিতে বসতঘর তৈরি করে বসবাস করছেন। সেটিও ভাঙনের মুখে রয়েছে। এরপর স্ত্রী-সন্তান নিয়ে কোথায় থাকবেন সে ঠিকানাও নেই তাদের। এ কথা বলতে বলতেই কেঁদে ফেলেন এই বৃদ্ধ। বালাম মোল্যার স্ত্রী তহমিনা জানান, ইতোপূর্বে দুইবার তাদের বসতভিটা নদীতে ভেঙে গেছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আশিকুল আলম জানান, মধুমতী নদীর ভাঙনে বসতবাড়ি, আবাদি জমি, মাদ্রাসা, মসজিদ ভাঙনের শিকার হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে নদীতে পুরো এলাকা বিলীন হয়ে যাবে।

এ বিষয়ে নড়াইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, লোহাগড়া উপজেলার রামকান্তপুর গ্রামের ভাঙন রোধে আপাতত কোনো বরাদ্দ নেই, এ কারণে কোনো ধরনের কাজ করতে পারছি না। তবে বরাদ্দ পেলে আগামীতে ওই এলাকায় ভাঙন রোধে কাজ করা হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিপিএল: তারকা অলরাউন্ডারকে দলে ভিড়িয়ে সিলেটের বড় চমক

‘মালের গাড়ি এসেছে’ বলে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ, মিলল চাঞ্চল্যকর তথ্য

সালমান খানের প্রেমে পড়েছিলেন সুস্মিতা

রিয়াল মাদ্রিদের কষ্টার্জিত জয়ের দিন বিধ্বস্ত লিভারপুল

স্বর্ণ কিনবেন, জেনে নিন আজকের বাজারদর

শীতকালে ফ্রিজের তাপমাত্রা কত রাখবেন?

মধ্যরাতে ভূমিকম্পে কাঁপল টেকনাফ

কাঁপছে তেঁতুলিয়া, তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রিতে

আজ ৯ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়

কৃষকের ছদ্মবেশে দুই ডাকাতকে ধরল পুলিশ

১০

সিএলএম বিভাগে চাকরি দিচ্ছে বিকাশ

১১

ঢাকায় তাপমাত্রা নেমে ১৭ ডিগ্রি, বাড়ছে শীতের অনুভূতি

১২

৪৫তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ১৮০৭

১৩

আজ থেকে লাগাতার কর্মবিরতিতে প্রাথমিকের সাড়ে ৩ লাখ শিক্ষক

১৪

সিনিয়র মেডিকেল অফিসার পদে নিয়োগ দিচ্ছে সেভ দ্য চিলড্রেন

১৫

প্রেমিক যুগলকে জিম্মি করে চাঁদা আদায়, অতঃপর...

১৬

আরএফএলে বড় নিয়োগ, দ্রুত আবেদন করুন

১৭

দাঁড়িপাল্লার কাছে নারী সমাজ নিরাপদ নয় : খায়রুল কবির খোকন

১৮

রাজধানীতে আজ কোথায় কী

১৯

বৃহস্পতিবার রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ

২০
X