ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ
প্রকাশ : ০৩ জুলাই ২০২৫, ১২:০০ এএম
আপডেট : ০৩ জুলাই ২০২৫, ০৯:৪৮ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
স্বাস্থ্য পরামর্শ

ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে যেসব তথ্য জানা থাকা দরকার: পর্ব ২

ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে যেসব তথ্য জানা থাকা দরকার: পর্ব ২

পাল্টে গেছে ডেঙ্গুর উপসর্গ: ডেঙ্গুর উপসর্গের ধরন পাল্টে গেছে। অধিকাংশ রোগীর ক্ষেত্রে লক্ষণের ভিন্নতা দেখা যাচ্ছে। বর্তমানে যেসব উপসর্গ দেখা যায়—হঠাৎ জ্বর আসা, আবার জ্বর না থাকা, কাশি, শরীর ব্যথা, বমি বা বমি ভাব, অসহ্য পেটে ব্যথা, চোখে ব্যথা, রক্তচাপ, প্রস্রাব কম হওয়া, মস্তিষ্কে প্রদাহ, হাত-পা ফুলে যাওয়া, শরীরে পানি আসা, পাতলা পায়খানাসহ প্লাটিলেট কমে যাওয়া।

পাল্টে গেছে মশার আচরণও: কীটতত্ত্ববিদদের সাম্প্রতিক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, এডিস মশা দিনে বা রাতে যে কোনো সময় কামড়ায়। রাতের অন্ধকারে কামড়ানোর হার কিছুটা কম থাকে, তবে রাতের উজ্জ্বল আলোতে কামড়াতে পারে। আগে এপ্রিল-মে থেকে শুরু করে শীতের আগ পর্যন্ত ডেঙ্গুর প্রকোপ লক্ষ করা যেত। কিন্তু ডেঙ্গু এখন সারা বছরের রোগে পরিণত হয়েছে।

এনএস-১ রিপোর্ট নেগেটিভ হলেও ডেঙ্গু হতে পারে: এনএস-১ পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এলে সেই রোগীর ডেঙ্গু হয়েছে বলে ধরা হয়। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, রোগীর ডেঙ্গু হয়েছে, কিন্তু রিপোর্ট নেগেটিভ। কারণ, পরীক্ষাটি সঠিক সময়ে করা হয়নি। কেননা, জ্বর আসার প্রথম তিন দিন পর্যন্ত ডেঙ্গু ভাইরাস রক্তে পজিটিভ থাকে। এরপর তা নেগেটিভ হয়ে যায়। তখন রক্তে ওই ভাইরাসের উপস্থিতি মেলে না। এজন্য জ্বর আসার তিন দিনের মধ্যেই ডেঙ্গুর এনএস-১ পরীক্ষাটি করা উচিত।

সিবিসি পরীক্ষা: কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট, প্লাটিলেট, হিমোগ্লোবিন এবং হেমোটোক্রিট পরীক্ষাটি করতে হবে। সিবিসির রিপোর্ট দেখে চিকিৎসক মারাত্মক ডেঙ্গু হয়েছে কি না, সেটি বুঝতে পারেন এবং সে অনুযায়ী চিকিৎসা দেবেন।

জ্বর হলে কী করা যাবে না: জ্বর হলে শুধু প্যারাসিটামলজাতীয় ওষুধ খেতে হবে। কোনোমতেই ব্যথানাশক ওষুধ সেবন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক জাতীয় ওষুধ সেবন করা যাবে না। দ্বিতীয়বার বা তৃতীয়বার ডেঙ্গু হলে বেশি সতর্ক থাকতে হবে, প্রয়োজনে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে।

হাসপাতালে কখন ভর্তি হবেন: চলতি বছর ডেঙ্গু

রোগীর শারীরিক অবস্থার হঠাৎ অবনতি হচ্ছে। বিশেষ করে জ্বরের শুরুতেই অথবা দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনে ভয়াবহ জটিলতা দেখা দিচ্ছে। বেশিরভাগ রোগীর মধ্যে শক সিনড্রোম দেখা দিচ্ছে এবং অনেকের মৃত্যু হচ্ছে। তাই

শিশু, বৃদ্ধ, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি, লিভার, ক্যান্সার, স্ট্রোক, হৃদরোগ, যাদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম এবং অন্তঃসত্ত্বা ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হবে।

ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ

ইমেরিটাস অধ্যাপক

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

স্ত্রী-সন্তানসহ প্রবাসীর মৃত্যু, চাচাতো চাচা রফিকুল রিমান্ডে 

জবিতে ক্লাস ও পরীক্ষা মনিটরিং সিস্টেম চালু ১ সেপ্টেম্বর

স্থপতি মোশতাক আহমেদের বাবার মৃত্যুতে রাজউক চেয়ারম্যানের শোক

আফ্রিদির বিরুদ্ধে মামলার হুঁশিয়ারি, উকিল খুঁজছেন স্বপন

মুন্সিগঞ্জে ‘গত আগস্টে লুট করা অস্ত্র’ দিয়ে পুলিশের ওপর হামলা

গরিবের স্বপ্নেই থাকে ইলিশ

কেউ ছাই দেওয়া হাত থেকে বের হতে পারবে না : উপদেষ্টা বশিরউদ্দীন

বাংলাদেশে তিন বছরে দারিদ্র্যের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৮ শতাংশে

রুট ১৩ হাজার রান ছুঁতেই মুখ খুললেন শচীন

‘উপদেষ্টা মাহফুজের ওপর হামলা হয়নি, কনস্যুলেট অফিস ভাঙচুর হয়েছে'

১০

১৫০ টাকায় দেখা যাবে বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডস টি-টোয়েন্টি ম্যাচ

১১

সাব্বিরকে পাঁচ বছরের জন্য নিষেধাজ্ঞার সুপারিশ বিসিবির আকুর

১২

জিয়ার সমাধিতে ডা. সাবরিনার শ্রদ্ধা, যুবদল সভাপতির ক্ষোভ

১৩

শাহীনুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিতর্ক, অর্থপাচার বিরোধী অভিযানে চাপ

১৪

অভিনেত্রী জাহানারা ভূঁইয়া মারা গেছেন

১৫

ঢাকা শিশু হাসপাতাল শাখা ড্যাবের নতুন দায়িত্বে ডা. ফারুক

১৬

এনসিপির আরও চার নেতার পদত্যাগ 

১৭

হাইকোর্টের বিচারপতি হলেন সারজিসের শ্বশুর লুৎফর রহমান

১৮

ডাকসু নির্বাচনে প্রচারণার বিধিমালা প্রকাশ

১৯

হাসনাতকে ‌‘ফকিন্নির বাচ্চা’ বললেন রুমিন ফারহানা

২০
X