ইসরায়েলের গোপন তথ্য প্রকাশে এসেছে। ইরান ইস্যুতে এক প্রতিবেদনে ভয়ংকর এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। দেশটি যুদ্ধবিরতি চলাকালে গোপনে ইরানের এক মিত্র দেশের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে বলে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৩ জুলাই) আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরান ইস্যুতে রাশিয়ার সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ রেখেছিল ইসরায়েল। দেশটি যুদ্ধবিরতির সময় রাশিয়ার সঙ্গে ইরান ও সিরিয়া নিয়ে গোপন আলোচনা করেছে।
ইসরায়েলের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার সংস্থা কান জানিয়েছে, তেল আবিব ইরান ও সিরিয়া নিয়ে কূটনৈতিক সমাধান খুঁজতে মস্কোর সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের যোগাযোগ বজায় রেখেছে। রাশিয়ার পক্ষ থেকে মধ্যস্থতার প্রস্তাবের পর ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ যুদ্ধবিরতি ঘোষণার প্রায় এক সপ্তাহ পর মস্কোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করে। তবে প্রতিবেদনে আলোচনার বিষয়বস্তু সম্পর্কে কোনো নির্দিষ্ট বিবরণ দেওয়া হয়নি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল ইরানের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি বৃহত্তর চুক্তি করতে চাইছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আগামী সপ্তাহে ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তার বৈঠকে এই বিষয়টি উত্থাপন করবেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর ইসরায়েলি কর্মকর্তারা স্বাভাবিকীকরণ চুক্তি বা আব্রাহাম অ্যাকর্ড সম্প্রসারণ নিয়ে আলোচনা করছেন। এই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে সিরিয়ার সঙ্গেও আলোচনা চলছে বলেও প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৩ জুন ইরানে বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। তবে দুই দেশের মধ্যে ২৪ জুন ট্রাম্প যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন। নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ শেয়ার করা এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, ‘ইরান ও ইসরায়েল একটি সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতিতে চূড়ান্তভাবে সম্মতি হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এই যুদ্ধবিরতি ১২ ঘণ্টা ধরে চলবে, এরপরই যুদ্ধকে সমাপ্ত হিসেবে ঘোষণা করা হবে।’
ট্রাম্প আরও জানান, প্রথমে ইরান যুদ্ধবিরতি শুরু করবে, এরপর ১২ ঘণ্টা পর ইসরায়েলও আনুষ্ঠানিকভাবে এতে যোগ দেবে। মোট ২৪ ঘণ্টা পর এই ‘১২ দিনের যুদ্ধ’ বিশ্বব্যাপী সমাপ্ত হিসেবে স্বীকৃতি পাবে।
তিনি লেখেন, যুদ্ধবিরতির সময় দুপক্ষই শান্তিপূর্ণ ও সম্মানজনক আচরণ বজায় রাখবে। আমরা ধরে নিচ্ছি, সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী চলবে—যা অবশ্যই হবে। এ জন্য আমি ইসরায়েল ও ইরান উভয় দেশকে সাহস, ধৈর্য ও বুদ্ধিমত্তার জন্য অভিনন্দন জানাই।
এই যুদ্ধ আরও দীর্ঘায়িত হয়ে মধ্যপ্রাচ্যকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিতে পারত—এমন আশঙ্কার কথা জানিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘এই যুদ্ধ বছর বছর ধরে চলতে পারত; কিন্তু তা হয়নি এবং কখনোই হবে না!’
মন্তব্য করুন