চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার শেষ নেই কয়েকদিন ধরে। এ নিয়ে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়েছেন নগরীর কর্তাব্যক্তিরা। এ অবস্থায় গতকাল শুক্রবার জলাবদ্ধতা নিরসন ও উন্নয়ন শীর্ষক এক সমন্বয় সভার আয়োজন করে জেলা প্রশাসন। অথচ সেখানে উপস্থিত ছিলেন না চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ ও সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। এখন তাদের অনুপস্থিতি নিয়েও সংশ্লিষ্টদের মধ্যে চলছে নানা গুঞ্জন।
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় সার্কিট হাউসে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সংসদ সদস্য নোমান আলম মাহমুদ এবং নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আজম নাছির উদ্দীন প্রমুখ। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিডিএ চেয়ারম্যান ছিলেন ঢাকায়। আর নগরীতে অবস্থান করেও আসেননি মেয়র রেজাউল।
উপস্থিত না থাকার কারণ জানতে মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীকে একাধিকবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি। তার এপিএস দুলাল কালবেলাকে বলেন, মেয়র সারাদিন বিভিন্ন প্রোগ্রাম নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। এখন (রাত ৮টা) চট্টগ্রামের বাসায় আছেন। মেয়রের সভায় না থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে কোনো উত্তর না নিয়েই সংযোগ বিচ্ছিন করে দেন তিনি।
সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ কালবেলাকে বলেন, আমি ঢাকায় এসেছি জরুরি কাজে। অনুষ্ঠানে থাকার জন্য আমাকে ডিসি ফোন করেছিলেন, কিন্তু ঢাকায় থাকার কারণে উপস্থিত হতে পারছি না। তবে জলাবদ্ধতার প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের যেতে বলেছি।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সভায় উপস্থিত হওয়ার জন্য সিডিএ, সিটি করপোরেশন, ওয়াসা, রেলওয়ে, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ দায়িত্বশীল সবাইকে বলা হয়। এ জন্য গত বৃহস্পতি এবং গতকাল শুক্রবারও তাদের কল করা হয়েছিল। জানা গেছে, দুপুরে করপোরেশনের সচিব খালেদ মাহমুদের মেয়ের বিয়েসহ নানা অনুষ্ঠানে মেয়র উপস্থিত ছিলেন। সভায় কেন আসেননি, সেটি নিয়েই প্রশ্ন উঠছে এখন। উপস্থিত অনেকেই মন্তব্য করেন, শত ব্যস্ততা বাদ দিয়ে হলেও মেয়রের উপস্থিতি জরুরি ছিল।
এ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলাম, পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, চট্টগ্রাম রেঞ্চের ডিআইজি নুরে আলম মিনা, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মো. ফখরুজ্জামান, পুলিশ সুপার একেএম শফিউল্লাহসহ সরকারি ও রাজনৈতিক নেতারা।
মন্তব্য করুন